somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে নানামুখি ষড়যন্ত্র

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাহবুবুল আলম //

ষড়যন্ত্র কিছুতেই বাংলাদেশের পিছু ছাড়ছে না । বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আজ নতুন নয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে থেকে এই ষড়যন্ত্র মাথাচড়া দিয়ে ওঠে। মূলত ব্রিটিশ আমল থেকেই এ দেশে ষড়যন্ত্রে বীজ বপন হয়। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তার বহির্প্রকাশ ঘটে। কিন্তু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলাদেশকে নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেই ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা একাত্তরে চেয়েছিল বাংলাদেশ যাতে কিছুতেই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে; আর এখন চাচ্ছে বাংলাদেশ যাতে কিছুতেই মধ্য আয় কিংবা উন্নত দেশে উন্নীত হতে না পারে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হলেও তারা থেমে থাকেনি। বিভিন্ন সময়ে রূপ বদল করে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। একাত্তুরের শত্রুদের আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছিলাম কিন্তু এখনকার শত্রুরা বন্ধুর ছদ্মরূপ ধারন করে পিঠে ছুড়ি মার চেষ্টা করছে।
স্বাধীনতা সংগ্রামে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দানা বেঁধে ওঠে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক দেশ ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালে শত ষড়যন্ত্র করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আটকে রাখতে পারেনি। তাই বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে পুনরায় প্রকাশ্যে আসে। এর পর অনেক চড়াই-উতরাই করে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে শুরু হয় আবার ষড়যন্ত্র। পরে ২০০১ সালে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের সিনিয়র নেতাদের মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়। ২১ আগস্টের ওই গ্রেনেট হামলায় কাকতালীয়ভাবে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। পরে ‘ওয়ান ইলেভেনের’ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে বাধা প্রদান করা হয়। বোর্ডিং পাস ইস্যুর পরও তাকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বহন করে না।
২০০৮ সালে ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর দায়িত্ব বুঝে নেয়ার প্রায় দেড় মাসের মাথায় ২০০৯ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিয়ার হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দেন। এর পর থেকে দেশে চলতে থাকে একের পর এক ঘটনা। এর অল্প দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হয়। একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। পাশাপাশি সরকারও একের পর এক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে এগিয়ে চলে। নির্বাচনী প্রধান এক এজেন্ডা যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু করে। বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করতে যুদ্ধাপরাধীরাও থেমে থাকেনি। তারাও নিয়মিত নানাবিধ কর্মকান্ড অব্যাহত থাকে। বর্তমান সকারের গত মেয়াদে হেফাজতে ইসলামের তথাকথিত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে। সরকার দক্ষতার সঙ্গে তাদের এই আন্দোলন মোকাবেলা করতে না পারলে হয়তো আজ বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর পরিনত ভোগ করতে হতো। এর পর ২০১৪ সালে থেকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত শিবির শুরু করে ভয়ানক তান্ডব। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের নামে চলে চরম নাশকতা। যত্রতত্র চলে পেট্রোলবোমা হামলা। রেললাইন উৎপাটন, অবাধে গাছ কাটা ইত্যাদি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ব্যাপক ঝুঁকির মধ্য থেকে তা দমন করেন। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশকিছু সদস্য নিহতও হন।
শেখ হাসিনার আগের আমলের অনেকটা শুরুতেই মহাজোট সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে টাকা না দিয়ে বিশ্বব্যাংক এতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। এতে সরকারকে শেষে পর্যন্ত্র তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে বলি দিতে হয়। কিন্তু তাদের তারা তুষ্ট হয় না। শেষ পর্যন্ত কোন ঋণই তারা দেয় না পদ্মা সেতুর জন্য। পরে অবশ্য তারা কোন দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেনি।
এর পর বাংলাদেশ অর্থনীতিতে একের পর এগিয়ে যাচ্ছে দেখে প্রবৃদ্ধি অর্জনের বড় খাত পোশাক শিল্পের ওপর থেকে জিএসপি সুবিধা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নানা অজুহাতে কারখানার কর্মপরিবেশের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরকে পুরোপুরি পঙ্গু করে দিতেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ার পর যুক্তরাজ্যের তরফ থেকে ঢাকা-যুক্তরাজ্য সরাসরি কার্গো সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এর সঙ্গে বিশ্বের কতিপয় প্রভাবশালী দেশের যোগসূত্র থাকতে পারে। বিষয়টি স্বাভাবিক করতে সরকার নানাদিক থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার ঢাকা-লন্ডন কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে চাপে রাখার নতুন নতুন কৌশল কি-না এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। যে অজুহাত দেখিয়ে বৃটিশ সরকার ঢাকা-লন্ডন কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা। কেননা, মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট (আইএস) উত্থানের পর বিশ্বজুড়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আর ব্রিটিশ সরকার শুধু বাংলাদেশেই বিমান পরিচালনা করছে না। বিশ্বের অন্য কোন দেশে বিমান ও কার্গো বিমান চলাচল বন্ধ না করলেও দেশটি বাংলাদেশেই কার্গো বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
