ড: কামালের সাহেবের নাম কর ফাঁকিতে আছেই আছে; টাকা পয়সার দিক থেকে তিনি লোভী ও কৃপন; তিনি ৩০০ কোটী টাকার উপর বসে আছেন, গণ ফোরামের ভালো অফিস নেই কোথায়ও। উনি প্রফেশানেল আইনবিদ হওয়ায়, আইনের শাখা প্রশাখা বের করে, করের উপর সর্বাধিক আইন সংগত সুযোগ নিয়েছেন; 'সর্বাধিক সুযোগ'কে বিবিধভাবে ব্যাখ্যা করা যায়; এখন করবিভাগ এটাকে উনার বিপক্ষে ব্যাখ্যা করবে, উনি ধরা খাবেন; ব্যাপারটা হচ্ছে, ভোটের আগে, নাকি ভোটের পরে?
উনি ইঁদুর হয়ে, জালে আটকাপড়া বিএনপি'কে অকারণে মুক্ত করে এনে জাতির অবশ্যই ক্ষতি করেছেন; বিএনপি, জাতিকে অনেকটা জামাতী-পাকী সংস্কৃতি ও গলাকাটা ক্যাপিটেলিজমে নিয়ে গিয়ে, জাতিকে জাতীয়তাবাদের কক্ষ থেকে বিপথগামী করেছে, দেশে সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছিল; তলানীর রাজনীতিবিদদের দলে এনে বিএনপি জাতিকে পাকিস্তানীদের সমতলে নিয়ে গিয়েছিলো; সেই বিএনপি'কে তিনি আবার মুল রাস্তায় এনেছেন। যদি ড: কামাল কোনদিন সন্ত্রাসের শিকার হতো, সেটা জামাত-শিবিরের হাতেই হতো; মাঝখানে সেই সম্ভাবনা কমেছিলো, এখন উহা আবার বেড়েছে।
ড: কামাল সরকারের লোকদের দৃষ্টি সীমার ভেতরে এসেছেন, উনার দুর্বলতা অবশ্যই আছে; এবং সরকার সেগুলোকে এতদিন হিসেবে ধরেনি; এটাই ক্যাপিটেলিজমের গুণ, ওদের সাথে থাকলে, আপনাকে সব সুযোগ নিতে দেবে; ওদের সাথে না থাকলে, আপনার উপর আইন প্রয়োগ করবে।
খবর মনে হয় ড: কামাল অবধি চলে গেছে; ইহার ফলে, উনি নির্বাচনে নিস্ক্রীয় হয়ে যাবেন, হতাশ হয়ে যাবেন; তবে, আম ও ছালা দুটোই গেছে উনার। লাভের মাঝে হয়েছে, উনি ভোটেও দাঁড়াননি, মাঝখান থেকে সরকারের আইনের বইতে নাম লিখায়েছেন। উনার আশা ছিলো, সামনের দিন গুলোতে বেগম জিয়ার জন্য লড়বেন; মনে হয়, নিজের জন্য লড়তে লড়তেই উনার সময় যাবে।
শেখ হাসিনার সরকারের উপর উনি সন্তুষ্ট নন, এটা বুঝা গেছে; আবার উনি যে, মানুষের নেতা, সেটাও সঠিক নয়; উনার দরকার ছিলো, সোজাসুজি শেখ হাসিনার সরকারের বিপক্ষে লড়তে যাওয়া; সাথে বিএনপি'কে নিয়ে উনি হয়তো নিজের বোঝা বড় করেছেন, যেটা টানার ক্ষমতা উনার নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