আমাদের দেশে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা যদি হঠাৎ করে শখের বসে দুই চারটি কবিতা বা সাহিত্য লিখে তাহলে চারপাশের মানুষ জনের কমেন্ট হই এমন-----
১। উমহ, কবি হইছে, পড়াশোনার কোন ঠিক নাই,তারপড় আবার কবিতা লিখে।
২।(রাস্তায় দেখা হলে) দাদা আপনি দেখি দিন দিন সাহিত্যিক হয়ে যাচ্ছেন।ব্যাপার কি?
৩। (বন্ধুদের সাথে আড্ডার ফাঁকে) দোস্ত তুই দেখি দিন দিন কবি হয়ে যাচ্ছিস, ঘটনা কি? মেয়েটা কে?
৪।দোস্ত তুমি ছ্যাঁকা খাইয়া শেষ পর্যন্ত কবি হইয়া গেলা!
এমন আরও অনেক কমেন্ট করতে শোনা যায়।
আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থা এমন যে, অনেক পড়াশোনা করতে হবে, ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে, অনেক টাকা ইনকাম করতে হবে।
ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হলে অনেক টাকা ইনকাম করা যায় সত্যি কিন্তু এখানে প্রকৃত মেধা ফুটিয়ে তোলার সুযোগ খুব কমই থাকে।চার, পাঁচ বছর ধরে কোর্স কমপ্লিট করে বই থেকে যেসব থিওরি আর ল্যাবে যেসব প্রাকটিক্যাল শিখছে সেগুলো জব করতে গিয়ে প্রয়োগ করে।এটা শুধুমাত্র বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ঙ্গানের প্রয়োগটাই হলো। প্রকৃত মেধা যাচাই বা বাছাই হলো না, আর ফুটিয়ে তোলা দুরের কথা।
একজন মানুষের প্রকৃত মেধা ফুটিয়ে তুলতে হলে প্রথমে তাকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে, তারপড় সে কি চাই, তার কোন কাজ ভালো লাগে, কোন বিষয় তাকে বেশি আকর্ষন করে, এই বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রকৃত মেধা ফুটিয়ে তোলা আর টাকা রোজগার করা, দুইটা দুই জিনিস।জীবনে চলতে হলে অবশ্যই টাকার প্রয়োজন,তবে পকেট খালি রেখে কেউ যদি মেধার বিকাশ করতে চাই তবে সেটা নিছক বোকামি ছাড়া কিছু না।কেউ যদি তার মনের সুপ্ত প্রতিভা ফুটিয়ে তুলতে চাই তবে, প্রথমে তাকে রুজি রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে,তারপড় ঐদিকে মনোনিবেশ করতে হবে।এর জন্য দরকার সততা, একাগ্রতা, অধ্যবসায় এবং উপযুক্ত পরিবেশ।