গত নির্বাচনে, বিএনপি'র সেক্রেটারী মির্জা সাহেব বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন; গত নির্বাচনে আওয়ামী কোশালিশনের বাহিরে যেই ৮ জন জিতেছেন, তাদেরকে "বাংগালী রাজনীতির গুরু" উপাধী দিলেও যথেষ্ট হবে না; এবং এরা কিভাবে জিতেছেন, সেটা জাতির কাছে এক উত্তরহীন প্রশ্ন হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন।
৮ জনের মাঝে, শুধু ফখরুল সাহেব শপথ নেননি, সময়ের সাথে উনার জয়ের বৈধতা হারিয়ে গেছে; সেখানে নির্বাচন হতে যাচ্ছে; এখন, সেখানে এমপি পদে প্রতিযোগীতা করতে বিএনপি থেকে ৫ জন নমিনেশন কিনেছেন, এবং তার মাঝে বিএনপি'র ৩৬ বছরের সভাপতি বেগম জিয়াও আছেন। ধরলাম, এদের একজন (বিএনপি থেকে) আবার বিজয়ী হলেন; নতুন বিজয়ী কি শপথ নেবেন, নাকি আবারো শপথ না নিয়ে, বগুড়া-৬'কে ঝুলায়ে রাখবেন? এটা কি দেশের মানুষের সাথে সঠিক রাজনৈতিক আচরণ?
আমাদের দেশে বর্তমানে যা ঘটছে, একমাত্র আফ্রিকা ব্যতিত বিশ্বের অন্য কোথায়ও এসব ঘটার সম্ভাবনা নেই; মানব জাতি এতো পেছনে পড়ে নেই, আজকের মানব জাতি এর থেকে অনেক বেশী চিন্তাশীল, অনেক মানবিক, অনেক বুদ্ধিমান। তবে, আমাদের জাতিকে এখানে এনেছেন আমাদের রাজনীতিবিদরা, ব্যুরক্রেটরা ও মিলিটারী।
বিএনপি গত ভোটে পরাজয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করছেন; ঠিক আছে, শেখ হাসিনা দায়ী; কিন্তু মির্জা সাহব বিরোধী পক্ষ থেকে যেই সুযোগটা পেলেন, সেটাকে জাতির ভালো জন্য ব্যবহার করতে পারতেন না? তিনি কি সংসদে দাঁড়িয়ে, জাতির পক্ষ থেকে কমপক্ষে বর্তমান অবস্হার বিপক্ষে কথা বলতে পারতেন না? এখন উনার স্হানে, বেগম জিয়া যদি জয়ী হয়ে আসেন, বেগম জিয়া কি উনার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা রাখেন যে, বেগম জিয়া উনার চেয়ে ভালো কিছু বলতে পারবেন? সবচেয়ে বড় কথা, বেগম জিয়া জেলে থেকে, ওখানে কি জিততে পারবেন? বিএনপি যেসব টুকিটাকি চালাকী করছে, শেখ হাসিনা সেগুলোকে শিশুদের চড়ুইভাতি হিসেবে নিচ্ছেন সম্প্রতি।
মির্জা ফখরুল এভাবে সুযোগ ছেড়ে দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, শেখ হাসিনই সঠিক, বিএনপি'কে কোন ধরণের সুযোগ দেয়া ঠিক নয়।
শেখ হাসিনার জন্য ভালো সুযোগ: বেগম জিয়াকে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ দিয়ে, পরাজিত করার জন্য বড় সুযোগ এসেছে; তাতে বেগম জিয়ার শেষ মান-সন্মানটুকু বিলীন হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:২১