somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাঈদীর মামলার বাদী চুরি ও যৌতুকের মামলায় নিম্ন আদালতে সাজা পেয়েছিলেন

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দৈনিক আমারদেশ রিপোর্ট:

একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারের বয়স যুদ্ধের সময় ছিল ১১ বছর। পরে হিন্দুবাড়িতে চুরির দায়ে নিম্ন আদালতে তার কারাদণ্ড হয়েছিল। এছাড়াও যৌতুকের দাবিতে প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতে তার সাজা হয়। উভয় মামলায় তিনি প্রাথমিকভাবে কারাভোগ করেন। পরে আপিল করেন। স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। চুরির মামলায় খালাস পান। এছাড়া গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাদী মাহবুবুল আলম আইনজীবীদের জেরার জবাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা, পিরোজপুরের হত্যাকাণ্ড এবং রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির নেতা এবং কমান্ডারদের ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, এগুলো ৪০ বছর আগের ঘটনা। এখন এতকিছু মনে নেই।
বাদী মাহবুবুল আলমকে গতকাল জেরা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট কফিলউদ্দিন চৌধুরী। জেরা চলাকালে সরকারপক্ষ ও আসামিপক্ষের অন্যান্য আইনজীবী ছাড়াও বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। বাদী মাহবুবুল আলমের অসংলগ্ন উত্তর ও বক্তব্য আদালতে কৌতুকরসের সৃষ্টি করে। জেরাকালে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা মাঝে মাঝে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আপত্তি পেশ করেন। সরকারপক্ষের নথি ও বাদীর জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন করতে চাইলেও সরকারপক্ষের আইনজীবীরা বাধা সৃষ্টি করেন এবং আদালতে জোরাল আপত্তি পেশ করেন। সরকারপক্ষের আইনজীবীদের প্রবল আপত্তির একপর্যায়ে আদালত বিষয়বস্তুর (কনটেম্লট) ব্যাপারে বাদীকে কোনো প্রশ্ন না করার জন্য আসামিপক্ষের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রুলস মেনে প্রশ্ন করুন এবং রুলসে বলা আছে যে, বাদীকে বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রশ্ন করা যাবে না। এ বিষয়ে আদালতে প্রায় উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে এক ঘণ্টা যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি বিনিময় হয়। শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বারবার সরকারপক্ষের আইনজীবীদের বাধা সৃষ্টির বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। আইনজীবীদের ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালতের মর্যাদা রক্ষা করে শান্ত থাকার জন্য আদালত বারবার তাগিদ দেন।
উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বাকবিতণ্ডা : গত মঙ্গলবারের পর গতকালও বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারকে জেরা করেন সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। জেরার একপর্যায়ে তিনি বাদীর কাছে জানতে চেয়ে বলেন, আপনি জবানবন্দিতে বলেছেন যে, পারেরহাটের বিসাবলী নামের জনৈক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যকে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে পাকিস্তান আর্মিরা সাঈদীর নির্দেশে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যার সময় সাঈদীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ বক্তব্য ঠিক কিনা? উত্তরে মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলেন, ঠিক। অ্যাডভোকেট মিজান পরের প্রশ্নে বলেন, নিহতদের নিয়ে আপনার তৈরি করা একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ২৬ ব্যক্তিকে নৌকায় বলেশ্বর নদীতে নিয়ে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়। ওই তালিকার ১নং ব্যক্তির নাম হচ্ছে বিসাবলী। এই তালিকা সঠিক, নাকি আপনার জবানবন্দি সঠিক। সাঈদীর আইনজীবীর এ প্রশ্নের পরপরই সরকারপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হায়দার আলী দাঁড়িয়ে বলেন, কোনো বিষয়বস্তুর ওপর প্রশ্ন করা যাবে না। এতে আমাদের জোরাল আপত্তি রয়েছে। তার এ বক্তব্যের জবাবে অ্যাডভোকেট মিজান বলেন, আমরা যে প্রশ্নগুলো করছি তা আপনাদের দেয়া কাগজপত্র থেকেই। এতে তো আপনাদের আপত্তির কিছু দেখছি না। বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রশ্ন না করলে আমরা সত্য উদঘাটন করব কীভাবে? সাঈদীর অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল বলেন, এভাবে চললে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হব। এ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আদালত বলেন, বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রশ্ন করা যাবে না। আদালতের এ আদেশের পর অ্যাডভোকেট মিজান বলেন, এটিই হচ্ছে আমাদের প্রধান পয়েন্ট। এ বিষয়ে প্রশ্ন করে আমাদের প্রকৃত সত্য বের করতে হবে। আদালত যদি আমাদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে অনুমতি না দেন, তাহলে এ বিষয়টি আজকে থাক। আমরা সিনিয়রদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা অপর পয়েন্টে প্রশ্ন করছি।
সওয়াল ও জবাব : আদালতের অনুমতি নিয়ে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বাদী মাহবুবুল আলমকে প্রশ্ন করেন। উল্লেখযোগ্য কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিম্নরূপ।
প্রশ্ন : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিলের জন্য আপনার কাছে একটি আবেদন চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। ওই চিঠিটা কবে দেয়া হয়েছিল?
