ভারতীয় হাইকোর্ট মে/জুন মাসে ভারতে করোনার তান্ডবের জন্য মোদীর সরকারকে দায়ী করেছে; কোর্ট বলছে যে, মোদীর সরকার দরকারী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেনি; সরকারের অদক্ষতা ও সঠিক পদক্ষেপের অভাবে বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে; "করোনায় মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে"। মোদীর সরকার কোর্টের বক্তব্যকে মেনে নিয়েছে, কিন্তু এত পরিমান টাকা দেয়ার অক্ষমতা জানিয়েছে; সে চাচ্ছে, ২/৪ হাজার টাকা দিয়ে কোনভাবে সেরে যেতে।
আমাদের হাইকোট চুপ করে আছে; আমাদের হাইকোর্ট কি শুনেনি যে যে, আমাদের এটর্নী জেনারেলের মৃত্যু হয়েছে করোনায়? ইহা কি তাদের জন্য যথষ্ট নয়? কোর্ট কেন বলছে না, "মহামারীর সময় চিকিৎসা ও করোনা টেষ্ট'এর খরচ জাতীর তহবিল থেকে দিতে হবে; মানুষের টাকায় মানুষের জন্য টিকা কিনতে হবে!"
মোদী কেন ৪ লাখ ২৫ হাজার মৃত মানুষের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দিতে চাচ্ছে না? ভারতের সরকারের কাছে কি ১৭ হাজার কোটী রুপি নেই? ইহা ভারতে জন্য হাতের ময়লা; তা'হলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে, ভারত সরকার আসল মৃতের হার ভয়ানকভাবে অস্বীকার করে আসছে; ভারত সরকার যত মৃতের সংখ্যা যা দেখাচ্ছে, আসল মৃতের সংখ্যা ১০ গুণ বেশী: ভারতে ৪০ লাখের কাচাকাছি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে বলে মনে হয়; তখন ক্ষতিপুরণের পরিমান দাঁড়াচ্ছে ১৭০ হাজার কোটী; ইহাও বড় টাকা নয়; কিন্তু মোদীর সরকার সাধারণ মানুষকে এত টাকা দিবে না।
আমাদের দেশের মানুষ নীরবে প্রাণ হারাচ্ছে, ফ্রি (জাতীর তহবিল থেকে খরচ) চিকিৎসা ও ফ্রি টেষ্টের দাবীি উঠেনি; গরীবেরা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, মধ্যবিত্তরা হাসপাতালের বিল দিয়ে ফতুর হচ্ছে; কিন্তু প্রতিবাদ হয়নি, আন্দোলন হয়নি; কারণ, মওলানা ভাসানী নেই; দরিদ্রদের নীরব প্রস্হান।
জাতির জন্য যখন কেহ থাকে না, আইনী দিক থেকে জাতির অধিকারের পক্ষে সব সময় একটা প্রতিষ্ঠান থাকার কথা , উহা হচ্ছে জাতীর হাইকোর্ট। ইহা এখন মুরগী-মাতায় পরিণত হয়েছে, চিলে বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছে, খবর নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪৪