আমাদের ৪৪ বছরের রাস্ট্র প্রধানদের নীতি মেনে, আমাদের ভিক্ষায় নামা উচিত; এই ভিক্ষা হতে পারে সিরিয়াস ব্যাপার, ধনী দেশগুলো ডলার, পাউন্ড, ইউরো ছাড়বে অনেক, মনে হচ্ছে! জলবায়ু ঝুঁকিতে আমরা ৬ নং স্হানে আছি; ১ম স্হানে হন্ডুরাস, শেষস্হানে গুয়াতেমালা; ওসব দেশে আমাদের একবস্তির সমান মানুষও নেই; ফলে, টাকা পেলে আমরাই পাবো! সুতরাং, ভিক্ষাই উত্তম হতে পারে।
আমরা বর্তমানে যে অবস্হায় আছি, এ রকম চলতে থাকলে, আমাদেরকে ভিক্ষা করতে হবে; তারপরও আমাদের মানুষ মরে, জাতি ছোট হয়ে আসবে; সেটাও একটা সমাধান!
অথবা, আমরা সঠিক ব্যবস্হা নিয়ে, নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারি সসন্মানে; এটা অনেক কঠিন হবে; প্রথমত: আমাদের ভুমির তিন ভাগের একভাগ পানির নীচে চলে যাবে; যখনই ঘটনা ঘটবে, তখনই লোক সংখ্যার ঘনত্ব একলাফে ৩৩% বেড়ে যাবে; এখন, প্রতি বর্গমাইলে ৩০০০'এর কাছাকাছি, কানাডায় ৭২ জন। চাষবাস দুরে থাকুক শোয়ার যায়গাই পাওয়া যাবে না; কারণ, মানুষ নিজের যায়গা ছেড়ে দেবে না।
সিরিয়ার অবস্হা থেকে বুঝতে পেরেছেন যে, কোটী কোটী মানুষ কেহ নেবে না; বিশেষ করে অশিক্ষিত, অদক্ষ, ভাষা না জানা মানুষকে কেহ নিবে না; রোহিংগাদের মত ভাসতে ভাসতে গেলেও তাড়িয়ে দেবে; মনে আছে, বাংগালীরাই রোহিংগাদের নৌকা থেকে নামতে দেয়নি গতবার। তদুপরি বিশ্বে মুসলিম সমস্যা যেভাবে প্রকট হচ্ছে, এতে সব পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অনেক ব্যবস্হা নেয়া সম্ভব; এমনকি সরকার কোন ব্যবস্হা না নিলেও মানুষ নিজ চেস্টায় অনেক কিছু করতে পারবে; কোন ভিক্ষার দরকার হবে না; এমনকি বিশ্ব এসে সাহায্য করে যাবে, যদি দেখে আমরা নিজেরাই টিকে থাকার চেস্টা করছি।
আপনার কোন আইডিয়া থাকলে জানাতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৯