অনিন্দ্য,
এই যে তোমাকে লিখছি, এ কিন্তু শুধুই সাদা কাগজের বুকে অক্ষরের ছুটে চলা নয়। নীল খামে ভরা নিছক চিঠি নয়। ডাক পিয়নের হাত দিয়ে তোমার দরোজায় কড়া নাড়া নয়। এ আমার তোমাকে ভালবাসবার অনন্য অবলম্বন।
তোমার দুয়ারে অবাধ্য এক প্রশ্নকে পাঠালাম।
সূর্যোদয় চেয়েছিলাম।
দিলে অমাবস্যা। বেশ। যা দিয়েছ, দু হাত পেতে নিলাম।
অভিযোগের কুপি আজ আর জ্বালবো না। আবেগের অবুঝ দাপাদাপি এখানে হতে দেব না। সমস্ত অপ্রাপ্তি গুলোকে বুকের সিন্দুকে তালা দিলাম।
শুধু তোমার দুয়ারে অবাধ্য এক প্রশ্নকে পাঠালাম।
অনিন্দ্য, তোমার চোখ দুটো আজও আমার কাছে অনন্ত গোলকধাঁধা! অপার বিশ্ময়! কি আছে ওখানে! জ্যোৎস্না না যাদু, অগ্নি না অশ্রু, মায়া নাকি বিরাগ! তা আজও অমীমাংসিত । মীমাংসার ভার তোমাকে দিলাম।
তোমার দুয়ারে অবাধ্য এক প্রশ্নকে পাঠালাম।
গভীর আলিঙ্গনেও তুমি অধরা রয়ে গেলে। মগ্নতায়, আরাধনায়, সাঁতরে, ডুবে, ভেসে, তোমার কূল পাইনি। আমার অস্থির বিষন্ন কথারা, বৈঠা হারিয়ে ভেসে গেছে কালের স্রোতে। আমাকে তুমি রাঙ্গিয়েছ আবার পুড়িয়েছ। আজ এতদিন পরে ধূলো জমা কৌতুহল, ঝেড়ে মুছে কলমের ডগায় আনলাম।
তাই, তোমার দুয়ারে অবাধ্য এক প্রশ্নকে পাঠালাম।
এমনও তো হয় কোনদিন, তুমি চাও ব্যস্ত নগরী হয়ে যাক নিঃসঙ্গ অরণ্য। ড্রিল মেশিন আর রডে হাতুড়িতে ঠোকাঠুকির শব্দ, হয়ে যাক শুকনো পাতার মর্মর। যন্ত্রিক কালো ধোয়া হয়ে যাক ফাগুন হাওয়া।
মেহেদী রাঙ্গানো, সোনার কাকন পরা, বেলী ফুল ভর্তি একজোড়া হাতের কথা মনে পড়ে? তোমাকে ছোঁয়ার আকাঙ্ক্ষায় চিরকাল বাড়িয়ে রাখা এই হাতের কথা, সেই সব দিনে কি তোমার মনে পড়ে?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২