বুধবার কিংবা তার আগে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ত্যাগ করবে; তাকে বিদায় জানানোর জন্য নিজের ক্যাবিনেটের ও হোয়াইট হাউসের অনেকেই থাকবে না; আসলে, হোয়াইট হাউসের উচ্চ-পদস্হ বেশীরভাগ কর্মচারীরা গত সপ্তাহ থেকে কাজে আসছে না। নিজের বিদায়কে সরব করার জন্য ২১টি কামানের গোলা ছোঁড়ার ব্যবস্হা করেছে ট্রাম্প। সে তার নিউইয়র্কের বাড়ীতে আসবে না, এখানে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহন করার উৎসাহ কেহ দেখায়নি, সে ফ্লোরিডা চলে যাবে; ওখানকার কিউবান ইমিগ্রেন্টরা তাকে নাকি স্বাগতম জানাবে; ফ্লোরিডার কিউবান ইমিগ্রেন্টরা মাদক ব্যবসার জন্য বিখ্যাত।
ট্রাম্প যেই সমস্যার সৃষ্টি করে যাচ্ছে, উহার সমাধান হতে অনেক অনেক সময় লাগবে; আমেরিকার ২৫০ বছরের ইতিহাসে, পার্লামেন্ট ভবনের চারিপাশে কখনো দেয়াল দেয়া হয়নি, উহা "মানুষের ভবন"; এই সপ্তাহে ওখানে ও উহার বাহিরেও অনেক এলাকায় জরুরীভাবে বেড়া দেয়া হয়েছে, ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড নিয়োগ করা হয়েছে; ইহা শুধু শুরু। সিভিল-ওয়ারের পর, আমেরিকায় এই প্রথমবার মানুষ সরকারী অফিস দখল করেছে; ইহা সময়ের সাথে খারাপের দিকে গেলে, দেশে সন্ত্রাসী সংস্হা গড়ে উঠতে পারে।
ট্রাম্প তার মানসিক কোন কারণে করোনা কন্ট্রোল করেনি, সে ও তার পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলো; এই পরিবার করোনায় আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার নয়, তাদেরকে ভাইরাস মুক্ত রাখার মতো ক্ষমতা আছে সরকারের; পরিবারটি লজ্জাহীন ও আমেরিকার সরকারের মান-সন্মান রক্ষার কথা ভাবেনি। করোনায় আমেরিকা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, ইহা লজ্জাস্কর ব্যাপার।
আমেরিকার শতকরা ৪৬ ভাগ মানুষ অনেকভাবে নাগরিক অধিকার থেকে বন্চিত হচ্ছে, তারা যদি একদিন পার্লােমন্ট ভবন দখল করতো, ভালোই হতো, কংগ্রেসের টনক নড়তো। দু:খের বিষয়, যারা ৪ ঘন্টার জন্য পার্লামেন্ট দখল করেছিলো, তারা ভুল মানুষের জন্য, ভুল কারণে দখল নিয়েছিলো। এখন তাদের অনেকের বিচার হবে, ভুল কারণের জন্য জেল খাটবে। এটাও নতুন করে ক্ষোভের সৃষ্টি করবে; যা আমেরিকাকে নিজের ঘর নিয়ে অনেকদিন ব্যস্ত রাখতে পারে। আজকে আমেরিকান সরকারকে নতুন এক সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৭