উন্নত দেশের প্রাইম মিনিষ্টার, প্রেসিডেন্ট, মিনিষ্টার, সেক্রেটারীরা সরাসরি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে পারে না; কিন্তু তারা বিনিয়োগ করতে পারে, এবং করে। আমরা ৩য় বিশ্বের মানুষ, আমাদের প্রাইম মিনিষ্টার ও প্রেসিডেন্টের নিশ্চয় সন্চয় আছে; তাঁরা সেই সন্চয় কোথায় রেখেছেন? তাঁরা কি উৎপাদনে বিনিয়োগ করেছেন, এবং জাতিকে উৎপাদনে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছেন? আমি শেখ হাসিনা কিংবা প্রেসিডেন্টের মুখে উৎপাদনে বিনিয়োগের আহবান কখনো শুনিনি; আসলে, শেখ হাসিনার সময়ে সাধারণ মানুষ ভীত হয়ে উৎপাদনের বিনিয়োগের কাছে আসতে পারছে না, পুরো মাঠ দখল করে রেখেছে কেয়েকটি প্রভাবশালী পরিবার ও দলীয় লোকেরা।
তৃতীয় বিশ্বের ক্ষমতাসীন দলের প্রাইম মিনিষ্টার, প্রেসিডেন্ট, কেবিনেট মিনিষ্টারেরা দেশের গড় মানুষ থেকে ধনী হয়ে থাকে; ক্যাপিটেলিষ্ট দেশের বেলায় ইহা সব সময় সত্য নয়; ইউরোপ, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়ার মানুষেরা ধনী লোকদের দেশের বড় পোষ্টে নির্বাচন করতে কম উৎসাহী।
বর্তমান বিশ্বে, ক্যাপিটেল স্বল্পতা মোকাবিলা করার একটা ফাইন্যানসিয়াল নিয়ম হলো, নিজ দেশের ম্যানুফেকচারিং'এ বিদেশী বিনিয়োগ; যেসব জাতির কাছে উচ্চ-শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি আছে, কিংবা শিল্পের কাঁচামাল আছে, তারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসছে দেশে; ইহাতে খুব সহজেই উঁচু বেতনের চাকুরীর সৃষ্টি হয়, দেশের মানুষ দেশে থাকে; চীন, ইসরায়েল, জাপান, মেক্সিকো, ভারত, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, প্রভৃতি দেশ ইহাতে বিশালভাবে উপকৃত হয়েছে।
বাংলাদেশে ইহাতে হাতও দিতে পারেনি; ১ম কারণ, সরকারে দক্ষ লোকজন নেই, যারা বিদেশী ম্যানুফেকচারিং কর্পোরেশনগুলোকে এখানে আনার জন্য পরিবেশ গড়ে তুলতে পারবে, দেশে দক্ষ শ্রমিক নেই, দেশের প্রোফাইল ভালো নয়, কাঁচামাল নেই।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়ায় কেহ ম্যানুফেকচারিং করতে আসবে না; তা'হলে উপায় কি? উপায় হলো, নিজ দেশের মানুষের সীমিত মুলধন ও অগাধ শ্রমকে কাজে লাগায়ে প্রথমে দেশের প্রয়োজনীয় ম্যানুফেকচারিং দ্রব্যাদি উৎপাদন করতে হবে, ক্রমেই আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য উৎপাদনে যেতে হবে। সাধারণ মানুষ সরকার ও প্রশাসনের ভয়ে নিজের ২ পয়সাকে সরকার থেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে, এতে কালো টাকা বাড়ছে, উৎপাদনে বিনিয়োগ হচ্ছে না।