কুয়েট মেকানিক্যালে পড়া কারো এই গাছটা চিনতে ভুল করার কথা না!!
=======
ছোটকালের কথা ৬-৭ বছর থেকে স্পষ্ট মনে আছে । এর আগের বছর গুলো একটু আবছা হয়ে গ্যাছে । ছোট বেলায় ইচ্ছা ছিল টিচার হবো । ধীরে ধীরে এক সময় ইচ্ছাঘুড়ি মৌসুমী বাতাসে পথ পরিবর্তন করলো । ইঞ্জিনিয়ার হব, বুয়েটে পড়িব । প্রিপারেশন ভালই ছিল । হয়ত ভাগ্য দেবী সুপ্রশন্ন ছিল না বলিয়া ২০০৩ এর ৯ই জানুয়ারীতে মুক্তিবেগের ইকুয়েশনে অভিকর্ষজ ত্বরনের মান না বসাইয়াই ক্যালকুলেশন করিয়া আন্সার লিখার মত ভুল গুলো করিয়াছিলাম । বাবা-মা খুব হতাস হইয়াছিল । ইচ্ছা ছিল আবারো এক্সাম দিব । ডিইউ তে আসিল অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স । আর কুয়েটের ফরম নিয়াছিলাম । ভর্তি হৈলাম মেকানিক্যালে । ক্যাম্পাসে ওরিয়েন্টেশন হৈল থার্টি ফাষ্ট মার্চ ।
খুলনায় প্রথম প্রব্লেম ছিল পানি । আর বাসার বাহিরে সেই আমার প্রথম । তাই খাওয়া দাওয়ার সাথে আডাপ্ট করতে পারছিলাম না । মনে আছে প্রথম বছর আমি কাচ্চির রাইস, ঝাল ফ্রাই, গরু আর ইলিশ-এই চার আইটেমের উপর ডিপেন্ডেট ছিলাম । অন্য কিছু খাইতেই পারতাম না! ঐ সময় আমার বার্থডের দিন আম্মু হঠাৎ করে ক্যাম্পাসে আসে নোকিয়া-৩৩১০ গিফট নিয়া! ব্যপক্স খুশি হৈসিলাম ঐদিন!
আহ!! কস্তুরীর ১০ নং টেবিল । ঐ টেবিলের কোনার সিটটাতে এক সাথে খেতে গেলে কে দখল করবে সেইটা ছিল একটা ব্যাপক আনন্দদায়ক হিংশ্র প্রতিযোগিতা । ক্যাপ্পাসের বাহিরে মেস লাইফ । ক্যাপ্পাসে রেগের ভয় । ভাগ্য ভাল এক বড় ভাইয়ের সাথে ভাল রিলেশন হয়েছিল প্রথমে । তার বেকআপের জন্য রেগ খাই নাই । তবে রয়েল (৩০১-৩০৮) ব্লকের ৩০৩ নং রুমে রিপনের (৫৮-ইজি) রেগটার কথা মনে আছে খুব । দুই ঘন্টার রেগ শেষে বন জোভির ‘ইটস মাই লাইফ’ এর লিরিক্স মুখস্ত করিয়ে হাফ প্যান্ট পড়া রিপনকে রুমের বেডে দাড়া করানো হয় । তারপর দু-হাত উপরে তুলে রিপন গাইতাসিল ‘আই অ্যায়িন্ট গনা বি অ্যা ফেস ইনদা ক্রাউড, ইউ আর গনা হিয়ার মাই ভয়েস হোয়েন আই সাউট ইট আউট লাউড” । উফ!!! কি চরম দৃশ্য ।
ক্যাম্পাসে প্রথমেই বড়ভাইদের কাছে শুনলাম মেকানিক্যাল সব কিছুতেই ক্যাম্পাসে অগ্রসর থাকে । মিজান স্যার, আফতাব স্যারদের স্ট্রিক্টনেসের কথা শুনে ইচ্ছা হচ্ছিল সেদিনই বাসে উঠে বাড়ি চলে যাই । ফ্যাস্ট সেমিষ্টারে হিট ইঞ্জিন ল্যাবে প্রচন্ড গরমের মাঝে ড্রয়িংয়ের করতে হত । প্রথমের দিকে ক্লাস করতাম খুব কম । এজন্য প্রচুর সাফার করতে হয়েছে । সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠে আর ক্যান্টিনে যাওয়ার টাইম পাইতাম না । সুতরাং পাউরুটি, কলা আর একটা ধুম্র শলাকা ক্লাসে যাওয়ার পথে শেষ করতাম। ফাষ্ট ইয়ারে কত্তগুলা যে রেগের গেঞ্জি কিনলাম তার হিসাব মনে নাই ।
