টিভিতে প্রায়ই দেখিতাম, সাগরের নিচে ডুবুরিরা মাছের মত পা নাড়িয়ে ঘুরছে। গায়ে টাইট পোশাক আর পিঠে একটা সিলিন্ডার।
আমার গো-হাগু ময় মাথায় তো আর ইহা খেলিলো না যে ওই সিলিন্ডারে অক্সিজেন রাখা আছে। আমার ধারনা হইলো উহার মধ্যে একটা রাজা বেলুন ফুঁ দিয়া ভরিয়া রাখা হইয়াছে। আর বেলুন যেহেতু সাগরের নিচে কাঁটা-পাথরে লাগিয়া ফাটিয়া যাইতে পারে তাই উহাকে সিলিন্ডারে রাখা হইয়াছে নিরাপত্তার জন্য।
ব্যস! ডুবুরি হইতে আর কি লাগে! এবারও রাজা বেলুন কেনা হইলো। ফুঁ দিয়া সেটা ফোলানো হইলো। এবার লম্বা আর মোটা একটা পাইপ লাগবে। আমাদের ফ্যাক্টরির মেশিনের জন্য কিনে রাখা পাইপ হইতে লম্বা দেখিয়া একটা আঙ্গুল-সম মোটা পাইপ আনা হইলো।
এবারও এক দঙ্গল ছেলে-পুলে পুকুর পাড়ে রাখিয়া আমি ডুব দিলাম।
মনে ইহাই স্বপ্ন ছিল যে আমি পানির নিচে গিয়া চোখ খুলিলে সব দেখিতে পাইবো। দেখিবো যে মাছেরা ঘোরাঘুরি করিতেছে, কোন মাছ হয়তো আমাকে গুঁতাও দেবে, অথবা আমি আবার কাউকে ধরিবারও চেষ্টা করিবো। আর যেদিকটায় ঝিনুক আছে সেদিকে গিয়া ঝিনুক খুলিয়া খুলিয়া দেখিবো কোনটিতে মুক্তা আছে।
কিন্তু ডুব দিয়া দেখি ধুর.........চুল-ছাল!!!
ডুব দিয়া চোখ মেলিয়া দেখি কিচ্ছুই দেখা যায় না। খালি সবুজ রংয়ের অন্ধকার। একটু হালকা এই যা।
কিন্তু ইহা তো আর প্রকাশ করা যাইবে না। আমি বারকতক গ্যাস ছাড়িয়া বুঝাইয়া দিলাম আমি খুব মজা করিয়া পানির নিচে ঘুরিতেছি। তারপর কতক্ষণ পর উপরে উঠিয়া কহিলাম পানির নিচের জগৎ অতিশয় সুন্দর্য, একটা কচ্ছপ তো আমার সাথে খেলিলো।
আর যেই কি আরেকজন ডুব দিতে চাহিলো আমি চটিয়া উঠিলাম, এক্ষণে নহে পরে ভাবিয়া দেখিবো।