লেখক হুমায়ূন আহমেদ সাহেব (১৯৪৮-২০১২) আজকের বাংলার সবচয়ে জনপ্রিয় লেখক; গত পরশু (১৯শে জুলাই) উনার মৃত্যুদিবস চলে গেলো অনেকটা নীরবে, ব্লগে শুধুমাত্র মাত্র ১টি পোষ্ট এসেছিলো, এবং উহাতে লেখকের ৫ জন ভক্ত মন্তব্য করেছেন; কিন্তু আমি ব্লগে সব সময় দেখি অনেকেই উনাকে প্রিয় লেখক হিসেবে উল্লেখ করে ব্লা ব্লা করেন। আমি কমেন্ট-ব্যানে না থাকলে কমপক্ষে ১টি কমেন্ট করতাম। উনার সৃষ্টি বাংলার মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছে, উনার জন্য শ্রদ্ধা রলো।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর, তিনি দেশের দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের অসহায়ত্ব অনুধাবন করেছিলেন; তিনি নাকি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি সাধারণ মানুষের জন্য একটি ক্যান্সার হাসপাতাল করবেন; তিনি সময় পাননি নিজে করার জন্য; তিনি কাউকে এই ব্যাপারে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন কিনা আমি জানি না; দায়িত্ব দিয়ে গেলেই হয়তো উহা সঠিক পদক্ষেপ হতো; তবে, এই ভয়ংকর রোগের সময় উনার পক্ষে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়তো সম্ভব হয়নি, সেটা বোধগম্য।
উনার মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্ক শহরে, আমরা কম্যুনিটির লোকজন থেকে ও বাংলাদেশী মিডিয়ার বদৌলতে উনার শারীরিক অবস্হার নিয়মিত সংবাদ পেয়ে আসছিলাম। বাংগালীদের আড্ডায়, সভা-সমিতিতে উনি তখন আলোচ্য বিষয় ছিলেন; তখনি, এই হাসপাতাল নিয়ে কথা উঠেছিলো এখানে। উনার মৃত্যুর পর, নিউইয়র্ক শহরে অনেকগুলো শোকসভা হয়েছিলো, এবং প্রায়ই সবগুলো সভায় মানুষ উনার শেষ ইচ্ছাটুকুকে কার্যকরী করার পক্ষে কথা বলেছিলেন।
উনার মৃত্যুর আনুমানিক ৩/৪ মাস পর, উনার ইচ্ছার হাসপাতাল গড়ার জন্য অনুষ্ঠিত একটি মিটিং'এ আমি নিজেই উপস্হিত ছিলাম; যিনি এই মিটিং'এর ব্যবস্হা করেছিলেন, তিনি আমার পরিচিত ছিলেন; উনার বাড়ী ছিলো সিলেটে, তিনি ঢাকার আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালের পক্ষে তহবিল সংগ্রহে কাজ করতেন নিউইয়র্কে; আমার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো, কিন্তু উনার কথায় ও কাজে মিল ছিলো না। নিউইয়র্কে উনি যখন হুমায়ুন আহমেদ সাহেবের স্বপ্নের হাসপাতাল গড়ার তহবিল সংগ্রহের দায়িত্ব নিলেন, তখন আমার মনে সন্দেহ হয়েছিলো যে, ইহা করা সম্ভব হবে না, হয়তো!
ব্লগ থেকে আমার ধারণা, দেশে উনার অনেক অনেক ভক্ত আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৫