প্রথম সেমিষ্টার শেষে কিছু কারন বসত সি.আর হয়ে খাল কেটে কুমির ডেকে এনেসিলাম । যাহোক সি.আর হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে করতে অডিটরিয়ামের সাথে একটা সখ্যতা হয়ে গিয়েছিল । কোন ফাংশান হলেই আফতাব স্যার, তৈয়ব স্যার, সোহেল স্যার অ্যারেঞ্জের জন্য ডাকত শুরুর দিকে । অডিটরিয়ামের সময় গুলা বেশ ভালই কাটত । ভার্সিটি-ডে (১লা সেপ্টেম্বর) তে হলের পক্ষ থেকে স্টল দিয়ে ঐবার (২০০৪) চরম মজা পাইছিলাম । আমাদের লালন-শাহ হল চাম্পিয়ান হল ।
সেসনাল গুলা ছিল আতঙ্ক । আফতাব স্যারের ফ্লুইড সেসনাল ল্যাব ছিল পুরাই আতঙ্কের । রিডিং নিয়ে আসা গ্রাফের আকুরেসি বেশি হলে বলত ডাটা ম্যানিপুলেট করছি । আর না গ্রাফে ভুল পাইলে তো রিপিট । উভয় সংকট । সেসনাল রিপোর্ট আমার তিন রুম্মেট সহ কখনোই সময় মত জমা দেই নাই । আমরা গ্রাফ গুলাতে সাইন নিয়ে রাখতাম । সেমিষ্টার শেষে পি.এল শুরুর আগে সবাই আগের সাইন করা রিপোর্ট জমা দিতে হত সি.আর এর কাছে । পোলাপাইন সব আমার রুমে (দ্যা গ্রেইট ৩০২) রিপোর্ট দিয়া যাইত । রাতভর আমাদের তিন রুম্মেটের(মিশু, হেদায়েত, বাদল) আর সাকিলের কপি পেষ্ট চলতো । আমি একবার সর্বোচ্চো ১৯ টা রিপোর্ট এক রাতে লেখছি ।
পড়ালেখায় দায়সারা কাজকারবার । এই জিনিশটাতে আসলেই বেশি ফাকিবাজী করে ফেলেছি । সিটি গুলো দিতাম অ্যান্টেন্ডেন্স এর জন্য । মিজান স্যারের ক্লাস যেন মিস না হয় সেজন্য সারা রাত জেগে থেকে ক্লাস করে এসে ঘুমানো্র কথা মনে পড়ে । আফতাব স্যার ক্লাসে লেকচারের সাথে রসকস মিশিয়ে কথা বলতেন 'প্লেন শিট হয়ে ঢুকেছো, ঢেউটিন হয়ে বেরিয়ে যেতে হবে'। তার ক্লাসটেষ্ট গুলা হৈত ভয়াবহ, প্রায় সবাই ই কিচ্ছু লিখতে পারতাম না! ঐ সময় পরিক্ষার হলে তার ডাইলোক ‘কলম কামড়ানো দেখাটা আমার খুব ভাল লাগে’ । ৎ
হলে উঠলাম টু, ওয়ানের মাঝামাঝিতে । দুইজন বড় ভাই ছিল রুমে, দ্যা জিনিয়াস শ্যামল দা আর গুড্ডু দা । প্রথম রাতে শ্যামল দা শাকিল আর হেদায়েত রে মজা করার জন্য ভুতের ভয় দেখাইলো । লালনের ছাদে ভুতের মিষ্টোরি এর ব্যাপার আসলে বড়ভাইদের ক্রিয়েশন । রাতের লালনের ছাদে আড্ডা চলত প্রায়ই, আধ্যাতিক আড্ডা! আমার হল লাইফের অনেকটা সময় কেটেছে কেরামবোর্ডে, টিটি