somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ আলোচনা-সমালোচনা ও কিছু কথা

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাহবুবুল আলম //

বাংলাদেশ সরকার দেশে পিস টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। ১০ জুলাই ২০১৬ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১২ দপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকে বাংলাদেশে পিসটিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বিতর্কিত ইসলামী চিন্তাবিদ জাকির নায়েকের বক্তৃতা ও পিস টিভি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন অনেকেই জঙ্গি কর্মকান্ডে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে এমন সংবাদ প্রকাশের পর 'পিস টিভি'র সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকার গুলশানের জঙ্গি হামলার পর হামলাকারীদের কয়েকজন তার বিভিন্ন বক্তৃতায় নারীবিদ্বেষের প্রমাণ পাওয়া যায়। পিসটিভি বন্ধ নিয়েও বাংলাদেশে এখন আলোচনা ও সমালোচনা বেশ তুঙ্গে।
জাকির নায়েকের পিস টিভির বিরুদ্ধে অভিযোগ ভারত, বাংলাদেশসহ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মানুষের। মানুষের এমন ধর্মীয় মূল্যবোধের দুর্বলতাকে পুঁজি করে জঙ্গিবাদের উদ্ভুদ্ধ ও বিভিন্ন দেশের অমুললিম নাগরিকদের ধর্মান্তরিত করাসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে এ অঞ্চলের অনেক ধর্মীয় নেতা ও ইসলামী চিন্তাবিদ পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের জন্য স্ব স্ব সরকারের কাছে দীর্ঘদিন থেকে দেনদরবার করে আসছিল। এর মধ্যেই পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ বিতর্কিত এই চিন্তাবিদের চ্যানেল সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এগুলোর মধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে। সর্বশেষ ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কিত এই ইসলামী চিন্তাবিদ নামধারীর পরিচালনার পিস টিভি সম্প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষিত করে। জাকির নায়েক ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় এ চ্যানেলটি যে, দুবাইভিত্তিক তা জানা ছিল না বেশিরভাগ মানুষের। অধিকাংশ মানুষের ধারণা ছিল এটি একটি ভারতীয় চ্যানেল। চ্যানেলটির সম্প্রচার বছরের পর বছর অব্যাহত থাকায় ভারত সরকারের প্রতিও অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ ও ধর্মপ্রাণ মানুষ অসন্তুষ্ট হয়।
সর্বশেষ বাংলাদেশের রাজধাণী ঢাকায় গুলশান কুটনৈতিক এলাকায় হলি আর্টিজান হোটেলে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক রক্তক্ষয়ি হামলায় জানা যায় যে, নিহত জঙ্গিদের দুজন-রোহান ইমতিয়াজ এবং নিবরাস ইসলাম জাকির নায়েককে অনুসরণ করত। রোহান গত বছর জাকির নায়েকের পিস টিভির একটি অনুষ্ঠান তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিল। পিস টিভিতে সম্প্রচারিত জাকির নায়েকের এ বক্তব্যটি গত বছর ফেসবুকে শেয়ার করেছিল রোহান। এদিকে নিবরাস ইসলাম জাকির নায়েক ছাড়াও আনজেম চৌধুরী এবং শামী উইটনেসকে ২০১৪ সাল থেকে টুইটারে অনুসরণ করে আসছিল। শামী উইটনেস নামের টুইটারটি চালান ২৪ বছর বয়সী মেহেদি বিশ্বাস। তাকে ২০১৪ সালে ভারত থেকে আটক করা হয়। মেহেদি বিশ্বাসকে আইএসের টুইট একাউন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কারণে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
পিস টিভিতে প্রচারিত নাকির নায়েকের যে সব বিতর্কীত বক্তব্য নিয়ে ধর্মীয় নেতা ও ইসলামী চিন্তাবিদরা অভিযোগ করে আসছিলেন তা হলো নিন্মরূপ:
১. সকল মুসলিম পুরুষদের অধিকার রয়েছে মহিলা ক্রীতদাসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার।
২. বালিকাদের স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। স্কুলে থেকে বেরনোর সময় নষ্ট হয়ে যায় মেয়েদের নারীত্ব। স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া দরকার। ছাত্রীদের অলঙ্কার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত স্কুল কর্তৃপক্ষের।
৩. পশ্চিমের দেশগুলিতে মহিলাদের স্বাধীনতার নামে মা ও মেয়েদের বিক্রি করা দেওয়া হচ্ছে।
৪. বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে মান্যতা দেওয়া হয়েছে শরিয়া আইনে।
৫. পত্নীর গায়ে হাত তোলা মুসলিম ধর্মে খারাপ কাজ নয়। যৌন সম্পর্ক স্থাপনকালে কনডোম ব্যবহার মানুষ খুনের সমতুল্য কাজ।
৬. কোরান এবং সুন্না অনুসারে সমকামীদের হত্যা করা উচিত।
