কয়েকজন মানুষ যখন তৃতীয় কোন একজন মানুষের সততা নিয়ে আলোচনা করেন, আলোচনাকারীরা সবাই নিজেদেরকে সত হিসেবে উপস্হাপন করেন, করার চেষ্টা করেন; কিন্তু আলোচনাকারীদের মাঝে কারো সততার যদি অভাব থাকে, উহাকে ঢেকে রাখা কি সম্ভব হয়? সম্ভব, যদি তিনি মুখ না খোলেন! লেখকদের সমস্যা হলো, তাঁরা মুখ ও হৃদয়কে খোলেন বলেই, তাঁদেরকে লেখক বলা হয়। অভিজ্ঞ পাঠক থেকে লেখক কিছুই লুকাতে পারেন না।
আমেরিকায় দায়িত্বপুর্ণ রেগুলার কোন চাকুরীতে নেয়ার সময় ইন্টারভিউ কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েকদিনও হতে পারে; একটা মানুষের দরকারী অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা যাচাই বাচাই'এর পর, এরা আরো ৩টি বিষয়ের উপর ইন্টারভিউ নেয়, এগুলো হচ্ছে: (১) সততা (২) কর্পোরেশনের কালচার ও টিমের সাথে তাল মিলাতে পারবে কিনা (৩) কোন মানসিক সমস্যা আছে কিনা। এই ইন্টারভিউগুলো সম্পর্কে প্রার্থীকে বলা হয় না, আলাদা কোন সময়ও ধার্য করা হয় না; নিয়মিত ইন্টারভিউ'এর সময় এক বা একাধিক মানুষ কৌশলে পর্যবেক্ষণ করে ও স্বাভাবিক আলাপ আলোচনার সময়, এই বিষয়গুলোর উপর তথ্য সংগ্রহ করে, সিদ্ধান্ত নেয়।
লেখকের বই যখন পাঠকের হাতে, লেখক তখন খুবই অভিজ্ঞ একজন ইন্টারভিউয়ারের সামনে, টেবিলে বসা, উনি ইচ্ছা করলে মুখ বন্ধ করতে পারবেন না; যা বলছেন, উহা থেকে বিরত হতে পারবেন না, কথার সুর বদলাতে পারবেন না; কোন কিছুই লুকানো সম্ভব হবে না আর।
কিছু কিছু দেশ আছে, যেখানে মানুষ মোটামুটি সততা শব্দটি তেমন একটা বুঝে না; এই রকম একটি দেশ হচ্ছে নাইজেরিয়া। আমেরিকায়, নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভুত কোন মানুষকে "জীবন বীমার পলিসি" দেয় না অনেক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী। আমি মিশরের আরবদের সাথে পড়ালেখা করেছি; এরা কোন বিষয়ে কথা বলার সময়, অকারণে আল্লাহের নামে কসম করে বলে যে, সে সত্য কথা বলছে; অথচ, কেহ সততার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেনি।
যেসব মানুষের সততার অভাব আছে, তারা সব সময় নিজকে এমন বুদ্ধিমান মনে করে যে, তার ধারণা, সে যে অসৎ, সেটা অন্যেরা বুঝে না; মনে হয়, অসৎ ব্যক্তিদের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা।
পোষ্টটি একজন ব্লগারকে উৎসর্গ করার দরকার ছিলো
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৪