প্রযুক্তি আসক্তি কাকে বলে তা মনে হয় নতুন করে কাউকে বলে দিতে হবে না। তরুণ প্রজন্মের মাঝে প্রযুক্তিতে আসক্তি এখন খুবই প্রকট। কিন্তু এই আসক্তিই কোকেনের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল আপনি কি প্রযুক্তিতে বা প্রযুক্তিপণ্যে আসক্ত? আপনার মাঝে নিচের উপসর্গগুলোর উপস্থিতিই বলে দিবে আপনি প্রযুক্তি আসক্ত কিনা।
★ আপনার ফোন, কম্পিউটারে ত্রুটি অথবা অনলাইনে আসতে না পারার কারণ দেখা দিলে আপনি মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন
★ দেয়ালে জলজ্যান্ত দেয়ালঘড়ি ঝুলে অথচ আপনি মোবাইল ফোনে সময় দেখেন।
★ একটা রাত কল্পনা করুন যে রাতে আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন, ল্যাপটপ চালাবেন না। ব্যাপারটা একেবারেই অবাস্তব এবং অসম্ভব মনে হবে।
★ ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার আগে ল্যাপটপ অথবা মোবাইল ওপেন করেন।
★ আপনি প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করেন, আপনার হতাশা, সমস্যা, আপরাধবোধ থেকে দূরে থাকার জন্য।
★ আপনি নিজস্ব কাজে ব্যস্ত আছেন,যখনই সামান্য বিরতি পাবেন, ইমেইল, মেসেজ চেক করার কথা সবার আগে মাথায় আসবে। যেমন ধরুন, আপনি ড্রাইভ করছেন, ট্রাফিকে লাল বাতি জললো।
★ অনলাইনে থাকাকালীন গুরুত্বপূর্ণ অথবা জরুরী কাজও বেমালুম ভুলে যান।
★ রিয়েল লাইফ থেকে আপনার ভার্চুয়াল বন্ধু বেশি। অথবা আপনি বাস্তবে যত কথা বলেন কমেন্ট বা চ্যাটাং এ তার চেয়ে বেশি কথা বলেন।
★ আপনি দিনে ৪ ঘন্টার অধিক ইনটারনেটে ব্যয় করেন যদিও আপনার পেশা ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট নয়।
★ অতিরিক্ত ব্যবহারের দরুন আপনার কাধ, চোখ ব্যাথা করছে তবু আপনি মোবাইল গেম অথবা চ্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
★ খেতে খেতে আপনি মোবাইল অথবা ল্যাপটপ অনায়াসে ব্যবহার করেন।
★ আপনার কাছের মানুষগুলো নিয়মিতই বিরক্তি প্রকাশ করে আপনার প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার নিয়ে।
কি কতখানি আসক্ত? যার যত উপসর্গ মিলবে তার আসক্তির মাত্রা তত বেশি।
এখন ছবিতে ছবিতে দেখা নেওয়া যাক পরিস্থিতি কত ভয়াবহ হয়েছে আর হতে যাচ্ছে!
১)
এই ভার্চুয়ালকে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া, জিনিসটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভয়ানক মনে হয়। প্রযুক্তি আমাদের দূরের মানুষকে কাছে আনতে যেয়ে। কাছের মানুষগুলোকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
২)
৩)
৪)
৫)
৬)
৭)
৮)
৯)
১০)
১১)
১২)
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৯