আমি সত্যজিৎ এর সমান বড় নই। তাঁর কাজের সমালোচনা করার সাহসও আমার নেই। কিন্তু আমি পাঠক। যেহেতু আমি তাঁর ফেলুদা পড়েছি। সেহেতু আমি তাঁর পাঠক। এবং পাঠক হিসেবে অবশ্যই আমার ব্যক্তিগত মতামত আছে।
সেই পাঠক মতের বিচারে ফেলুদাকে আমার গোয়েন্দা গল্প মনে হয় নাই কখনোই। কারণ??? হ্যাঁ কারণে আসছি এবার।
কারণটা হল "ডিডাকটিভ মেথড"। ডিডাকটিভ মেথড নামটা শুনলেই যে কেউ একবাক্যে বলে বসবেন, গোয়েন্দা গল্পে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। কিন্তু আমার কাছে এই জিনিসটাকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, গোয়েন্দা গল্পের ক্ষেত্রে। এবং ডিডাকশন মেথড ছাড়া একটা গল্প কিভাবে গোয়েন্দা গল্প হয় সেটা আমার ঠিক বুঝে আসে না।
কিন্তু এটা ডিডাকটিভ মেথডের তেমন কোন ছিঁটেফোঁটাও ফেলুদাতে পাওয়া যায় না। ফেলুদা যা করে: অঘটন ঘটে, ফেলুদার ঘাড়ে সেটা সলিউশনের দায়িত্ব পড়ে, ফেলুদা করে ফেলে সেটা। কিন্তু ফেলুদা কিভাবে সেটা করলো তার কোন খবর নেই।
ঠিক কোন সূত্রগুলো থেকে ফেলুদা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছালো, সেই ডিডাকটিভ মেথডের প্রয়োগ ফেলুদাতে খুব একটা দেখাই যায় না।
অন্যদিকে শার্লক হোমসের দিকে তাকাই। শার্লক হোমস প্রত্যেকটা কেস সলিউশনের পর তার ডিডাকশন প্রসেসটা ব্যাখ্যা করে আগাগোড়া। কিন্তু ফেলুদাতে সেটা দেখা যায় না খুব একটা। তবে হ্যাঁ থ্রিলার গল্পের সবই আছে ফেলুদাতে। পুরো গল্পেই যথেষ্ট থ্রিল অনুভব করতে পারা যায়। সে হিসেবে ফেলুদা হল একটা থ্রিলার ক্যারেকটার, তবে শার্লক হোমসের মত গোয়েন্দা নয়....। আমি অন্তত মানতে নারাজ।
N.B:
১. এটা আমার পাঠক হিসেবে মতামত, লেখক হিসেবে নয়।
২. সত্যজিৎ রায়ের মত বড় মানুষের কাজ নিয়ে সমালোচনা করার আপনি কে টাইপের কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৩. যুক্তি সহ এবং সহনশীলতার সাথে ছাড়া কেউ কোন কমেন্ট করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