৭. ধর্মগুরুর উপদেশ মেনে আত্মঘাতী হামলা করা খারাপ কাজ নয়। ওসামা বিন লাদেন ৯/১১ কাণ্ডে জড়িত ছিল বলে মনে করেন না তিনি। ওই ঘটনা আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বলে দাবি করেছেন মুম্বই ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রধান জাকির নায়েক।
এ ছাড়াও জাকির নায়েকের আরও কিছু বিতর্কিত মন্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র নিউজ লিংকের তথ্য থেকে জানা যায়। জাকির নায়েকের বিতর্কীত বক্তব্য এখানেই শেষ নয় তিনি সৃষ্টিতত্ত্ব, সন্ত্রাসবাদ, সমকামসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার নিজস্ব মতবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
সৃষ্টিতত্ত্ব প্রসংগে বলেছেন, ‘ডারউইনের বিবর্তনবাদ কেবল একটি তত্ত্ব মাত্র, বাস্তবতা নয়; আমি বিশ্বাস করে সৃষ্টিতত্ত্বে।... আমি একজন ডাক্তার, এ বিষয়ে আমি বোকাদের সঙ্গে তর্ক করতে চাই না।’
তিনি সরাসরি সন্ত্রাসবাদের পক্ষাবলম্বন করে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের ভয় দেখাতে হলে সব মুসলমানকেই টেররিস্ট হতে হবে। ওসামা বিন লাদেন যদি ইসলামের শত্রুদের বিপক্ষে লড়েন, আমি তার পক্ষে আছি। তিনি যদি দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী আমেরিকার বিরুদ্ধে ত্রাস সৃষ্টি করেন, আমি তার পক্ষে আছি।’
নাইন-ইলেভেনে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলা প্রসংগে বলেছেন, ‘ওই হামলার জন্য আল কায়েদা দায়ী নয়। এমন কি একজন বোকাও বলবে, ওই ঘটনা তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নিজেরাই ঘটিয়েছে।’
সমকাম বিষয়ে তার মতবাদ হলো: তারা পাপিষ্ঠ, মানসিক অসুস্থতায় তারা ভুগছে। সমকামের শাস্তি হওয়া উচিৎ মৃত্যুদণ্ড।’
জাকির নায়েক অন্য ধর্ম নিয়েও কথা বলে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন,‘ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। গির্জা আর মন্দির বানানো আমরা কীভাবে সমর্থন করতে পারি, সেখানে তাদের ধর্মই ভ্রান্ত?’ যারা ধর্ম ত্যাগ করে, তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ।
অন্য ধর্মে বিয়ে প্রসংগে বলেছেন,‘ যদি আপনার একটি বাহন থাকে যার এক টায়ার সাইকেলের, আরেকটি ট্রাকের, তাহলে সেই বাহন চলবে না। যে মুসলমান মেয়ে কোনো হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করবে, তাকে আল্লাহ কখনও ক্ষমা করবেন না। তার উচিৎ হবে স্বামীকে আল্টিমেটাম দেওয়া, যাতে সে ইসলাম গ্রহণ করে।’
পোশাক পরিধান প্রসংগে বলেছেন,‘ শরীর দেখানো যদি আধুনিকতা হয়, তাহলে পশুরা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক।
এ পর্যায়ে জাকির নায়েক সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক। ৫০ বছর বয়সী জাকির নায়েক মুম্বাইয়ের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। অন্য ধর্মকে নিয়ে মন্তব্য এবং ওসামা বিন লাদেনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে বিভিন্ন সময়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। জাকির নায়েক পরিচালিত এই মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান হল এই পিস টিভি। এ টিভিতে ধর্ম নিয়ে আলোচনায় ইসলামের যে ব্যাখ্যা তিনি দেন, তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও ইসলামী নেতার পক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে।
দুবাই ভিত্তিক এ চ্যানেলটি ডাঃ জাকির নায়েক ভারতীয় নাগরিক হলেও ভারত সরকারের পক্ষে এ চ্যানেলের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হওয়ার কথা নয়। শেষ পর্যন্ত ডাঃ জাকির নায়েকের লেকচারের মাধ্যমে জঙ্গীপনার উস্কানি ও উন্মাদনা ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ভারত সরকার ৯ জুন ২০১৬ শনিবার সে দেশে এ চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। এর পাশাপাশি সে দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষের দাবি উঠে ডাঃ জাকির নায়েককে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার। ভারতের স্বনামধন্য আলেমদের পক্ষেও ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলা হয়েছে। ১৯৬৫ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া জাকির নায়েক কিষানচাঁদ চেলারাম কলেজের পর টোপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন। পরে বিওয়াইএল নায়ার চ্যারিটেবল হাসপাতালেও পড়েন তিনি। এরপরই নতুন করে আলোচনায় আসেন ভারতের মহারাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া চিকিৎসক জাকির নায়েক, যিনি বিভিন্ন সময় ইসলাম ধর্ম, জঙ্গিবাদ, জিহাদ নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মালয়েশিয়ায়।
