করোনায় আমরেকিাই সবচয়েে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; আবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝ, আমেরিকাই সবার আগে করোনাকে কিছুটা কন্ট্রোলে এনেছে; তবে, দেশটিতে ভয়ংকর র্অথনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়ছে। অর্থনৈতিক সমস্যার একটা উদাহরণ হচ্ছে, প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ বেকার, কিন্তু কর্পোরেশনগুলো দরকারী পরমিাণ কর্মী খুঁজে পাচ্ছে না।
বাংলাদেশের মিডিয়া ও দেশের প্রশাসন মানুষকে একটা ভুল ধারণা দিচ্ছে যে, দেশটি বিশ্বের অনেক দেশ থেকে মোটামুটিভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; আসলে, ব্যাপারটা পুরোপুরি উল্টো, দেশটিতে করোনা বেশ বড় ধরণের এনার্খীর সৃষ্টি করেছে; সরকার নিজের দায়িত্ব উপেক্ষা করে চুপ করে বসে আছে, আক্রান্ত পরিবারেরা অসহায় অবস্হায় নিজেরাই করোনার মোকাবেলা করছে। সমস্যা দেশের বদলে, পরিবারের ঘাঁড়ে চেপে বসেছে; ইহা এনার্খীর ফলাফল।
আমেরিকা বিশ্বের সবার চেয়ে ভালো পজিশনে থাকার পরও কেন এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো? আমেরিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো একা দেশের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভুল মনোভাব ও আচরণের কারণে, ও ক্যাপিটেলিজম অর্থনীতির সাইড-এপেক্টে। ট্রাম্প একজন অস্বাভাবিক মানুষ, তার আচরণ, ব্যবসার প্যাটার্ণ, জীবনের মুল্যবোধ আমেরিকান কালচারের বিপরিতে ছিলো সব সময়; কিন্তু ক্যাপিটেলিজমে ইহারও মুল্য আছে; সে সেই সুযোগে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, সেই সুযোগে সে এক অপধারার সৃষ্টি করেছে, সেই সুযোগে সে করোনায় অসুস্হ হয়েছিলো, সেই সুযোগে সে ভোটেও পরাজিত হয়েছে।
আমেরিকা করোনায় হেনস্তা হওয়ার কারণে ও সেই সময় ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকায়, আমেরিকা বিশ্বের অন্য এলাকার আক্রান্ত জাতিসমুহের খোঁজ খবর নেয়নি; ফলে, বিশ্বের যেসব দেশের সরকারগুলো নিজ দেশের মানুষের দায়িত্ব নেয় না, সেসব দেশে করোনা ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে গেছে; করোনা আজকের আধুনিক বিশ্বে ভয়ংকর অস্হিরতা ও বিশৃংখলার সৃষ্টি করেছে।
আমেরিকা নিজ অর্থনীতি ও আভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে আগামী বেশ কিছু বছর ব্যস্ত থাকবে; ফলে, ৩য় বিশ্বে বেশ পরিমাণ বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে; তার একটি উডাহরণ হচ্ছে আফানিস্তান; আমেরিকা নিজের সমস্যা কমানোর জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুতিবিহীন অবস্হায় আফগানিস্তান থেকে উইথড্র করছে, যার ফলাফল হবে, অন্চলটাতে সুদুর প্রসারী অস্হিরতার সৃষ্টি হবে। আফগানিস্তান থেকে উইথড্রটা রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত; আমেরিকা বড় ধরণের অর্থনৈতিক সমস্যায় আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৩