somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

চাঁদগাজী
সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

রোজা ও ঈদকে "সোলার কেলেন্ডার"এর শীতের শেষভাগে স্হায়ীভাবে আনলে কেমন হয়?

০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের ব্লগার নুরু সাহেব আজ, জুন মাসের ৫ তারিখে, আমাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়েছেন, আমার চোখ যেন ভালো হয়ে যায়, সেই কামনা করেছেন, উনাকে ধন্যবাদ। উনি গত বছরও এই ভালো কাজটি করেছিলেন, কিন্তু সেটি ছিলো জুন মাসের ১৬ তারিখে; এই বছর, গত বছর থেকে ১১ দিন আগে! আগামী বছর উনি আমাকে শুভেচ্ছা জানাবেন, ২৪শে মে, তখন আরো ১১ দিন আগে! প্রতি বছর ঈদ ও রোজা ১১ দিন করে এগুতে থাকবে; ইহার শেষ কোথায়, এ'রকম হচ্ছে কেন? কারণ, মুসলমানেরা এখনো ধর্ম পালন করছেন "লুনার কেলেনডার" অনুসারে।

আসলে, নুরু সাহেব চাঁদকে ভালোবাসেন; উনি মাঝেমাঝে কবিতাও লেখেন; মনে হয়, সব কবিরা চাঁদকে ভালোবাসেন। আমাদের আদি পিতারাও নুরু সাহেবের মত কবি ছিলেন, চাঁদকে ভালোবাসতেন, বছর গুণতেন "লুনার কেলেন্ডার"এ, লুনার বছরে গড়ে ৩৫৪ দিনে বছর, গড়ে "সোলার কেলেনডার"এর থেকে ১১ দিন কম। আমি আবার নুরু সাহেবের মাথা ঘুরানোর ব্যবস্হা করছি কিনা কেন জানে! যাকগে, আজ থেকে ৩২ বছর পর, নুরু সাহেব আমাকে আবারো হয়তো, ৫ই জুন ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাবেন ( আনুমানিক একই দিনে)।

গতকাল চাঁদ দেখা নিয়ে দেশে নাকি তুঘলকি কান্ড হয়েছে? এটা এবার যে হয়েছে তা নয়, আরো শতবার হয়েছে, এবং হবে; এটা নিয়ে মারামারি হয়েছে গ্রামে, সামনে ছোটখাট সিভিল-ওয়ারও হতে পারে! এই সবের মুলে হচ্ছে ছোট "লুনার ইয়ার"; আমরা চাই বড় সোলার ইয়ার অনুসরণ করতে, ধর্মীয়দিন গুলোকে আনুমানিক বছরের একই সময়ে নিয়ে আসতে। মনে করেন, নবীজি (স: ) কোন এক ঋতুতে জন্মে ছিলেন; উনার কিছু জন্মদিন পালন হয় কিছু বছর শীতে, কিছু জন্মদিন কিছু বছরের গ্রীস্মে, কিছু জন্মদিন বসন্তে; এটা কি এমন হওয়ার কথা?

ইমানের দিক থেকে, ইসলামী মনোভাব থেকে হিসেব করলে, বাংলাদেশের মানুষেরা আদর্শ মুসলিম; ফলে, বাংলাদেশের আবহাওয়া, অর্থনীতি ও ঋতুকে প্রধান্য দিয়ে রোজাকে শীতের শেষর দিকে নিয়ে আসলে ভালো হয়; তখন প্রকৃতি সুন্দর, দিন খুব লম্বা নয়, বেশিরভাগ মানুষ নিরোগ থাকে, কৃষকের গোলায় ধান থাকে। ফসল কাটা হয়ে গেলে গ্রামের মানুষের মাঝে খুশীর আমেজ আসে, মানুষ কিছুদিনের জন্য ভাবনামুক্ত হয়, তখন রোজা ও ঈদ আসলে মানুষ বেশী সুখী হবে। বেশীরভাগ মুসলিম দেশ উত্তর গোলার্ধে, বাংলাদেশে শীতের সময় প্রায় মুসলিম দেশে শীত থাকে; ভেবে দেখার দরকার!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:০৯
২৫টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×