রুমে, টিভি রুমে আর গফুরের চায়ের দোকানে! কেরামটা ভালই খেলতাম মনে হয় । সিংগেলস এ হল চাম্পিয়ান ছিলাম । টিভি রুমে যেতাম খেলা গুলা দেখতে । যাষ্ট সাপোর্ট দিয়েই কত বার যে বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিয়েছি । আন্তহল ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, টিটি, ব্যাডমিন্টন খেলার সময়টা বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল । একটা প্রতিযোগিতার আমেজ চলে আসতো ! প্রেষ্টিজ ইস্যুর মত! খেলোয়াররা খেলতো খেলার মাঠে, আর দর্শকরা মাঠের বাহিরে । সে এক চরম স্লেজিং এর ইতিহাস!
অনেকেরই ম্যাথ নিয়ে বাজে অভিজ্ঞতা আছে । যদিও আমি ম্যাথটা সবসময়ই ভাল পারি । ক্লাস টেষ্ট মিস করেছিলাম ইচ্ছা করেই, মানে ঘুমের জন্য, শান্তির ঘুম নষ্ট কইরা কেলাস টেষ্ট দিমুনা টাইপ আর কি! তবে ক্লাস টেষ্টর ম্যাথ এক্সাম আর সেমিষ্টার ফাইনাল বহুত ফারাক । মাইগুডনেস!! লিজেন্ডার পলিনমিয়াল, জ্যাকবি পলিনমিয়াল, ফুরিয়ার ফাংশন, ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন আর গামাবিটা ফাংশন!! উফ! ডেঞ্জারাস । চরম ফাকিবাজি করছিলাম । পরে পি.এল এ যাইয়া প্রতিবারই দেখি অবস্থা শোচনীয় । ক্লাসে তো টিচাররা এসে মুখস্ত অংক লিখা দিয়া যাইতো বোর্ডে, একটা চোথা নিয়ে আসতো ক্লাসে । ইভেন টিচারও বলতো যে অঙ্ক করতে করতে মুখস্হ হয়ে যাওয়ার কথা! যত্তসব ফাকিবাজ টিচার । এই টিচার গোত্র টারে আমি আজীবন এ ঘৃনা করি! সিনিয়র বড় ভাইরাও বলতো ম্যাথ মানেই মুখস্হ । বাহ! কি কথা! তবে পিএল এ ব্যাপক কোপ দিয়া কোর্স কভার কর্সিলাম!
হিট ট্রান্সফার ছিল আরেক বিদ্ঘুটে সাব্জেক্ট । বিশাল বিশাল পাওয়ার আর লেঞ্জাওয়ালা ইকুয়েশন । এই সাব্জেক্ট পড়তে গিয়ে প্রথমে শরীরে হিট ট্রান্সফার হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । কোন সেমিষ্টারে মোজাসসের স্যার ক্লাস পাইলে চরম আতংক থাকতাম সেমিষ্টার ফাইনালের কোসচেন নিয়া । যেবার স্যার আমাদের মেটারলজি নিল তার আগের বার ২৫ জনের মত লগ পাইছিলো তার সাব্জেক্টে! তার সেসনাল গুলোও ছিল ডেঞ্জারাস! কখন ছাড়া পাব তার গ্যারান্টি নাই! কিছু গ্রুপ তো রাত নয় টা পর্যন্ত করতে বাধ্য হৈসিলো! আরেক আতংক ছিল সেন্ট্রাল ভাইবা! সেইখানে আবার রিপিট দেয়া হয়! সেন্ট্রাল ভাইবা গুলা আসলে অফিসিয়ালি মেন্টাল টর্চার করার আরেকটা হাতিয়ার ছিল! এইখানে কামের কাম কিছু হয় না! টিচাররা পোলাপাইনগো লয়া একটু রিক্রিয়েশন, ফালতামু, টর্চারিং করে !
