শেখ সাহেবকে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশকে ক্যাপিটেলিস্ট ব্লকে রাখার জন্য; কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা তখন অনুধাবন করেনি; এখন অনুধাবন করে, হত্যাকারীদের তত্বকে নিজেরা গ্রহন করেছে; আসলে, একা শেখ সাহেব ব্যতিত, পুরো আওয়ামী লীগ ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাসী ছিল ও আছে। শেখ সাহেবও প্রথমদিকে ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাসী ছিলেন।
শেখ সাহেবকে হত্যার পর, যাদের ক্ষমতায় আনার প্রক্রিয়া চলছিল, সেখানে বড় বাধা ছিল তাজুদ্দিন আহমেদ; যেহেতু, তাজুদ্দিন সাহেবকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন শেখ সাহেব, হত্যাকারীরা ভাবছিল যে, তাজুদ্দিন হয়তো ভুল করে তাদের দলে চলে আসবে। তারা ২/১ দিনের ভেতর বুঝেছিল যে, আসলে তা ঘটবে না; তখন হত্যাকারীরা তাজুদ্দিনকে সরায়ে দেয়ার প্ল্যান করেছিল।
তাজুদ্দিন সাহেবের হাতে হয়তো ১/২ দিন সময় ছিল আত্মগোপনে চলে যাবার; সেই সময়টুকু উনি ব্যবহার করতে পারতেন যদি তিনি সঠিক পরিস্হিতি বুঝতে পারতেন। সবচেয়ে ভালো সময় ছিল ১৫ই আগস্ট সকালে, যখনো ভাড়াটিয়া সেনারা ব্যস্ত ছিল। মনে হয়, উনি ভেবেছিলেন যে, এটা মিলিটারী ক্যু, আসলে এটা ছিল তার চেয়ে অনেক বড়; শেখ সাহেবের হত্যাকান্ড বাংলাদেশ মিলিটারীর ক্যু ছিল না, ছিল সিআইএ'র বড় পদক্ষেপ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