৩০ তারিখে ভোট, সময় খুবই কম; দেশে একাডেমিক, রাজনৈতিক রিসার্চ, মিডিয়া, কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোন জরীপ চলছে না; কে জিতবে ভোটে, মানুষ নিজের ভাবনা থেকে প্রেডিকশান করছেন। ৩০০ আসনে কোন কোয়ালিশন কত আসন পেতে পারে, সেটা এখনো কোথায়ও দেখা যায়নি; শুধু মির্জা ফখরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও লীগের কোয়ালিশন মিলে ৩০ সীটের মত পাবে।
ব্লগে, বিশেষ করে আমার পোষ্টে, ব্লগার রাজিব নুর প্রেডিকশান করেছেন, শেখ হাসিনা জিতবেন; তিনি "যদি" ধরণের কোন কন্ডিশন ব্যবহার করেননি কোনদিন। আপনারা যারা কোনভাবে যদি প্রেডিকশান করতে পারেন, "যদি"কে বাদ দিয়ে প্রেডিকশান করার চেষ্টা করেন; "যদি"টাকে নিজের অংকের মাঝে রাখেন, এখানে শুধু শেষ রেজাল্টটা দেন, কে জিতবে, শেখ হাসিনা, নাকি বিএনপি? সম্ভব হলে সীটের সংখ্যাও দেবেন।
দি ইকোনোমিষ্ট পত্রিকা নাকি প্রেডিকশন করেছে যে, শেখ হাসিনা জিতবে; দি ইকোনোমিষ্ট পত্রিকা বরাবরই শেখ হাসিনার সরকারের বিপক্ষে গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে অতীতে। দি ইকোনোমিষ্ট কোন ধরণের জরীপ ইত্যাদির উল্লেখ করেনি, তারা শেখ হাসিনার অতীতের জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক কলাকৌশলের কথা বলেছে।
বিএনপি ২০৬ সীটে প্রার্থী দিয়েছে, বাকী ৯৪ সীট রেখেছে উহার কোয়ালিশনের জন্য; গত সপ্তাহে "ঐক্যফ্রন্ট" শব্দটি যত বেশী শোনা গিয়েছিলো, এই সপ্তাহে বিএনপি শব্দটি বেশী শোনা যাচ্ছে! বিএনপি'র ২০৬ আসন দেখলে বুঝা যায়, কোনটা হাতী, আর কোনটা লেজ।
আওয়ামী লীগ ৭০টা সীট তাদের কোয়ালিশনকে দেবে, ২৩০ সীটের কাছাকাছি আসনে মুল আওয়ামী লীগ থাকবে। আওয়ামী লীগের কোয়ালিশনের যেই কোন প্রার্থী আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রার্থী থেকে দুর্বল; ফলে, আওয়ামী লীগ কোয়ালিশন করে নিজের বোঝা বাড়ায়েছে মাত্র।
আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা নিজ গুণে নির্বাচিত হবেন, ও বাকীদের সবাইকে উনার নামে জিততে হবে। বিএনপি'র গুলো কার নামে জিতবে বলা মুশকিল; বেগম জিয়া ভোটে নেই, মির্জা ফখরুলের জেতার সম্ভাবনা কম; উনাকে জিতাতে হলে আওয়ামী লীগের সাহায্য লাগবে।
যাক, সামনে ২২ দিন সময় আছে, এই ২২ দিনে তেমন কিছু বদলাবে না; যদি বদলায়, সেই ফ্যাক্টরও মনে রেখে আপনারা প্রেডিকশান করুন, কে জিতবে: আওয়ামী লীগ, নাকি বিএনপি?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