একবার সেমিষ্টার শুরুর পর রেজাল্ট দিতে দেরি হচ্ছিল । একদিন রাতের বেলা ডিপার্টমেন্টে গিয়ে কোন সিটি সম্ভবত পিছিয়েছিলাম । পরে হলে এসে টিভিরুমে বিদ্ধস্ত ভাব নিয়ে চাপা মারলাম রেজাল্ট দিসে, দুইটা লগ খাইছি । সবার অবস্থা খুবই খারাপ । সবাই হলে তখন কোন একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতেছিল । সবাই ছুটলো ডিপার্টমেন্টের দিকে । আমি তখন নিজের ভবিষ্যত লইয়া শঙ্কিত হৈয়া অন্য হলে পলায়ন করিলাম । এর পরে সবাই ডিপার্টমেন্ট থেকে ফিরিয়া আসিয়া আমাকে দেখিতে না পাওয়ায় পুরা ক্যাম্পাসে তন্নতন্ন কৈরা খুইজা আমারে বাহির কৈরা ধুলা দিয়া গোসল করাইলো ।
শীতের রাতে তপুর পুকুরে গোসল করা নিয়ে ৩৭ লিটার কোকের বাজী অথবা অন্য আরেকদিন একই ইস্যুতে ৫ প্যাক বেন্সন বাজীর কথা মনে হৈলে হেব্বি নষ্টালজিয়ায় ভুগি! বার্থডে পার্টিগুলা হলে উঠার আগে কস্তুরীতে হৈত!হলে উঠার পর বেশির ভাগ পার্টি গুলা ১০৪ নং রুমে আরেঞ্জ হৈত! আইটেম সবসময়ই কমন-কেক, মিষ্টি, কোক, সিগারেট, চা ! দারুন গেটটুগেদার হয়ে যেত ঐ পার্টি গুলা! অনেক ট্যুরই অ্যারেঞ্জ কর্ছিলাম! কিন্তু সেই সুন্দর বন ট্যুর আর এইটার অ্যারেঞ্জমেন্টের কথা স্পেশালী মনে পড়ে! হেব্বি খাটুনি হৈসিলো ঐবার! দারুন মজা করছে তিন ব্যাচের পোলাপাইন! মনে পড়ে ৪র্থ ইয়ারে উইঠা বুইরা বয়সে হাসানে গায়ে প্রেমের বাতাস লাগা ও তদসংশ্লিষ্ট ঘটনা! রোকেয়া হল নিয়েও ছেলেদের কৌতুহল ব্যাপক্স । তবে মেয়েদের বিষয়ে একটা কথা প্রচলিত ৯৮.৯৯% গার্লস ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড আর বিউটিফুল, রেষ্ট রিড ইন কুয়েট (এই অনুপাত ১:১০০০০০০ ও হতে পারে)!
ফাষ্ট ইয়ার আর সেকন্ড ইয়ারে দেখলাম হল অ্যাটাক এর ঘটনা-এই সামান্য কাচ ভাঙ্গাভাঙি-এই যা, পুলিশ ফাড়ি ভাঙ্গা, একুশে হলের দুই ব্যাচের ক্লাস, খেলা নিয়ে মাঠের ঝামেলা গুলো, পরিক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্র রাত ১০ টায় এর সেসিব্রেশনে বোলতলের মুখোন্মোচন, থার্ড ইয়ারে সিনিয়র ব্যাচের সাথের ক্লাস এবং এর ফলশ্রুতি ৩০২ এ তালার প্রচলন শুরু করা(বিশেষ কারন বসত) –এসব নষ্ট অতীত! এসব বরং থাক!
