আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে লিখছি মাত্র-
আমার কাছে মনে হয় চাটুকর বিত্তিতে আমরা অনেকটা এগিয়ে। ২৪বছর কর্মজীবনের অভিজ্ঞতায় মনে হয়ছে আমরা যতটা না পরিশ্রমী তার থেকে অনেক অনেক বেশিগুনে চাটুকারিতায় এগিয়ে। ২০০০-২০০২সাল পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিত্বের সংস্পর্শে কিছু কাজ করতারম (কমপিউটার কম্পোজ), এপর প্রায় বছর খানে মিডিয়া পারায় যাতায়ত ছিল একটি বিশেষ এক ব্যাক্তির কিছু ম্যাগাজিনের কাজ করার সুবাদে। সেখানে আমার দেখা ব্যাক্তিত্বহীন ব্যাক্তিকে কিভাবে চাটুকারের দল অতিব্যাক্তিত্ব বানিয়ে দেয়। যাক সেটা রাজনৈতিক দিক, ২০০৩সাল থেকে চাকুরী নামক আধুনিক দাস হিসেবে নিজেকে ফেলে আধুনিক দাসত্বে আটকে যাই। প্রথমে চাকরী করি একটা তাইওয়ান ভিত্তিক কোমাম্পানীতে, এরপর কোরিয়ান তারা পরিবর্তিত হয় ইটালিয়ান কোম্পানীতে, পরবর্তীতে বাংলা একটা কোম্পানী, আবার আমেরিকান বেজ একটা কোম্পানী আবার ২টা বাংলাদেশী কোম্পানী সর্বশেষ একটি পাকিস্থানী মালিকানাধীন কোম্পানীতে কর্মরত।
এটা আমার কর্মজীবনের কর্মক্ষেত্রের ধারাবাহিকতা যেখানে প্রকাশ যোগ্য দিন কাজ করেছি ফাঁকে শর্ট টাইম চাকরী করেছি একটি রাশিয়ান কোম্পানীতে, কয়েকটি বাংলাদেশি কোম্পানীতে, সে হিসেবে ধরত গেলে আমার ১২নাম্বার চাকরী চলমান। আর এই ১২টার চাকরী সুবাদে বিভিন্নজাতির সঙ্গে কমবেশি সময় গেছে, পরিচিতি হয়েছি, কাজ করেছি বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষের সঙ্গে। তার মধ্যে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে সেটা হল স্বজাতিকে অবমূল্যায়নে আমাদের থেকে বেশি কেও পারদর্শী না। আমাদের পাশাপাশি যদি কাউকে রাখা যায় সেটা হল পাকিস্থানী জাতি, তারাও স্বজাতির বিরুদ্ধে কথা বলাতে বেশ এক্সপার্ট।
আমার কর্মজীবনে দেখা যদি কোন সাদাচামরার লোক হয়- আলটিমেট আমাদের দেশের লোকেরা তাকে প্রভু ভাবে, ধরে নেয় তার আর্শিবাদ, অনেক ধনী মানুষ, এদেশে এসেছে টাইম পাস করতে, তার পিছনে ঘুরতে থাকবে, বসবস বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলবে। কোম্পানীর অনেক জুনিয়র পদে থাকা বিদেশীদের এদেশীয় উচ্চপদে থাকা লোককেও দেখি বস -বস, স্যার বলে তেল মারতে প্রভুভক্ত কুকুরের মত। যার ফলে তারা আমাদের পেয়ে বসে, শুরু করে অবমূল্যায়ন, আমাদের শোষণ করে যায় ইচ্ছেতালে। সমযোগ্যতার একজন বিদেশী বেতন নিয়ে যায় ৫-১০হাজার ডলার, ঠিক একই কাজ করে একই যোগ্যতার এদেশেী লোককে ২/আড়াই লাখে সীমাবদ্ধ রাখে। আর যে বেটা (এদেশীয়) ২/আড়াই লাখ বেতন পায় তার পিছনে লেগে থাকে আমাদের স্বজাতিরাই, তার যত ত্রুটি আছে তার সাথে বহুগুন বাড়িয়ে সব তুলে ধরে ভিন্নদেশীদের কাছে যার ফলে আমরা অটো মনিটরিং সিস্টেমে আবদ্ধ হয়ে যাই।
এশিয়ার মধ্যে স্বজাতি প্রেমি বা একতাবন্ধ যদি কাউকে দেখা যায় সেটা হল শ্রীলংকান, তার পরই আসে তাইওয়ানিজ, এরপর চাইনিজ। শ্রীলংকানেরা একজন কোথাও গেলে তাদের দেশ থেকে আরো ২/৪জন নিয়ে আসবেই আসবে এবং অদক্ষ হলেও হাতে ধরে দক্ষ করে গড়ে তোলে এবং মালিকপক্ষের কাছে দক্ষ হিসেবে সর্বদা উপস্থাপন করে। পক্ষান্তরে আমাদের দেশের লোকেরা কাউকে সাহায্যতো করবেই না উল্টা দক্ষলোককে কিভাবে অদক্ষ বানিয়ে নিজে একটু সুবিধা নিবে সে ধান্দায় সদা ব্যস্ত থাকে। আবার ভিন্নদেশী যদি কেও রাগারাগি করে বা গালিও দেয় সেটাকে আমরা হাসি মুখে মেনে নিয়ে কাজ করে চলি, জ্বি বস, ইয়েস বস করতে করতে, কিন্তু যদি এদেশীয় লোক কেও রাগারাগি করেছে তার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করার জন্য উঠে পরে লেগে যাই যার ফলে এদেশী বহু মালিক অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট হিসাবে বিদেশী নিয়োগ দিয়ে থাকে।-------------------------
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