ভারত ভুখন্ডে ১ম বার ভোট হয়েছিলো ১৯২০ সালে, ইহাই ছিলো একই সাথে প্রজাতন্ত্র ও গণতন্ত্রের শুরু; ভারতের মানুষ প্রথম জানলো, দেশের সরকার গঠনে মানুষের অধিকার ও উহার প্রয়োগের কথা। ১৯৪৭ সালে কলোনী থেকে ভারতে ২টি প্রজাতন্ত্রের সৃষ্টি হওয়ার পর, মানুষের দরকার ছিলো, শিক্ষা ও চাকুরী; সরকারের দরকার ছিলো জাতি গঠনের; ২ দেশেই সরকারী ভাষা ছিলো ইংরেজী।
প্রয়োজন ছিলো দেশের মানুষের জন্য চাকুরী সৃষ্টি করা ও তাদের পড়ালেখার জন্য তাদেরকে স্কুল কলেজে যেতে দেয়া; নতুন করে স্কুল কলেজ, ইউনিভার্সিটি সৃষ্টি করা, দেশের ইনফ্রাষ্ট্রাকচার তৈরি করা; কিন্তু জিন্নাহ'এর মাথায় ছিলো ভাষা সমস্যা; লোকটা ভয়ংকর বেকুব ছিলেন। উনি দীর্ঘদিন বাঁচেননি, বাঁচলে বাংলাদেশ দেখে যেতে পারতেন।
১৯৪৫ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর, বিশ্বের পরিস্হিতি দ্রুত বদলায়েছে; বৃটিশ কলোনীর সব দেশগুলো স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছিলো; সারা ভারতে, ছাত্ররা ছিলো স্বাধীনতার পক্ষে। যদিও ততকালীন সময়ে যেই সামান্য পরিমাণ বাংগালীরা পড়ালেখা করতেন, তাদের বেশীরভাগই কোন না কোনভাবে, ততকালীন সময়ের ধনী পরিবারের ছেলেমেয়ে ছিলেন; ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা আন্দোলন ইত্যাদিতে খুব বেশী একটা বেশী যোগ দিতো না।
কিন্তু পুর্ববাংলা এলাকায় ধনীদের সংখ্যা ছিলো নগণ্য, জমিদারেরা ও তাদের অধীনে যারা চাকুরী বাকুরী করতেন, এদের ছেলেমেয়েরাই পড়ালেখার সুযোগ পেতো; এরা ভারতের অন্য এলাকার তুলানয় দরিদ্র ছিল; ফলে, এরা স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত ছিলো। জিন্নাহ সাহেব যখন অপ্রয়োজনীয় কাজ, ভাষা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করলেন, বাংলার ছেলেমেয়েরা, যারা বৃটিশের বিপক্ষে আন্দোলনে হাত পাকিয়েছিলো তারা জিন্নাহের বিপক্ষে সহজেই সংগঠিত হলো।
ছাত্রদের এই দু:সাহস দেখে, এদিকে জিন্নাহের মাথায় রক্ত উঠলো, তিনি কংগ্রেসের সাথে ৫০ বছর সংগ্রাম করে 'মুসলমানদের জন্য দেশ' আনলেন, আর এসব সামান্য ছেলেমেয়েরা উনার কথা শোনে না! তিনি নিজের বেকুবী বুঝার চেষ্টা না করে একরোখা হয়ে উঠলেন।
এইবার, ২০২১ সালে শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে যদি জিন্নাহ'র বেকুবীটা বুঝতে পারেন, তিনি নিজকে শোধরাতে পারবেন; উনি সম্প্রতি জিন্নাহ সাহেবের মতো অনেক বেকুবী করছেন, ও জিন্নাহ সাহেবের মতো একরোখা হয়ে গেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৫