বৃষ্টি ভিলা নামের ছাত্র মেসের মালিকের মেয়ের নাম কিন্তু বৃষ্টি ছিল না। মালিক ছিল নি:সন্তান। আসল ব্যাপারটা হল মেসটা বানানোর পর যেদিন টিনের ছাউনি তোলা হয় সেদিন হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে গেল। আর সেটা দেখেই মালিক মশাই মেসের নাম দিয়ে দিলেন বৃষ্টি ভিলা।
সেই ভিলায় মুস্তাকিমরা থাকতো। মুস্তাকিম, তুষার, লেমন, সুরুজ ওরা সবাই। থাকতো টাক মাথাওয়ালা এক বড় ভাই। নামটা অবশ্য ভুলে গেছি। ডায়াবেটিস ছিল বড় ভাইয়ের। একটু পর পর মুতিতে যায়। মুস্তাকিমরা ষ্টপ-ওয়াচ দিয়ে গবেষনা করে বের করেছিল বড় ভাই গড়ে ২৪ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড পর পর মুতিতে যায়.........।
ফায়েজ নামে এক বড় ভাই ছিল। সে ছিল কোন এক কলেজের মাষ্টোর এবং অতি উচ্চ লেভেলের এলোমেলো টাইপের। তার এক কোট ছিল যেটা কভার ছাড়াই দেয়ালের এক হ্যাঙ্গারে মাসের পর মাস ঝুলতো....। সেটার উপর ধুলোর স্তর পড়িয়া এমন মারিফতি রং ধারন করিয়াছিল যে পোলাপাইনের থুথু চাপিলে সেই কোটের পকেটে গিয়া ফেলিয়া আসিতো।
তবে যতই এলোমেলো হোক খুব ভালো একটা গুণ ছিলো ফায়েজ ভাইয়ের। অসাধারন বাঁশি বাজাতো। প্রায় রাতেই মেসের পায়খানার ছাদে বসিয়া বাঁশি বাজাইতো। সত্যি বলতে কি চক-লোকমান এলাকাটা পুরোটাই মুখর হয়ে উঠতো তার বাঁশির সুরে। এত মোহনীয় সুর তুলতে পারতেন তিনি।
সেই ফায়েজ ভাইকে একদিন মেস থেকে বের করে দেওয়া হল। তার বাঁশির সুরে সাপ আসবে এই ভয়ে।