উত্তর : নির্দিষ্ট তারিখ মনে নেই। তবে অভিযোগ দায়েরের প্রায় এক মাস আগে হবে।
প্রশ্ন : আপনি কতটুকু পড়ালেখা করেছেন?
উত্তর : আমি মাদরাসায় পড়তে চাইনি। আমাকে জোর করে আমার বাবা মাদরাসায় ভর্তি করে দিয়েছেন। পরে আমি মাদরাসা থেকে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হই। প্রাইমারি স্কুলে পড়ালেখা শেষ করে আবার মাদরাসায় পড়ি। পরে আবার ষষ্ঠ শ্রেণীতে স্কুলে ভর্তি হই।
প্রশ্ন : আপনি ষষ্ঠ শ্রেণী কোন স্কুলে পড়েছেন?
উত্তর : পাড়েরহাট রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ে।
প্রশ্ন : আপনি কোন শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন?
উত্তর : এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। পাস করিনি।
প্রশ্ন : আপনার এসএসসির রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী আপনার জন্মতারিখ হচ্ছে ২০ মার্চ, ১৯৫৯। যুদ্ধের সময় আপনার বয়স ছিল ১১ বছর।
উত্তর : ওইটা লেখাপড়ার বয়স। তাতে আমি সঠিক বয়স লিখিনি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বাকশাল সরকার ক্ষমতায় ছিল।
উত্তর : হ্যাঁ।
প্রশ্ন : ওই সময় আপনি সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে কোনো মামলা, সাধারণ ডায়েরি কিংবা অন্য কোনো সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিনা?
উত্তর : করিনি। উপযুক্ত পরিবেশ ছিল না।
প্রশ্ন : ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকার ক্ষমতায় ছিল এবং ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় ছিল। ওই সময়ও আপনি কোনো অভিযোগ বা মামলা কিংবা কোনো জিডি করেননি।
উত্তর : করিনি।
প্রশ্ন : আপনি হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগও করেননি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ২০০৯ সালে পিরোজপুর আদালতে সাঈদীর বিরুদ্ধে কার নির্দেশে আপনি মামলা দায়ের করেছেন?
উত্তর : নিজেই করেছি।
প্রশ্ন : আপনার এ মামলা দায়েরের আগে সাঈদীকে সরকার বিদেশে যেতে বাধা দেয়ার পর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট তার পক্ষে আদেশ দিলে সরকার আপিল করে। আপিল শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে শিগগির মামলা হবে। কাজেই তাকে বিদেশে যেতে দেয়া যাবে না। অ্যাটর্নি জেনারেলের ওই বক্তব্যের পরই আপনি সরকারের নির্দেশে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উত্তর : এ বক্তব্য সঠিক নয়।
প্রশ্ন : আপনার দায়ের করা মামলা তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা আপনার বাসায় গিয়েছিলেন?
উত্তর : হ্যাঁ।
প্রশ্ন : আপনি তাকে কোনো আলামত দিতে পারেননি।
উত্তর : সম্ভবত না।
প্রশ্ন : ১৯৯২ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গণআদালতে আপনি কোনো সাক্ষ্য বা বক্তব্য দিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ১৯৯৪ সালে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করতে গঠিত গণতদন্ত কমিশনের সামনে আপনি কোনো বক্তব্য দিয়েছিলেন?
উত্তর : না। তবে আমাকে ডাকা হয়েছিল।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ শেখ মুজিবের ভাষণের দিন আপনি বিবাহিত ছিলেন?
উত্তর : না। আমি বিয়ে করেছি ১৯৭৩ সালে।
প্রশ্ন : আপনার স্ত্রীর নাম ফিরোজা বেগম?
উত্তর : হ্যাঁ।
প্রশ্ন : আপনি আপনার স্ত্রীর কাছে যৌতুক চেয়েছিলেন। না দেয়ায় আপনি তাকে নির্যাতন করেন। পরে তিনি আপনার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন। ওই মামলায় আপনার শাস্তি হয়। আপনি কারাভোগ করেছেন। ওই মামলায় আপনি এখনও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ঠিক কিনা?