থিসিস সুপারভাইযার আমারে খুব ভাল পাইতো । ফ্লুইডের একটা টপিক্সের নিউমেরিক্যাল অ্যানলাইসিসের কাজটা শেষই ছিল । কিন্তু সে আমারে এতটাই ভাল পাইতো যে আমি আর আমার পার্টনারকে আমার ব্যাচম্যাটরা চলে যাওয়ার পর আমাকে প্রায় ছয় মাস এক্সট্রা ক্যাম্পাসে থাক্তে হইছিল বৃথাই ।
পিএল এর সময় রাতের বেলা রাহাত আসত ধুম্র শলাকা শেয়ার করতে, আর সাথে হা হুতাস কিচ্ছু হৈল না, কিচ্ছু হৈল না! ম্যাগনেট রাতে ওর শেষ সিগারেট টা সিপিও এর ক্যাসিং এর ভিতর লুকায়া :> রাখত সকালে টানার জন্য, তানাহলে ঐ সিগারেট ছিনতাই হৈয়া যাইত । কারন শেষ রাতে সবারই সাপ্লাই শেষের দিকে থাকত! উই ওয়ার লাইক অ্যা ফ্যামিলি! হাসান মানেই গেম...আই আই ক্যাপ্টেন । হেদায়েত মানেই ......না থাক বিশাল কাহীনি হয়ে যাবে যদি এভাবে শাকিল, হাফিজ, কোহেল, মাহফুজ, ছোটমিয়া(তৌহিদ), রাশেদ, মামুন, সুমন, আনিস, বাদল, শাহীন, তপু, শামীম...........................
গফুরের চায়ের দোকানে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডার কথা স্পেশালী মনে পড়ে । অঞ্জন, সুব্রত, মিনহাজ, অমি, রানা, পায়েল, কাবে, অমিত, রাজ, মিজান, মাসুদ, কেল্টু(ফরিদী), পল(অনুপ), সেজান, রাজিন, অনিবার্য গাতক ইভান, স্টার, রাহি, সাদেকিন আরো কত নাম । কত বিচিত্র বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা, মজার মজার জোক্স বলা । মাঝে মাঝে চলত বিভিন্নজন কে পচানি দেয়া । পচানির জন্য সেই বেচারা অতিসত্বর চায়ের দোকান ত্যাগ করতো । পাশেই হয়তো গিটার নিয়ে তখন শাকিল, সুব্রত, রাজ বা অঞ্জন কিংবা অমিত বা মামুন বা অন্য কেউ গান ধরেছে
‘একা পাখি বসে আছে শহুরে দেয়ালে
শীষ দিয়ে গান গায় ধূসর খেয়ালে
ফেলে যাওয়া আনমনা শীষ, এই শহরের সব রাস্তায়
ধোঁয়াটে বাতাসে, নালিশ রেখে যায়’
কিংবা
‘আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে
তুমি আনমনে বসে আছ
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোর জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া
সে হাওয়ার ভেসে যাবে তুমি’
গফুরের গাছ তলার চায়ের দোকানের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই, কোথায় হারিয়ে গেল রুপালী রাত গুলো সেই, আজ আর নেই । বসার বেঞ্চটা আজও আছে, আছে গফুরের দোকান, চায়ের কাপ গুলোও খালি নাই । কত স্বপ্ন, কত দুঃশ্চিন্তা কত মেঘ, কত রোদ! শুধু আমরা কজন আজ সেখানে নেই ।(কফিহাউজ, নকল) ।
আরো অনেক, অনেক কিছুই বলার ছিল! অনেক কিছু!! মনে হচ্ছে কিছুই বলা হল না!
লালনের চিপা!
স্মৃতির বৃক্ষ -অনেক রাত কাটসে এইখানে!
নিচতলার ক্লাসরুমের সামনে বারান্দা!
সেই গফুর!
ফাহাদ চৌধুরী ......।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১২