করোনায় বাংলাদেশের কিছু খুবই প্রতিষ্ঠিত, পরিচিত, ক্ষমতাশীল মানুষের মৃত্যু হয়েছে; আমার মনে হয়, এঁরা নিজেদের ক্ষমতাকে করোনা থামানোর কাজে ব্যবহার করেননি, করোনার বিপক্ষে সরব হননি, সরকার ও প্রশাসনের বেঠিক পদক্ষেপগুলোর প্রতিবাদ করেননি, এই ব্যাপারে প্রাইম মিনিষ্টারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি, সুযোগ থাকা সত্বেও প্রাইম মিষ্টারের সাথে আলাপ করেননি। একটা কারণ হতে পারে, এঁরা মনে করেছিলেন যে, মহামারীতে এঁরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না; এটা যদি মনে করে থাকেন, উনারা মস্ত বড় ভুলের শিকারে পরিণত হয়েছেন।
মহামারী থেকে সবাই নিজকে রক্ষা করতে চান, সবাই বাঁচতে চান। কিন্তু মহামারীর কঠিন বাস্তবতা হলো, মহামারী অনেক মানুষের জীবনের সমাপ্তি ঘটাবে; যাঁরা ভাবেন যে, মহামারি উনাকে চুঁ'তে পারবে না, তাঁরাই বেশী ভুল করে থেকেন। যাঁরা ইহা সম্পর্কে হুশিয়ার থাকেন, নিজের পজিশন থেকে ইহাকে থামানোর চেষ্টা করেন, তারাই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই বিশ্বে ৮০( সরকারগুলোর হিসেবে মতে ৪০ লাখ) লাখের মতো মানুষ প্রাণ হারায়েছেন, এবং ভবিষ্যত এখনো বেশ অন্ধকারে।
বলতে গেলে, ইউরোপ ও আমেরিকাও এখনো বিপদ সীমার মাঝে আছে; তারা করোনাকে কিছুটা কন্ট্রোল করেছে, কিন্তু ইহাকে নির্মুল করতে আরো বেশী প্রচেষ্টার দরকার। যেসব দেশের সরকার ও জনগণ করোনাকে কন্ট্রোলে আনার জন্য সর্বশক্তি এখনো নিয়োগ করেনি, সেসব দেশের কপালে দীর্ঘমেয়াদী কষ্ট আছে।
তৃতীয় বিশ্বের সরকারগুলো করোনার বিরুদ্ধে খুবই অপ্রতুল ও অদক্ষ পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের মানুষ হারিয়েছে ও অর্থনীতিকে পংগু করে ফলেছে; এই ভয়ংকর পরিস্হিতি থেকে তারা নিজেদের একক চেষ্টায় সহজে বের হতে পারবে না। তৃতীয় বিশ্বের কোন মানুষের জীবন বিপদমুক্ত নয়; কেহ সঠিকভাবে জানেন না কি ঘটতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১