ট্রাম্প আমেরিকার গণতন্ত্রে তার তুঘলকি যোগ করার চেষ্টে করেছে গতকাল, সে টুইট করেছে যে, করোনার মাঝে সঠিকভাবে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই, ভোট পেছানোর দরকার। সে আরো বলেছে যে, করোনার কারণে যদি ডাকযোগে ভোট হয়, তাতে অনেক গোজামিল হবে; সে না জিতলে, সে ফলাফল মানবে না।
ফলাফল নিয়ে তার বক্তব্য খুব একটা চিন্তার বিষয় নয়, আমেরিকায় ফলাফল ঘোষণা করে ইলেকশান কমিশন, সেখানে মানা না মানার প্রশ্ন নেই; ট্রাম্প যদি পরাজিত হয়, তাকে ক্ষমতা বের করার ব্যবস্হা আছে! কিন্তু ভোট পেছনে নেয়া কংগ্রেসের হাতে, সেখানে ইহা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে; সিনেটে রিপাবলিকানদের মেজোরিটি, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ'এ ডেমোক্রেটরা বেশী; এখানে ইহা ঝুলে থাকতে পারে; বারবার বাদুরের মতো ঝুললে, পরে উহা হাইকোর্টে চলে যেতে পারে; যদিও ইহার সম্ভাবনা কম, কিন্তু আইন ইহাকে সমর্থন করবে; কোর্টে রিপাবলোকান বিচারক বেশী; যদিও বিচারকেরা কখনো ব্যক্তির পক্ষে থাকে না, অগ্রিম তাদের মনোভাব জানা মুশকিল, ট্রাম্প রিপাবলিকান সিনেটরদের উপর তার প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ হয়েছে; কোর্টে গেলে বেশ সময় নষ্ট হবে।
গতকাল আমেরিকান মিডিয়া ট্রাম্পের এইসব তুঘলকি টুইটকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি; মনে হয়, মিডিয়া ইহাকে ইস্যু বানাতে চাচ্ছে না; কারণ, মিডিয়ার লোকজনও আমেরিকান, তারা এইসব ব্যাপার নিয়ে লজ্জিত হওয়ার কথা, আমেরিকা এখনো আফ্রিকায় পরিণত হয়নি।
আমেরিকানরা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট বানায়ে একটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখেছে; ফলাফল মিশ্র ছিলো; কিন্তু করোনা আমেরিকানদের এক্সপেরিমেন্টকে ডুবায়ে দিয়েছে, ইহা প্রমাণ করেছে যে, আমেরিকানরা ভুল করেছে, দুষ্ট হলেও আমেরিকানদের অবশ্যই রাজনীতিবিদদের সাথেই থাকতে হবে।
ট্রাম্পের এসব তুঘলকি মানুষের সামনে একটা ব্যাপার তুলে ধরছে যে, ট্রাম্প এখন পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত হচ্ছে; করোনার আগে, ট্রাম্পের ভাবনায় পরাজয় ছিলো না। অবশ্য, এখনো বলা যাচ্ছেনা যে, বাইডেন জয়ী হবে; বাইডেনের বয়স ৭৭ বছর, এবং তাকে বেশ দুর্বল দেখাচ্ছে: কথা বলার সময় শক্তি পাচ্ছে না, এবং কিছু ব্যাপারে তার বক্তব্য পরিস্কার নয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৮