মার হাত গুলো শিকলে বেঁধে রেখেছেন আমার মা, আমার চোখ গুলো আমার বাবা। আমার বন্ধুরা আটকে রেখেছেন আমায় ঘরে। কারণ বাইরে প্রচুর ব্লগার মারা যাচ্ছেন। আমি ঘোরতর নাস্তিকতা ও গালি-গালাজের পক্ষে কখনোই নই, কিন্তু তাই বলে হত্যাকান্ডকে জাস্টিফাই করতে পারি না। গালির বদলে চাপাতি চলতে পারে না। কিন্তু প্রতিবাদ করার ও সাহস পাই না। আমাদের দৌড় ঐ মানব বন্ধন পর্যন্ত। শিক্ষিত বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত একটা জিনিষ ই শুধু পারে তা হলো বিনোদন দিতে। তারা অপেক্ষায় থাকে একজন মাসীহা এসে তাদের পথ দেখাবেন আর তারা তার পেছনে হাটবেন। অথবা পাশের মানুষ টি পা-বাড়ালে তিনিও বাড়াবেন। পরিপূর্ন লুম্পেন চারিত্রিক বৈশিষ্ট। সময় এসেছে বিগত ৪৩ বছর কে জাস্টিফাই করার। ৪৩ সালে কী উদ্ধার করেছি তা জানার।
সামান্য কাটা ছেড়াই যাই। আনসারুল্লাহ চাচ্ছে আই এস আই এর সমর্থন। আর আই এস চাচ্ছে বিশ্বব্যাপী তাদের উত্থানের প্রমাণ। অথচ দুই টা গ্রুপের মাঝে কোন যোগাযোগ নেই এটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত। কারণ আই এস এর সাম্রিক বিশেষজ্ঞরা যদি বাংলাদেশ ও এর ইতিহাস নিয়ে সামান্য পড়াশুনা করতেন তবে এখানে তথাকথিত খিলাফতের চিন্তা বাদ দিয়ে লেজ গুটিয়ে পালাতেন। কারণ বাংলাদেশের গঠন ও ভূ প্রাকৃতিক অবস্থান গেরিলা যুদ্ধের উপযুক্ত নয়। আর সবচেয়ে বড় কারণ বাঙ্গালী জাতি গত ভাবেই কাপুরুষ ও বিশ্বাসঘাতক। ব্যাক্তি বিশেষের দেয়ালে পিঠ ঠেকলেই তাদের মাঝে বীরত্ব ভর করে।
১৯৭১ এর গেরিলা ফ্রন্টে যখন যুদ্ধ চলছিলো আমরা সামরিক ব্যকাপ পাচ্ছিলাম ভারত থেকে। আশ্রয় ও বটে। সো একটা নিরাপদ ঘাটি থেকে গেরিলা যুদ্ধ করা সহজ ছিলো। কিন্তু ইতিহাস বলে না ব্যপার টা এতোটা সহজ ছিলো। সো এখানে যেহেতু পাশের কো দেশ ই মোল্লা ভাবাক্রান্ত নয় সুতরাং বাইরের সাহায্য পাওয়া একেবারেই অসম্ভব তাদের জন। আর বিশ্বাসঘাতকতার প্রমাণ তো ৪৩ বছরে অগনিত বার পেয়েছি।
আর কিছু লিখবো না। জানের মায়া তো আছে আমার ও।