সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের একটি সম্মিলিত বাহিনীর মাধ্যমে জামাতী জঙ্গীদের নির্মূল করার জন্য শীঘ্রই “অপারেশন ফ্রিডম” নামে দেশব্যাপী একটি অভিযান চালানোর ব্যাপারে সরকার নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র মতে, সাম্প্রতিককালে জামাত-শিবিরের ভয়াবহ আক্রমণ এবং তাদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে সকল মহল থেকে আলোচনা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জনগণও ব্যাপকভাবে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে মহাআতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে, দেশের প্রধান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ বিভিন্ন কারণে তাদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছে। ফলে তারা হরতালকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করছে। গত কয়েকদিনে পুলিশের গুলিতে বহুলোক হতাহত হবার পর বিষয়টি সরকারকে ভাবিয়ে তুলছে।
সরকারর শেষ সময়ের এই পরিস্থিতি গত বিএনপি সরকারের ক্লিনহাট পূর্ববতী সময়ের সাথে তুলনা করেছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি সরকার তাদের ক্লিনহাট অপারেশন এবং র্যাব গঠনের মাধ্যমে যথেষ্ট সুফল পেয়েছিলো। কাজেই নাজুক পরিস্থিতিতে এ সরকারেরও উচিৎ সর্বশক্তি দিয়ে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা জামাত-শিবির চক্রকে নির্মূল করা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুব শীঘ্রই “অপারেশন ফিড্রম” নাম দিয়ে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি এবং পুলিশের সৎ মেধাবী ও যোগ্য সদস্যদের বাছাই করে একটি চৌকস বাহিনী গঠন করা হবে। এবং এই বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা এবং ইনডেমিনিটি প্রদান করে সারাদেশের জঙ্গীদের অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য মাঠে নামানো হবে।
সূত্র মতে, অপারেশন ফ্রিডম চলাকালীন সময়ে দেশে বিশেষ ধরণের জরুরি অবস্থা জারী করা হবে। ঐ অবস্থায় অপারেশন ফ্রিডমের কর্মকান্ডের খবর প্রকাশে বিশেষ বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে। অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য হবে স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গী, সন্ত্রসী, চিহ্নিত অপরাধী এবং ক্ষেত্র বিশেষ দূর্নীতিবাজদের দমন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি নিশ্চিত করেছে যে, সরকারি দলের ছত্রছায়ায় যেসব লোক বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত তাদেরকেও এই অপারেশনের আওতায় আনা হবে।
সূত্র ও কৃতজ্ঞতায়:http://www.dnewsbd.com/single.php?id=20197