যুক্তরাজ্য সরকার থেকে ঢাকা-লন্ডন কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে সরকার থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের দেখানো কারণ পুরোপুরি অযৌক্তিক। এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত বলেও মনে করে বাংলাদেশ। শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ এটা কোন যৌক্তিক কারণ হতে পারে না। এর পেছনে অন্য কারণ থাকতে পারে বলেও সরকার থেকে আভাস দেয়া হয়েছে।
তাছাড়াও মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে শুরু করে। সে অনুযায়ী শুধু সরকারীভাবে মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন খাতে কর্মী পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে কাজ করতে আগ্রহীর সংখ্যা কম হওয়ায় ওই উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। পরে মালয়েশিয়ার জনশক্তির জন্য বাংলাদেশ ‘সোর্স কান্ট্রির’ তালিকায় এলে সেবা, উৎপাদন, নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশী কর্মী নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়। পরে মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তিও শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির কর্তৃপক্ষ স্থগিত করেছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নিয়োগের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতোসিরি রিচার্ড রায়ট আনক জাইম। কিন্তু পরদিন সকালেই দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি এক অনুষ্ঠানে বলেন, আপাতত কোন দেশ থেকেই কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না। এ ঘোষণার পর প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শামসুন্নাহার বলেন, মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অফিসিয়াল নয়। এ বক্তব্যে ১৫ লাখ কর্মী নিয়োগের কোন ক্ষতি হবে না। এটা দেশটির রাজনৈতিক অবস্থার ওপর দেয়া বক্তব্য। তবে আমরা আশাবাদী মালয়েশিয়া চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে কর্মী নিয়োগের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরের নাজিরাটেক পয়েন্টে অভ্যন্তরীণ কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সরকারী ওয়েবসাইটে কার্গো বিমান চলাচলে দেশটির নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। ‘বাংলাদেশ বিমানবন্দরের হালনাগাদ তথ্য’ শীর্ষক ঘোষণাটিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ে এখনও ঘাটতি রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পরিবহন করতে দেয়া হবে না। তবে অন্যদেশ হয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়া যাবে। এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এখন নড়েচড়ে বসেছে।
এসব ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে অংশ হিসেবে এ কর্মকান্ড ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। সরকারকে অস্থির করে পছন্দের দলকে ক্ষমতায় বসাতে একের পর এক এই জাতীয় কর্মকান্ড ঘটানো হতে পারে। এছাড়া সরকারকে ভারতপ্রীতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিং এর মাধ্যমে চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ফিলিপিন্সে এবং ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কায় পাচার করা হয়।
এসব ঘটনার সুরাহা হতে না হতেই অস্ট্রেলিয়ার পর যুক্তরাজ্য সরকার তাদের দেশে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো বিমান সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করায় এক ধরনের বাড়তি উদ্বেগ বিরাজ করছে। এতে গার্মেন্টস সেক্টর ছাড়াও কাঁচামাল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পচনশীল জিনিসপত্র রফতানিকারকরা মহাবিপাকে রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় কার্গো সার্ভিস বন্ধ হলেও গার্মেন্টস সেক্টরে বড় ধরনের কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার বেশি বড় নয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার রয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তৈরি পোশাক বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে যায়। যুক্তরাজ্য কার্গো সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ অন্য দেশ দিয়ে যুক্তরাজ্য দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পাঠাতে অনেক সময় লাগবে। সেই সঙ্গে বাড়বে ব্যয়, যা গার্মেন্টস সেক্টরে নানাদিক থেকে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এজন্য যুক্তরাজ্যের এমন নিষেধাজ্ঞা বড় ধরনের আতঙ্কের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আবারও গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা দীর্ঘদিন থাকলে যুক্তরাজ্যের দেখাদেখি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে আগামী তিন মাস পর গার্মেন্টস সেক্টরে ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাকে পঙ্গু করতে দেশের বিপুল পরিমাণ রিজার্ভ লোপাট করেছে দেশী ও আন্তর্জাতিক চক্র। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ লোপাট, জিএসপি সুবিধা বাতিল, যুক্তরাজ্যে কার্গো বিমান নিষিদ্ধ, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো এক সূত্রে গাঁথা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এসব কর্মকা- বাংলাদেশের অগ্রগতিকে পিছিয়ে দিতে দেশী-বিদেশী চক্রের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রে অংশ কিনা ত নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকারের উচিত কঠোর হস্তে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা। সরকার ইতোপূর্বে অবশ্য অনেক কঠিন ষড়যন্ত্র দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করে এসেছে। আশা করি সম্প্রতি সৃষ্ট সমস্যাগুলো সরকার দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করতে পারবে। আর তা না করলে দেশের অগ্রযাত্রা যে মারাত্মক ব্যহত হবে তা সহজেই আচ্ করা যায়।

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পথ হারিয়ে-খুঁজে ফিরি

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৩


মনটা ভালো নেই। কার সাথে কথা বলবো বুঝে পাচ্ছি না। বন্ধু সার্কেল কেও বিদেশে আবার কেও বা চাকুরির সুবাদে অনেক দুরে। ছাত্র থাকা কালে মন খারাপ বা সমস্যায় পড়লে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×