তার বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগের বিষয়ে ২০১০ সালে এক প্রেস কনফারেন্সে জাকির নায়েকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, যুক্তরাজ্য কেন তাকে নিষিদ্ধ করেছে। জবাবে তিনি জানান, সকল মুসলিমকে সন্ত্রাসী হওয়ার অনুপ্রেরণা দেওয়ার কারণে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘আমি মুসলিমদের বলেছিলাম, সকল মুসলিমের সন্ত্রাসী হওয়া প্রয়োজন। টেররিস্ট বা সন্ত্রাসী হলো সেই ব্যক্তি যে অন্যদের টেররাইজ বা ভীত সন্ত্রস্ত করতে পারে। যখন একজন ডাকাত পুলিশকে দেখে তখন সে ভয় পায়। সে কারণে একজন ডাকাতের জন্য পুলিশ একজন সন্ত্রাসী। সেদিক থেকে সব মুসলিমেরই ডাকাতের কাছে সন্ত্রাসী বলে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশেও জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জাকির নায়েক ও তার পরিচালিত পিস টিভির ভূমিকা থাকলে তদন্তসাপেক্ষে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল আলেম, উলামা ও ইসলামী চিন্তাবিদরা। এমন অবস্থায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জাকির নায়েক ও পিস টিভির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। উত্তর প্রদেশে বারেলী এলাকায় ঈদের জামাতের খুৎবায় মুসলিম নেতারা জাকির নায়েককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। জাকির নায়েকের ধর্মীয় ব্যাখ্যাকে ভুল আখ্যা দিয়ে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় কওমি মাদরাসা দেওবন্দের আলেমরা ফতোয়াও দিয়েছেন।
বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েক নানা কারণে সমালোচিত। তিনি ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত কোন স্কলার নন। অথচ, কোরান ও হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে আসছিলেন। দেশ ও বিশ্বের অনেক আলেমই তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। বিজ্ঞানের মিশেলে ইসলামের বাণী প্রচারের নামে মূলত তিনি মুসলিমদের আলোকিত হওয়ার পথ রুদ্ধ করার চেষ্টায় রত ছিলেন। নিজে একজন চিকিৎসক হয়ে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত না থেকে তিনি যে কর্মে নিয়োজিত হয়েছেন এর পেছনে ধর্মের চেয়েও অধিক ছিল তার ব্যক্তিগত লাভালাভ। চিকিৎসা পেশায় না থেকে ধর্মীয় বক্তা হওয়ায় তার পরিচিতি এবং আয় উপার্জনও হয়েছে বহুগুণ বেশি। ভারতের মুম্বাই ভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের দ্বারা পরিচালিত হয় পিস টিভি। জাকির নায়েক নিজেই এই চ্যানেলের উদ্যোক্তা। এক অর্থে ওই ফাউন্ডেশনের কর্ণধারও এই জাকির নায়েক। প্রকারান্তরে তিনি পিস টিভির মালিকও। এই ফাউন্ডেশন ও চ্যানেলটি তার আয়-উপার্জনের মাধ্যমও। ২০১১ সালে ২২ এপ্রিল শুরু হয় পিস টিভি বাংলা চ্যানেল। এছাড়া বিভিন্ন ভাষায় এই চ্যানেলে জাকির নায়েকের বক্তব্য প্রচারিত হয়ে থাকে। তাছাড়াও তিনি পিস টিভি পরিচালনার জন্য যেভাবে ফেতরা ও যাকাতের অর্থ প্রেরণের আহ্বান জানিয়ে থাকেন তা নিয়েও রয়েছে সমালোচনা। এক্ষেত্রে ইসলামিক চিন্তাবিদগণের বক্তব্য হলো: ফেতরা-যাকাত গরিবের হক। এই অর্থে ভুখানাঙ্গা মানুষের দু’বেলা খাবার বা গরিবের বাসস্থান হতে পারে। কিন্তু ফেতরা-যাকাতে টিভি চ্যানেল চলতে পারে না। অথচ, দীর্ঘদিন ধরে এ কাজটি তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তার বিষয়ে আরও জানা যায় যে, সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতায় ওহাবি মতবাদ প্রচারকারী হিসেবে জাকির নায়েককে সন্দেহের চোখেও দেখেন অনেক মুসলিম পণ্ডিত। এর প্রমাণ মেলে ‘ইসলামের সেবক’ হিসেবে ২০১৫ সালে সৌদি আরব সরকার ‘বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ দেয় জাকির নায়েককে।
পরিশেষে বলতে চাই, এত এত অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে পিস টিভি নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে এখানে সরকারের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে । একপক্ষ এটিকে দেখছেন, ভারতের প্রতি নতজানু নীতি হিসেবে। বুঝে হোক বা না বুঝে হোক কিছু কিছু আওয়ামী লীগার ওদের সাথে সুর মিলাচ্ছেন। ভাবখানা এমন যে পিস টিভি বন্ধ হওয়ার কারণে বোঝি এ অঞ্চল থেকে ইসলাম ওঠে গেল। তবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সাধারণ মানুষের যে প্রতিক্রিয়া প্রচার করছে তাতে দেখা যায় দেশের সিংহভাগ মানুষ পিস টিভি বন্ধকে স্বাগত জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো এ বিতর্ক কত দিন চলে।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×