পাকিস্তানে আইয়ুব খান ক্ষমতায় আসার পর, আমেরিকা থেকে রিলিফ আসার শুরু হয়: গুড়া দুধ, গম, চাল, ডালডা, ঢেউটিন; এগুলো আসতো গরীবদের জন্য; গরীবেরা পেতেন সামান্য, ধনীরা নিয়ে যেতেন বড় অংশ। আমরা স্বাধীন হলাম, আবারো রলিফ আসার শুরু হলো: কম্বল, শুকনো খাবার, ঢেউটিন; আবারো বানরের ভাগাভাগি, আওয়ামী লীগের লোকেরা পেলো; কিন্তু ভারত থেকে ফিরে-আসা শরণার্থীদের বেশীরভাগই পেলো না।
শেখ সাহবে দেখলেন, যাদের রিলিফ পাবার কথা, তারা পেলো না, আওয়ামী লীগের সবাই পেলো; তিনি বরাবরের মতো ইহার প্রতিবাদ করলেন, এদের শাস্তি দাবী করলেন; কিন্তু উনিই প্রাম মিনিষ্টার, উনিই প্রেসিডেন্ট, কে এসব চোরদের শাস্তি দেয়ার কথা ছিলো?
আসলে, ১৯৭২ সালে থেকে আমাদের রিলিফের দরকার ছিলো না; আমাদের সবই ছিলো, ১ কোটী ফিরে-আসা শরণার্থীকে নিজ বাড়ীতে ১ম মাসে থাকার ব্যবস্হা করা, যেসব নাগরিকের ঘর ও ব্যবসা পোড়ায়ে দিয়েছিলো তাদের ঘর তুলে দেয়ার মতো সবই ছিলো; না থাকলে, বিশ্ব ব্যাংক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিলো; তখনকার দিনে ৩ বিলিয়ন ঋণ নিলে, ৩ কোটী বাংগালীকে চাকুরী দেয়া যেতো; কিন্তু ভিক্ষুকের স্বভাব, ভিক্ষা করতেই হবে।
ভারত থেকে "উপহার" আসেনি, ইহা "রিলিফ" হিসেবে এসেছে; ঢাকায় কারো বিয়ে হচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকার টিকা চেয়েছে, কিংবা ভারত দেখেছে যে, বাংলাদেশ সরকার তো নিজের নাগরিকদের জন্য টিকার ব্যবস্হা করেনি ঠিক মতো, তাদের কিছুটা রিলিফ দিয়ে দাও।
শেখ হাসিনা জাতির ৪৫ বিলিয়ন ডলারের উপর বসে আছেন, জাতির জন্য জাতির টাকা ব্যয় না করে, রিলিফের আশায় বসে আছেন; ইহা উনার পুর্বসুরীদের মতো ভিক্ষার অভ্যাস। এগুলো বেকুবী ও নীচু মনের নীচু ভাবনা।
মহামারীর সময় জাতির টাকা যদি জাতীর প্রান রকার জন্য ব্যয় না করে, গোজামিল দিয়ে রিলিফের জন্য বসে থাকে, ইহা ভিক্ষুকের স্বভাব; আইয়ুব খান, উনার বাবা, জিয়া টিয়া, সবাই মনের দিক থেকে ভিক্ষুক ছিলো; উনিও উত্তারাধিকার সুত্রে তা পেয়েছেন। জাতি উপহার পায়নি, ঢাকাতে কারো বিয়ে হচ্ছে না, যা পেয়েছে উহা রিলিফ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫২