প্রায় হাজার খানেক কবিতার
কবোষ্ণ শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমার
নীরব অভিমানগুলো এতোদিন সরব হয়েছে;
আমিও প্রজাপতি মন নিয়ে প্রতিটা কাব্যে
উড়ে উড়ে জলছবি এঁকেছি।
কেউ কেউ প্রকাশ্যেই বলেছে, 'কীসব লিখো?
আদৌ কি কবিতার সঠিক সংজ্ঞা জানো?
ভুল ব্যাকরণে শব্দের চাতালে শব্দ সাজালেই
কাব্য হয় না- এসব ন্যাকামো আর কত?'
কবিতা ব্যবচ্ছেদ করে প্রণয়ের তৃষ্ণা ভুলেছি,
কেউ আবার 'কবিতাময়ী' বলে স্নেহ, ভালোবেসে;
অথচ- শাব্দিক বাঙময়তায় অতিষ্ঠ নিউরন,
তবুও মাঝরাতে খুঁচিয়ে যায় অজানা শিহরণ;
কখনোবা তুমুল বিদ্রোহে সবকুছুই লণ্ডভণ্ড
করে দেবার পায়তারায় পার করে সমস্ত দিন।
আমি দেখে যাই দলিত সুনীল স্বপ্ন অনিমিখ চোখে,
শুনে যাই একাকী নিরালায়, বেদনারা কীভাবে কাঁদে,
একদিন আমিও নিথর হবো অতৃপ্ত শব্দের শোকে;
শিমুল তুলোর মত অস্ফুট ফুরফুরে ভাবনারা,
সেদিনও দেহের পরতে লিখে যাবে অপাঠ্য কবিতা।
(কবিতা দিবসে হাবিজাবি লেখা)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২২