যাদের স্ত্রী ঘুম থেকে উঠতে চায়না, স্বামীকে চা বানায়ে খাওয়াতে পারে না, স্বামীর আন্ডার ওয়ারটা ধুয়ে দেয় না, স্বামী কার হাতের কি রান্না খাচ্ছে জানে না, তাদের স্ত্রী থেকেও নেই; এসব লোকজন সাদা হাতি পুষছেন; সময় হয়েছে, এসব সাদা হাতীকে বনে ছেড়ে দেয়ার, সময় হয়েছে একজন রমনীকে বিয়ে করার।
যেসব বাচ্ছা ছেলেমেয়ে মা-বাবার আদরে মানুষ না হয়ে, সম বয়স্ক, বা আরো কম বয়ষের কিশোর কিশোরীর আদরে বড় হয়, খাওয়া দাওয়া করে, স্কুলে যেতে সম বয়স্ক বা তার থেকেও কম বয়স্ক কিশোরীর সাহায্য নিতে হয়, এগুলো সাদা হাতি, এগুলো পালন করার ক্ষমতা হারাচ্ছে এদেশের ১৭ কোটী মানুষ; এগুলো আসলে সমাজের জন্য বোঝা; নতুন করে সাদা হাতি বানাবেন না।
গত ৪৪ বছরে, হয়তো দেড় কোটীরও বেশী গরীবের মেয়েকে দাসী বানায়েছে আমাদের জাতি; এই মেয়েদের বিরাট অংশ জীবনে কিছুই পায়নি; যা পেয়েছে, তা শুধু অবহেলা, দারিদ্রতা; এদের একাংশ খাবারের বদলে মার খেয়েছে নিয়মিত, ঠিক মতো বিয়ে করতে পারেনি; এদের অনেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বিরাট অংশকে অবিবাহিত অবস্হায় মা হতে হয়েছে। এদের একাংশ অবশেষে যৌন কর্মীও হয়েছে। আজ ঢাকা চট্রগ্রামের বস্তিতে প্রধানত এরাই মুল বাসিন্দা।
৬ দফায় যে সোনার বাংলার ছবি আঁকা হয়েছিল, সেখানে সব বাংগালীর জন্য সুন্দর জীবনের হাতছানী ছিল; সেই ৬ দফার লোকেরা আজ বলছে ১৪ বছরের কিশোরীকে ঘরের চাকরাণী বা দাসী বানানো যাবে! হায়রে তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী এই আপনাদের জীবন দর্শন? ১৪ বছরের মেয়ের তো মায়ের বুকে থাকার কথা, স্কুলে যাবার কথা, খেলাধুলা করার কথা, বাবার সাথে মেলায় যাবার কথা; তাদেরকে কিভাবে চাকরাণী করার জন্য খসড়া আপনারা পাশ করছেন।
জাতির সম্পদ অলস পড়ে আছে, ব্যাংকগুলোতে টাকা পড়ে আছে, ৩০০ জনের জন্য ক্যাডেট কলেজ বানিয়ে টাকা নস্ট করছেন; এসব সম্পদ থেকে আগামী ১০ বছরে ৩০ লাখ মেয়েকে পড়তে দিন, তাদেরকে ও তাদের পরিবারকে সাহায্য করেন, ওরা যেন ড: কামালের মেয়ের মতো নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারে, তারা যেন ফালুর বাচ্ছার মতো স্কুলে যেতে পারে, তারা যেন কোকোর বচ্ছার মতো পরীক্ষা দিতে পারে; তাদেরকে আপনাদের সাদা হাতির হেরেমে দাসী বানাবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪১