বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান সম্পর্ক ২০২৫ সালে একটি জটিল ও পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির মুখোমুখি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিকের মধ্যে যেমন সহযোগিতা রয়েছে, তেমনি রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে।
✅ সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ
বাণিজ্য ও অর্থনীতি: ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং বাংলাদেশ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ভারত থেকে রপ্তানি ছিল ১১.০৬ বিলিয়ন এবং আমদানি ১.৮ বিলিয়ন ডলার।
Drishti IAS
শক্তি ও সংযোগ: ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন, আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ, মৈত্রী সেতু ও মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের মতো প্রকল্পগুলো শক্তি ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।
সামরিক সম্পর্ক: দুই দেশের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া যেমন 'সাম্প্রীতি' ও 'বঙ্গসাগর' অনুষ্ঠিত হয়, যা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
Drishti IAS
⚠️ চ্যালেঞ্জ ও উত্তেজনা
রাজনৈতিক অস্থিরতা: ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই পরিবর্তন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতা: ভারত ২০২৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসহ কিছু পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হতে পারে।
The Times of India
সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা: ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ এই হামলাকে কূটনৈতিক সম্পর্কের লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
Wikipedia
চীন-ভারত প্রতিযোগিতা: বাংলাদেশ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হওয়ায় ভারতের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Drishti IAS
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