মানুষের জীবনচক্র নিয়ে আদি মানুষ থেকে শুরু করে, আজকের সায়েন্টিষ্টদের ধারণা, পর্যবেক্ষণ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি আপনারা জানার সুযোগ পেয়েছেন; বিশ্বের শিক্ষিত অংশ বাইওলোজী, মেডিসিন, ফিজিওলোজির সাহায্যে মানুষ ও অন্যান্য মেমালদের জীবনচক্রকে ব্যাখা করেছেন, যা লজিক্যালী সঠিক। ফেরাউনদের যুগের বিশ্বাস, আফ্রিকার মেডিসিন-ম্যানদের ধারণা, এন্ডিজের রেড ইন্ডিয়ানদের ভাবনাচিন্তাগুলো এখন আর গ্রহনযোগ্য বিষয় নয়। সময়ের সাথে, বিবিধ ধর্মও বিবিধভাবে ব্যাখ্যা করেছিল; ধর্মের উপর সময় ও স্হানীয়দের সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রভাব থাকায়, ধর্মীয় ব্যাখ্যায় সব সময় সৃষ্টিকর্তার দোহাই দেয়া হয়েছে; সৃষ্টিকর্তার দোহাই দিলেও, ধর্মে আসলে ততকালীন মানুষের ধারণাই স্হান পেয়েছে, এতে অনেক মিথ যোগ হয়েছিলো।
আমাদের বেশীরভাগ মানুষ সায়েন্স ও ধর্মের মাঝখানে দোদুল্যমান; অনেকেই ধর্মীয় দিক থেকে ধরে নেন যে, মানুষের জীবনচক্র সম্পর্কে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে জানায়েছেন; সৃষ্টিকর্তা জানালে খুবই ভালোই হতো, ভুল থাকতো না; সমস্যা হচ্ছে, ধর্মীয় দিক থেকে মানুষের জীবনচক্র সম্পর্কে যেই ব্যাখ্যাগুলোই আমরা পাচ্ছি, আসলে সেগুলো আগের যুগের মানুষের দেয়া ব্যাখ্যা, সেখানে সৃষ্টিকর্তার নাম যোগ করেছে মাত্র। ফেরাউনদের আমলে মানুষ মৃত্যুর পরও ভালো থাকতে চেয়েছিলেন, এটা একটা বড় আশা ছিলো; কিন্তু লজিক্যালী এগুলো যে সম্ভব নয়, সেটা আজকের মানুষ বুঝতে পারছেন।
আমাদের মাঝে যারা ধর্মীয় দিক থেকে মানুষের জীবনচক্রকে ব্যাখ্যা করছেন, তারা নিজদের ধারণা থেকে ব্যাখ্যা করছেন না, ইহা অতীতের মানুষের ধারণা। আমাদের ধর্মীয় পন্ডিতেরা আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন না; এরা কোন বিদ্যায় সঠিকভাবে দক্ষ নন; ফলে, তাদের ব্যাখ্যাগুলো লজিকবিহীন, অতীতের মিথের অংশ, ভুল ধারণা মাত্র।
মানুষ ও অন্যন্য প্রাণীদের মাঝে বুদ্ধিমত্তার পার্থক্য অসীম; মানুষ নিজের লব্ধজ্ঞান থেকেই নিজের জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি জীবনটাকে এনালাইসিস করতে পারেন, বাস্তবতার নিরিখে লজিক্যালী বিন্যাস করে দেখতে পারেন। কেহ চাইলে লজিকবিহীন মিথকেও জীবনচক্তের সাথে যোগ করতে পারেন, ইহা ব্যক্তির ধারণা, লব্ধজ্ঞান, এনালািইটিক্যাল ক্ষমতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করেছে সব সময়।
কম্প্যুটিং লজিক মানুষের ভাবনাশক্তিকে বহু ডাইমেনশনে বর্ধিত করেছে; একজন মানুষ অন্যদের লব্ধজ্ঞানকে নিজের জ্ঞানের সাথে সিনথেসাইজ করতে সমর্থ হচ্ছেন; মানুষ নিজের জীবনকে লজিক্যালী সিমুলেট করে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন; ফলে, মানুষের ভাবনাচিন্তা এতই বাস্তব যে, মানুষ নিজের জীবনচক্রকে পুরোটাই অনুধাবনে সমর্থ হচ্ছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২