উত্তর : ওই মামলায় আমি উচ্চ আদালত থেকে এখন জামিনে আছি। তাছাড়া ফিরোজা বেগম ছিল আমার প্রথম স্ত্রী। তাকে আমি তালাক দিয়েছি। পরে সে আমার নামে মামলা করেছে।
প্রশ্ন : আপনি আপনার এলাকার সংখ্যালঘু সুভাস চন্দ্রের বাড়িতে চুরি করেছেন। ওই চুরির অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আপনার সাজা হয়েছে। আপনি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেল খেটেছেন। ঠিক কিনা?
উত্তর : এখানে একটু কথা আছে। আমার বিরুদ্ধে সাজা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু পরে আমি আপিল করেছি। আপিলে আমি খালাস পেয়েছি।
প্রশ্ন : আপনার এলাকায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগেই সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল। ওই পরিষদে কারা ছিলেন?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : আপনার এলাকার শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলশামস ও আলবদরের কমান্ডার বা সভাপতি-সেক্রেটারি কারা ছিলেন?
প্রশ্ন : জানা নেই।
উত্তর : যুদ্ধের সময় আপনি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন কি?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি কি খুব ভালো উর্দু জানেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি জবানবন্দিতে বলেছেন যে, সাঈদী ভালো উর্দু জানতেন। আপনি নিজেই উর্দু জানেন না। তাহলে কীভাবে আপনি জানলেন যে, সাঈদী ভালো উর্দু জানতেন?
উত্তর : উর্দু না জানলেও বুঝতে পারতাম।
প্রশ্ন : যুদ্ধের সময় আপনি পত্রিকা পড়তেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : তাহলে আপনি কীভাবে জানলেন যে, জামায়াতে ইসলামী খুলনায় ও কুষ্টিয়ায় মিটিং সমাবেশ করেছে?
উত্তর : শুনেছি।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী একটি সরকারি বাহিনী ছিল। এটা কি আপনি জানেন?
উত্তর : সরকারি বাহিনী ছিল কিনা জানি না। তবে পাকিস্তান আর্মির সহযোগী ছিল। আমরা কিন্তু পাকিস্তান আর্মিদের ভয় পাইনি। আমরা এই রাজাকারদেরই বেশি ভয় পেতাম।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামের জেরার পর সাঈদীর অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিলউদ্দিন চৌধুরী বাদী ও সরকারপক্ষের প্রধান এই সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন।
প্রশ্ন : আপনার এলাকায় পাক হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ৭ মে হামলা চালায় বলে আপনি উল্লেখ করেছেন। এর কতদিন আগে আপনি পিরোজপুরের গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন?
উত্তর : ২৫ মার্চের পরপরই পাড়েরহাট স্কুলের মাঠে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আমাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রশ্ন : আপনি উল্লেখ করেছেন যে, পিরোজপুরের বাইরেও সুন্দরবনে মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে আপনি যুদ্ধের সংবাদ আদান-প্রদান করেছেন। এ দায়িত্ব আপনাকে কবে দেয়া হয়?
উত্তর : এ দায়িত্বও আমাকে আগেই দেয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন : আপনি কতবার সুন্দরবনের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন?
উত্তর : কমপক্ষে ৫০ বার হবে।
প্রশ্ন : ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে কে ছিলেন?
উত্তর : মেজর জিয়াউদ্দিন।
প্রশ্ন : তার সঙ্গে আপনার কতবার দেখা হয়েছিল?
উত্তর : কয়েকবার দেখা হয়েছিল। বেশিরভাগ অন্য লোকদের সঙ্গে দেখা হতো।
প্রশ্ন : আপনার এলাকা থেকে সুন্দরবন ক্যাম্পে যেতে-আসতে কত সময় লাগত।
উত্তর : রাজাকারদের ভয়ে আমরা সরাসরি যেতে পারিনি। কখনও বেশি সময় কখনও কম সময় লাগত।
প্রশ্ন : কত দিন লাগত?
উত্তর : আমি কখনোই সহজে যাওয়া-আসা করতে পারিনি।
প্রশ্ন : সবচেয়ে কম কত দিনে যাওয়া-আসা করেছিলেন?
উত্তর : চল্লিশ বছর আগের কথা কি এখন মনে থাকে? এত আগের কথা এখন মনে নেই। এ কথা বলেই মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও রাজাকারদের নিয়ে এত প্রশ্ন কেন? আমরা পাকিস্তান আর্মিকে একটুও ভয় পাইনি। তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি। আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে রাজাকাররা। তাদের বিচারের জন্য এত প্রশ্ন কেন? পরে আদালত মামলার কার্যক্রম থেকে তার এ বক্তব্যগুলো বাদ দেন। আদালত আজ পর্যন্ত সওয়াল-জবাব মুলতবি ঘোষণা করেন।
১৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×