অকারণেই কেন যেন মনটা বিষাদে ভরে গেছে আজ! প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে বসে আছি। সারাটা দিন ব্যস্ত ছিলাম খুব। একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত। অসম্ভব সুন্দর একটা বিকেল দেখলাম। ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে বিকেলটাকে মিলিয়ে সন্ধ্যা হচ্ছিল ধীরে ধীরে। ততক্ষণ পর্যন্ত মনটা ভালোই ছিল।ভালো ছিল প্রেপে বসার আগ পর্যন্তও। তারপর যেই না আমার ‘কৃষ্ণচূড়া জানালা’টার পাশে বসলাম,অমনি মনটা খারাপ হতে লাগল।প্রথমে ছোট্ট সরিষা দানার মত মন খারাপ।‘কৃষ্ণচূড়া জানালা’টা খুলতেই আরেকটু বাড়ল।‘কৃষ্ণচূড়া জানালা’টার ফাঁকে যখন একটু দমকা হাওয়া এসে লাগল গায়ে,‘মন খারাপ’টা বাড়তে লাগল ধীরে ধীরে।তখনও টেনিস বলের সাইজে আসেনি ‘মন খারাপ’টা।কিন্তু আব্দুল্লাহ যখন সেই গল্পটা শোনাল;অবিশ্বাসের গল্প,আশাহতের গল্প,বিশ্বাসঘাতকতার গল্প-তখন আর ধীর হলনা মন খারাপের গতি। গতি বাড়তে লাগল,একে একে সব পেরিয়ে ঊল্কার গতিতে ছুটল মন খারাপ। সেই সাথে পরিবর্তন হল টেনিস বলের সাইজ। প্রথমে ফুটবল,বাড়তে বাড়তে দাড়াল বিশাল বেলুন,বাড়তে লাগল আরও তাড়াতাড়ি।একসময় পৃথিবী হল গল্পটা, ঘিরে ফেলল পুরো পৃথিবীকে। তবুও বাড়ছে মন খারাপ গল্পটা।বায়ুমন্ডল ছাড়িয়ে গেল,আকাশটাকে ছেয়ে ফেলল মন খারাপ মেঘে।সু র্যকে ছাড়িয়ে সে ছড়িয়ে গেল ছায়াপথে নীহারিকায়।তার পর মহাবিশ্বতে ছড়িয়ে গেল ব্ল্যাকহোলের চেয়ে ঢের শুন্যতা নিয়ে। মন খারাপ বিষাদ নিয়ে আমিও বসে রইলাম কৃষ্ণচূড়া জানালার পাশে। একসময় প্রেপ শেষ হল। ডাইনিং হলে গেলাম ডিনারে। তবুও সেই মন খারাপের নীল ছায়া। আমার খাবারে,আমার গ্লাসে।সবকিছুতে মন খারাপ। খেতেও ইচ্ছে হল না আর। বসে রইলাম চুপচাপ। ডিনার শেষ হল,হাউজে ছুটল সবাই।সেখানেও সেই গল্প,মন খারাপের স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ।সবাই ডিভিডি শো দেখতে গেছে।হাউজে শুধু আমি,আব্দুল্লাহ আর রোহান। পত্রিকা দেখতে গিয়েও ইচ্ছে হল না পড়তে। রুমে ফিরে এলাম। বসে রইলাম আমার মন খারাপ কষ্ট নিয়ে। চারদিকে কী মন খারাপ! সর্বত্র মন খারাপের নীল গন্ধ। লাল-নীল বিষাদের জোনাকীগুলোও গল্প ছড়িয়ে দিচ্ছে। লাইট নিভিয়ে রুম অন্ধকার করে দিলাম। এখন চারপাশ স্তব্ধ,নিরব,অন্ধকার! সময় কয়টা বাজে তাও জানিনা। আমার মন খারাপ গল্প আরও বড় হচ্ছে। মহাবিশ্ব আর বিশ্বব্রহ্মান্ডকে ছাড়িয়ে গিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে নীল বিষাদের মন খারাপ মৃদ্যূ গন্ধ।অপেক্ষা করছি লাইটস’ অফ হওয়ার। অপেক্ষা করছি গভীর নিশিথের। অপেক্ষা করছি রাতের শেষ প্রহরের। অপেক্ষা করছি নতুন ভোরের লাল সূর্যের।সেই সূর্য এসে নতুন আলোয় ধূয়ে দিয়ে যাবে আমার এই মন খারাপ গল্পকে,ছুয়ে দিয়ে যাবে আমায়,সরিয়ে দিয়ে আমার সকল অবিশ্বাসের তিক্ত ধুসর স্মৃতিকে!
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/generic-ads-580x400.jpg)
ক্যারাভান-ই-গজল - তালাত আজিজ
ভারতীয় অন্যতম গজল শিল্পীদের তালিকায় তালাত আজিজের নাম অবশ্যই থাকবে বলে আমার ধারনা। তার বেশ কিছু গান আমার শোনা হয়েছে অনেক আগেই। জগজিৎ সিং, পঙ্কজ উদাস ও গুলাম আলী সাহেবের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার
১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন
এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?
গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
আর্তনাদ
গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)
ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন