না, মনে হয় না; ভারতের মুসলমানেরা নিরপত্তাহীনতায় ভুগলেও, ওরা বাংলাদেশে বা পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ভাববে না। ওরা জানে যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেও তাদের ভবিষ্যত নেই। আগামী কয়েক মাসের মাঝে তাদের শংকা কেটে যাবে, মোদী ভারতের সুনাম নষ্ট করতে চাইবে না; মুসলমানেরা পালানোর চেষ্টা করলে দুনিয়ার সকল রিলিফ সংস্হা ও মিডিয়া এসে ভারতে উপস্হিত হবে; তাতে ভারতের সুনাম মাটিতে মিশে যাবে; সর্বোপরি, ২২ কোটী মানুষ বর্তমান পৃথিবীতে কোথায় যাওয়াও সম্ভব নয়।
তবে, ভারতের রাজনৈতিক বিবর্তনের সাথে মুসলমানেরা তাল মিলাতে পারছে না; মুসলমানদের ২৫ টি রাজনৈতিক দল আছে, ইহা ভয়ংকর অনৈক্যের প্রমাণ; এবং অনেক দলের নামের সাথে 'মুসলিম' শব্দটি আছে! সবচেয়ে আদর্শ ঘটনা হতে পারতো, যদি মুসলমানদের মাত্র ১টি দল থাকতো, ও সেটার নাম হতো সবার জন্য গ্রহনযোগ্য, যেমন "সর্ব-ভারতীয় গণতান্ত্রিক দল"; এই ধরণের নাম হলে, হিন্দুরা সেখানে মুসলমানদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারতো না।
এবারের নির্বাচনে মুসলমানেরা ২৭ সীট পেয়েছে; কিন্তু সীটগুলো বিবিধ দলে থাকায়, এগুলোর খুব একটা মুল্য নেই; বিজেপি থেকে ৭ জনকে নমিনেশন দেয়া হয়েছিল, সেখানে যেই কয়জন জয়ী হয়েছে, সেগুলো গণ্য হবে। আসলে, কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত মুসলিমদের উচিত নীচু প্রোফাইলে থাকা।
মুসলমানদের ধর্মীয় সংস্হাগুলোর নামগুলো ক্রমেই বদলায়ে সার্নজনীন ভারতীয় নাম রাখা উচিত; এছাড়া সামাজিক প্রতিষ্ঠানে স্হানীয় হিন্দুদের সম্পৃক্ত করা উচিত। মুসলমানদের উচিত বড় বড় অর্থননৈতিক সংস্হা গড়ে তোলা, যেখানে তারা চাকুরী সৃষ্টি করতে পারবে ও মুসলিমদের পড়ালেখায় সাহায্য করতে পারবে।
মুসলমানদের আরেকটা ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার দরকার: কোন অবস্হায় গরুর মাংস না খাওয়া; ভারতে প্রচুর মহিষ, ভেঁড়া, উট ও ছাগল হয়, তারা গরুকে ভুলে যাওয়া উচিত! তাদের নিজস্ব হোটেলগুলোতে গরুর মাংস পরিবেশন সম্পুর্ণভাবে বন্দ্ধ করে দেয়া উচিত; এবং গরু ও মাংস ব্যবসা থেকে শত মাইল দুরে থাকা দরকার। পোশাক ও সাধারণ জীবনযাত্রায় তাদের উচিত স্হানীয়দের সাথে মিশে থাকা, যেন আলাদাভাবে তাদের চিহ্নিত করতে না পারে।
সবচেয়ে বেশী দরকার, তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় প্রতিটি মুসলমানকে উ্চ্চ-শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করা; এটা হয়তো সকল সমস্যার সমাধান করে দেবে সময়ের সাথে।