আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লামেন্ট (লোকসভা) ভোটের রেজাল্ট বের হবে; সারা দেশে একদিনেই ভোট গণনা করা হবে, ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে; মনে হচ্ছে, বাংগালাদেশীরা মৌদীর পুর্নবিজয় চাচ্ছেন না; মুল কারণ, বিজেপি'র ধর্মীয়করণ। আবার, বাংলাদেশের যারা ভারতে মোদী ও তার দলের ধর্মীয়করণ চাহে না, এদের বড় অংশই বাংলাদেশে মদীনা সনদ ও শরিয়াহ আইনের পক্ষে!
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে ধর্মের প্রভাব বাড়ছে, ভারতেও তরুণদের মাঝে ধর্মের প্রভাব বাড়ছে; সেদিক থেকে দেখলে, পুরো ভারত উপমহাদেশের জন্য ইহা একটি নতুন বিষয়, ধর্মীয় পুর্ণ-জাগরণ। কিন্তু সামান্য সমস্যা আছে, ধর্মীয় হলেও, এরা পরস্পরের বিপক্ষে অবস্হান নেবে।
ভারতে এতদিন একটি সুবিধা ছিলো, সনাতন ধর্মের প্রচার নেই, নতুন করে অন্য ধর্মের লোকজনকে সনাতন ধর্মে নেয়ার জন্য ধর্মীয় নিয়ম নেই; কেহ যদি অন্য ধর্মের লোকজনকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করে, ধর্ম তাকে পুরস্কৃত করবে না; কিন্তু ইসলামে কেহ যদি অন্য ধর্মের মানুষকে ইসলামে আনতে পারে, সে সৃষ্টিকর্তা কর্ত্তৃক পুরস্কৃত হবে। বিজেপি'র লোকেরা অন্যদের হিন্দুধর্মে আনতে উৎসাহী নয়; তবে, তারা বলছে, তাদের ধর্মীয় সমাজে অন্য ধর্মের লোকেরা শান্তির জন্য হুমকী।
বিজেপি'র লোকদের এই মনোভাব একদিন বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে; কারণ, ভারতে বর্তমানে ২২ কোটী মুসলমান, অনেক খৃষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বী আছেন। শিখেরা ঠিক হিন্দু নন, তবে বিজেপি তাদের ধর্মকে নিজেদের ধর্মের সম্পুরক হিসেবে ভাবে।
এবারের নির্বাচনে ভারতের কিছু মানুষ বিজেপি'র ধর্মীয়করণের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন; তবে, এরা গতবার বিজেপি'কে ভোট দিয়েছিলেন উন্নয়নের পক্ষে; এবার তাদের মোহ কেটে গেছে; বিজেপি উন্নয়ন করেছে, তবে, সাথে সাথে ধর্মের একটা স্বাক্ষরও রেখেছে।
ভারতে অতীতে ভোট গণনা নিয়ে কোনরূপ সমস্যা হয়নি; এবার ১ম বার, কংগ্রেসের কেহ কেহ ও মমতা ব্যানার্জী ভোটিং মেশিনের রেজাল্ট নিয়ে শংকা প্রকাশ করছে; এরা বলছে যে, সরকারে থাকা বিজেপি'র লোকেরা ভোটিং মেশিনে গন্ডগোল করে দিতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:৪১