somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে ভূমিকম্প প্রতিরোধক অট্টালিকা নির্মানঃ পরিকল্পনা আর বাস্তবতা

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাইতির সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি দেখে আমরা সবাই কমবেশী শংকিত।ধারনা করা হয়, এরকম মানের একটা ভুমিকম্প বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকা বা চট্টগ্রামে হলে ক্ষয়ক্ষতি আরো বেশী হবে। এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই।

কিন্ত বাস্তবতাটা হলো, আমরা কয়েকদিন এই নিয়ে চায়ের কাপে, খবরের কাগজে- ব্লগে ঝড় তুলছি, তুলবো।একটু ভাববো। তারপর আবার সবই ভূলে যাব।যেভাবে আমরা অনিরাপদ ( বিপদজ্জনক কিনা জানি না, আমি বিশেষজ্ঞ নই) ভাবে সুউচ্চ অট্টালিকা বানাচ্ছি, সেইভাবে একের এক অট্টালিকা হতেই থাকবে। নিয়তির হাতে নিজেদের সঁপে দিয়ে আমরা সেইসব অট্টালিকায় বসবাসও করবো দিনের পর দিন ।

আমাদের নীতিনির্ধারক মহলের কি কখনো টনক নড়বে না। রাজউক, চউক বা সমান্তরাল সংস্থাগুলো কি তাদের বাড়ীঘর তৈরীর নীতি মালায় এরকম কিছু কি অন্তর্ভূক্ত করতে পারেন যে, নতুন বাড়ী তৈরীর সময় অবশ্যই ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আমি আগেই বলেছি আমি এই ব্যাপারে কোনো বিশেষজ্ঞ নই।যদি আমাদের মত দরিদ্র দেশের জন্য এটা কোনো ব্যয়বহুল ব্যবস্থা হয়, তাহলে আমাদের স্থাপত্যবিদরা কি পারেন না সহজলভ্য কোনো প্রযুক্তি বা নগর পরিকল্পনাবিদরা কি পারেন না এ ব্যাপারে কোনো বাস্তব সম্মত
পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে? উদাহরণ স্বরূপ প্রস্তাব করা যেতে পারে- সদ্য নির্মিত যেসব বাড়ীতে এই ব্যবস্থা থাকবে, তারা কর প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পাবেন ইত্যাদি।

আমি জানি অনেকে বলবেন, রাজউকের নীতিমালা মেনে এই দেশে বাড়ী বানানোই হয়ইবা কয়টা? কিন্ত চিন্তা করতে দোষ কি? আজকে এই ব্যাপারে কোনো নীতিমালা হলে, কেউ কেউ হয়তো মানবেন।ধীরে ধীরে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা সম্বলিত বাড়ীঘর একটা স্বাভাবিক নিয়মে পরিনত হবে। একটা সভ্যতা, একটা জনপদ, বা একটা নগর গড়ে উঠতে সময় লাগে কমপক্ষে কয়েকশ বছর আর তা ধ্বংস হতে ঘন্টা খানিকের একটা ভূমিকম্পই যথেষ্ট।

আসুন ভূমিকম্প প্রতিরোধক অট্টালিকা নির্মান নীতিমালা তৈরীর ব্যপারে জনমত গড়ে তুলি আর সেই সাথে তার সফল বাস্তবায়ন করি।



৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×