আমি ১৯৮০ সাল থেকে, প্রতিবাদ স্বরূপর কোন ভারতীয় মুভি, শো দেখিনা; কোন ভারতীয় পণ্য কিনি না, ভারত ভ্রমণে যাই না; কিন্তু ভারতের বেলায় এখনও উৎসাহী যে, চেস্টা করলে প্রতিবেশী হিসেবে আমরা ভালো থাকতে পারবো; আমরা প্রয়োজনীয় পানি পাবো, বিপদে আপদে সাহায্য পাবো, বর্ডার হত্যা বন্ধ হবে, চোরাপথে ব্যবসা বন্ধ হবে, গরু আসা বন্ধ হবে।
ভারতের সাথে বর্ডার সমস্যা সমাধান হয়েছে; ভারত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে, আরো ২ বিলিয়ন দেয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে; তবে, এই ২ বিলিয়ন ডলার নেয়া সঠিক হবে না; কারণ, বাংলাদেশের কোন প্ল্যান নেই, নতুন ২ বিলিয়ন খরচ করার; প্ল্যান করতে পারলে, ও পার্লামেন্টে পাশ করলে, তখন নেয়া যাবে।
১৭ কোটীর মাঝে ভারত বিদ্বেসী নয় এই রকম একজন লোকের নাম চাই! আমি জানি একজনও হাত তুলতে পারবে না; কারণ, ফেলানীর বেলায় মনোকস্ট পায়নি, ক্ষেপে নাই এই রকম ১ জন লোক আমাদের দেশে থাকার কথা নয়; ফারাক্কার পানি নিয়ে অসন্তুস্ট হয়নি, সেই রকম ১ জন আছে? আসলে নেই! তা'হলে আমরা সবাই তো, কোন না কোন কারণে ভারতের উপর ক্ষিপ্তা, কিংবা ভারত বিদ্বেষী!
ভারতে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করায়, কতজন ভারত বিবেষী? আসলে, আমি সেই ব্যাপারে মোটেই চিন্তিত নই; কারণ, ভারতীয়রা কি খাবে, না খাবে সেটা ওদের ব্যাপার।
বর্ডারে গরু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী হত্যায় ভারত দোষী; কিন্তু তারা দোষী হিসেবে লিস্টে ২ নম্বরে; ১ নম্বরে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে গরু আসবে আমদানী আইটেম হিসেবে, লাইসেন্সে; ব্যক্তিগত উদ্যোগে, বিনা 'এলসিতে' গরু আনা চোরাকারবারী মাত্র; চোরাকারবারীতে যুক্ত আছে বিএসএফ; যারা বিএসএফ'এর নিয়ম মানে না, বিএসএফ তাদের মেরে ফেলে।
বর্ডারের মানুষের শিক্ষা নেই ও তারা দেশের অন্য অন্চলের তুলনায় ভয়ংকরভাবে বেকার; পাকী আমল থেকে হাজার হাজার পরিবার চোরাকারবারী করে আসছে; সরকার তাদের কোনভাবে সাহায্য করেনি চোরাকারবারী থেকে বেরিয়ে আসতে।
ফেলানীকে গুলি করা ছিল মানবতার ভয়ংকর অবমাননা, কিন্তু সেটা নির্ভর করছিল ভারতের এক নিম্ন কর্মচারীর মানসিকতার উপর; আজ ইউরোপ ও আমেরিকায় বর্ডার ক্রস করার জন্য কোনভাবে গুলি করা হয় না; বিশেষভাবে মহিলা ও শিশুদের বেলায় মানুষ সহনশীল। ভারতীয় বিএসএফ'এ সাধারণ সৈনিক হিসেবে খুবই দরিদ্র পরিবারের মানুষেরা চাকুরী করে; সেই হিসেবে, যারা বর্ডার পার হয়ে কাজ করতে যায়, তাদের উপর এইসব সৈনিকদের মা্যা থাকার কথা; কিন্তু ফেলানীর বেলায় এই সৈনিকটি হায়েনা থেকেও নীচু মগজের পরিচয় দিয়েছে।
আবার ভাবেন, স্বাধীনতার এত বছর পর, আমাদের একটি মেয়ে কেন ভারতে কাজ করতে যাচ্ছে? কেন আমাদের দেশে চাকুরী সৃস্টি করেনি শেখ সাহেব, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা?
ভারত বিরোধীতার অনেক লজিক্যাল কারণ আছে; তবে, অনেক কিছুর ব্যাখ্যাও আছে; আমার বিশ্বাস, যারা ভারত বিদ্বেষী, তাদের বিদ্বেষের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে শেখ হাসিনার উপর; যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল, এসব বিদ্বেষীরা খালেদা জিয়ার উপর নিজেদের ক্ষোভ ঝাড়েনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৭