আমাদের ব্লগার নুরু সাহেব আজ, জুন মাসের ৫ তারিখে, আমাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়েছেন, আমার চোখ যেন ভালো হয়ে যায়, সেই কামনা করেছেন, উনাকে ধন্যবাদ। উনি গত বছরও এই ভালো কাজটি করেছিলেন, কিন্তু সেটি ছিলো জুন মাসের ১৬ তারিখে; এই বছর, গত বছর থেকে ১১ দিন আগে! আগামী বছর উনি আমাকে শুভেচ্ছা জানাবেন, ২৪শে মে, তখন আরো ১১ দিন আগে! প্রতি বছর ঈদ ও রোজা ১১ দিন করে এগুতে থাকবে; ইহার শেষ কোথায়, এ'রকম হচ্ছে কেন? কারণ, মুসলমানেরা এখনো ধর্ম পালন করছেন "লুনার কেলেনডার" অনুসারে।
আসলে, নুরু সাহেব চাঁদকে ভালোবাসেন; উনি মাঝেমাঝে কবিতাও লেখেন; মনে হয়, সব কবিরা চাঁদকে ভালোবাসেন। আমাদের আদি পিতারাও নুরু সাহেবের মত কবি ছিলেন, চাঁদকে ভালোবাসতেন, বছর গুণতেন "লুনার কেলেন্ডার"এ, লুনার বছরে গড়ে ৩৫৪ দিনে বছর, গড়ে "সোলার কেলেনডার"এর থেকে ১১ দিন কম। আমি আবার নুরু সাহেবের মাথা ঘুরানোর ব্যবস্হা করছি কিনা কেন জানে! যাকগে, আজ থেকে ৩২ বছর পর, নুরু সাহেব আমাকে আবারো হয়তো, ৫ই জুন ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাবেন ( আনুমানিক একই দিনে)।
গতকাল চাঁদ দেখা নিয়ে দেশে নাকি তুঘলকি কান্ড হয়েছে? এটা এবার যে হয়েছে তা নয়, আরো শতবার হয়েছে, এবং হবে; এটা নিয়ে মারামারি হয়েছে গ্রামে, সামনে ছোটখাট সিভিল-ওয়ারও হতে পারে! এই সবের মুলে হচ্ছে ছোট "লুনার ইয়ার"; আমরা চাই বড় সোলার ইয়ার অনুসরণ করতে, ধর্মীয়দিন গুলোকে আনুমানিক বছরের একই সময়ে নিয়ে আসতে। মনে করেন, নবীজি (স: ) কোন এক ঋতুতে জন্মে ছিলেন; উনার কিছু জন্মদিন পালন হয় কিছু বছর শীতে, কিছু জন্মদিন কিছু বছরের গ্রীস্মে, কিছু জন্মদিন বসন্তে; এটা কি এমন হওয়ার কথা?
ইমানের দিক থেকে, ইসলামী মনোভাব থেকে হিসেব করলে, বাংলাদেশের মানুষেরা আদর্শ মুসলিম; ফলে, বাংলাদেশের আবহাওয়া, অর্থনীতি ও ঋতুকে প্রধান্য দিয়ে রোজাকে শীতের শেষর দিকে নিয়ে আসলে ভালো হয়; তখন প্রকৃতি সুন্দর, দিন খুব লম্বা নয়, বেশিরভাগ মানুষ নিরোগ থাকে, কৃষকের গোলায় ধান থাকে। ফসল কাটা হয়ে গেলে গ্রামের মানুষের মাঝে খুশীর আমেজ আসে, মানুষ কিছুদিনের জন্য ভাবনামুক্ত হয়, তখন রোজা ও ঈদ আসলে মানুষ বেশী সুখী হবে। বেশীরভাগ মুসলিম দেশ উত্তর গোলার্ধে, বাংলাদেশে শীতের সময় প্রায় মুসলিম দেশে শীত থাকে; ভেবে দেখার দরকার!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:০৯