ব্লগ এখন বেশ ক্রেংকি, কিছু বলতে ভয়ে ভয়ে বলতে হয়, কোন দিক দিয়ে আবার কাউন্টার পোষ্ট এসে যায়। ব্লগে প্রশ্নফাঁস জেনারেশ শব্দটা আমি বেশী ব্যবহার করেছি; ইহা ব্যবহার করার পর, বেশ কয়েকজন নাখোশ হয়েছিলেন। তবে, প্রশ্নফাঁস জেনারেশন আছে, উহারা জাতিকে বিবিধভাবে সাহায্য করছেন।
এখন জাতি আরেকটি জেনারেশন পেতে যাচ্ছে, ইহারা "প্রশ্ন কি জিনিষ" তাও ভুলে যেতে পারে; ফলে প্রশ্ন ফাঁস ফুঁস করার দরকার হবে না। এবার এরা বিবিধ লেভেলে পড়ালেখা শেষ করবেন, তা কিভাবে শেষ করবেন উহা দীপুমনি নিজেও জানেন না, বাচ্চারা জানার কথা নয়; তবে, দীপুমনি একটা পথ বের করবেন, ইহারা হবেন "দীপুমণি জেনারেশন"।
করোনা জাতিকে ক্রেংকি ও ভীত করে তুলেছে; দরিদ্র ঘরের শিশুরা, যারা গ্রামের স্কুলগুলোতে পড়ে তারাও ভীত; এরা অনলাইন, মনলাইন শব্দগুলো শুনেছে, কিন্তু উহা থেকে কিছু শিখিতে পারেনি; এখন দীপুমনি কি বলছেন, ইহারা বুঝার কথা নয়, ইহাদের পিতামাতারাও বুঝার কথা নয়; তবে, সবার একটা আশা দীপুমনি কিছু একটা করবেন; আমেরিকানরা বলেন, বাইডেন কিছু একটা করবেন!
করোনা বিশ্বব্যাপি ভয়ংকর অবস্হার সৃষ্টি করলেও, ভৌগোলিক অবস্হান ও দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্হার কারণে প্রকৃতি বাংলাদেশকে কিছুটা সাহায্য করেছিলো, কিন্তু দেশ উহাকে কাজে লাগাতে পারেনি; করোনা জাতিকে যতদুর না হেস্তন্যাস্ত করেছে, গবুরা উহাকে মিস-ম্যানেজ করে, সবকিছু লেজেগোবরে করে ফেলেছে, এখন কেহ জানে না, উহা কোনদিকে যাচ্ছে! সমাধান একটাই, টিকা; এবং সেই টিকা সম্পর্কে কেহ কিছু জানে না; মনে হয়, শেখ হাসিনাও জানেন না।
দেশের বর্তমান অবস্হায়, আমি হয়তো দীপুমনি জেনারেশনকে দেখতে পাবো না; তবে, ২/১ বছরের মাঝে "দীপুমনি জেনারেশন" ব্লগে আসবেন, তাঁদের চিনতে তেমন কষ্ট হবে না; উনারা কবিতা, গদ্য , পদ্য দু'চার কলম লিখলে, উনাদের চিনতে কষ্ট হবে না, মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৯