গত ৭ তারিখ রাতে, ইরানের ছোঁড়া দেড় ডজন মিসাইলে, ইরাকের ২ লোকেশানে ১১ জন আমেরিকান সৈনিক আহত হয়েছে; তখন পেন্টাগণ জানিয়েছিল যে, আমেরিকানদের পক্ষ থেকে কোন হতাহত হয়নি; ট্রাম্পও সেটাই নিশ্চিত করেছিলো, ও সেটার উপর নির্ভর করে আমেরিকা ইরান আক্রমণ করেনি। এখন আমেরিকা জেনেছে যে, সেই রিপোর্ট সঠিক নয়; এই মিথ্যা কিংবা অদক্ষ রিপোর্ট আমেরিকার মানুষকে হতাশ করছে, আমেরিকানরা ইহার উপর বিভক্ত হবে; ইলেকশানের বছর হওয়াতে বিরোধীদল এটাকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালাবে।
ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের ২য় ধাপ, ট্রাম্পের চাকুরী থাকবে কিনা সেটার বিচার সিনেটে গিয়েছে; ১০০ জন সিনেটর সেই বিচারের জুরি এখন; আগামী সপ্তাহ থেকে সিনেটে শুনানী শুরু হবে। সিনেটের বিচারে দলীয় মনোভাব প্রভাব ফেলবে; এবং সেই কারণে, ট্রাম্পকে সিনেটের বিচার নিয়ে চিন্তিত মনে হচ্ছে না, সিনেটের ১০০ জনের মাঝে ৫৩ জন রিপাবলিকান।
আমেরিকার বড় অংশ খুশী ছিলো যে, ট্রাম্প ইরান আক্রমণ করেনি; এখন কিন্তু এই মনোভাব দ্রুত বদলাচ্ছে, অনেক আমেরিকান যুদ্ধ চাইবে; ফলে, ট্রাম্প বেশ চাপে থাকবে। ট্রাম্প যুদ্ধে না যাওয়ার পক্ষে এখনো; তবে, ইহা বদলাতেও পারে।
গতকাল চীনের সাথে আমেরিকার স্হগিত বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, এতে আপাতত আমেরিকার ট্রেইড ডেফিসিট কমে আসার কথা; কিন্তু বাস্তবে তা ঘটবে না, চীনের ক্রয় ক্ষমতা অনেক কমে এসেছে, চীনের জিডিপি ক্রমাগতভাবে কমে আসছে। এতে আমেরিকার এক্সপোর্ট কমে আসবে ও বাজারে উহার প্রভাব পড়বে।
ইলেকশান'এর বছরে যুদ্ধে যাওয়া হয়তো সম্ভব হবে না; ফলে মানুষের হতাশা থেকে যাবে, এদিকে অর্থনীতি রিসেশনে প্রবেশ করছে, ইলেকশানের পর জাতি বেশ কিছু সময় বিভক্ত থাকবে; সব মিলে, বেশ পরিমাণ সমস্যার সৃষ্টি হবে।
এদিকে ইরান সরকার অকারণে ইউরেনিয়াম প্রসেসিং নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে; এখানে তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার নয়, তাদের কাছে সর্বাধিক ৫% পিউরিফিকেশনের ক্ষমতা থাকার কথা; ইহা নিয়ে কারো চিন্তিত হওয়ার কথা নয়, বোমা তৈরি করতে ৯০% পিউরিফাইড ইউরেনিয়াম দরকার। কিন্তু তাদের প্রচারণা আমেরিকানদের রাগান্বিত করে তুলবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