আমার বর্ণিত এই সকল কীর্তি একান্তই পোপদের ব্যক্তিগত। ইহার কারণে কেউ খ্রিস্ট ধর্মকে দোষাইতে পারিবেন না।
কারণ ইহা কোন মুসলমানের কর্ম নহে। উহারা করিলে ইসলামকে দোষানো যেতো। কিন্তু কোন খ্রিস্টধর্ম অনুসারীদের জন্য ইহা প্রযোজ্য নহে।
তাই সকলেই খুব সাবধানতার সহিত পড়িবেন।
যতোই হোক পোপরা সাধুপুরুষ। উহাদের কাছে গিয়ে আপনি যে কুকর্মই করেন না কেন......মাফ চাইলে উহারা দয়া করিয়া আপনাকে ক্ষমা করিয়া দিবেন।
আর আমাদের পর্দানশীন হিজাব পরিহিতা সিস্টারদের নিষ্পাপ চরিত্র নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনা। উনারাতো সমালোচনার উদ্র্ধে........
এবার খুব সাবধানতার সাথে খ্রিস্টের নাম আর মনে ক্রুশের চিহ্ন স্মরন করিতে করিতে পড়া শুরু করুন-
খ্রিস্টানরা খ্রিস্ট যীশুর নামে বুকে ক্রুশ রাখে। কিন্তু এই যীশুরই প্রচুর নগ্নছবি তারা এঁকেছে, প্রকাশ করেছে। এমনকি তাদের অনেকের রচনায়ই শুধু নয় যীশুকে সমকামী বানিয়ে তাদের অনেক সিনেমাও তৈরি হয়েছে।
বাইবেলে নবী সম্পর্কে চরিত্রহীনতা মাতলামিসহ বহু অপবাদ দেয়া হয়েছে। আর মূলত সে কারণেই খ্রিস্টানরা জন্মগতভাবে এসব পাপাচারে মগ্ন থাকে। এবং এটা এখন এতই ব্যাপকতা লাভ করেছে যে খোদ পোপরা পর্যন্ত একে একে সবাই সাধারণ ব্যভিচার নয় সমকামিতার মত জঘন্য পাপাচারে রীতিমত ভয়াবহ আসক্ত ও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
মূলত রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে চার্চের শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নতুন কোনো ঘটনা নয়। যদিও চার্চের যাজকদের এসব কুকর্মের খতিয়ান ইহুদী-খ্রিস্টান নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় খুব কমই প্রকাশ হয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র: ২০০৩ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চার হাজার রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। আর তাদের হাতে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শিশু নির্যাতিত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই ছিল ছেলে।
নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, ফাদার লরেন্স মার্ফি নামের উইন্সকনসিনের ওই যাজকের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক বধির শিশুকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ ছিল। ফাদার লরেন্স মার্ফি ২৪ বছর ধরে উইন্সকনসিনের একটি বধির শিশুদের স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
জার্মানি: ২০১০ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছে, তারা যাজকদের দ্বারা যৌন ও শারীরিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এমনকি পোপের নিজ ভাইয়ের পরিচালিত একটি স্কুলের বিরুদ্ধেও শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। গত ৩০ মার্চ জার্মানির ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি ‘হটলাইন’ চালু করেছে। জার্মানির ট্রিয়ারের বিশপ স্টিফেন আকরেমান জানিয়েছেন, ১৯৫০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০ জন ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
নেদারল্যান্ডস: নেদারল্যান্ডসের ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের প্রায় ২০০টি অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সব অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের আরো অনেক অভিযোগ বের হয়ে আসছে।
অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়াতে ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের ক্রমিক অভিযোগ উঠছে। বিগত অর্ধশতাব্দী ধরে চলে আসা এসব ঘটনা নিয়ে এখন অনেকেই মুখ খুলছেন। প্রায় ১৬ জন এ রকম ২৭টি ঘটনার কথা বর্ণনা করেছেন। পাঁচজন ধর্মযাজক যৌন নিপীড়নের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন। একজন ধর্মযাজক প্রায় ৪০ বছর আগে একটি যৌন নিপীড়ন করার ঘটনায় পদত্যাগও করেছেন।
সুইজারল্যান্ড: ক্যাথলিক চার্চগুলোতে সংগঠিত শিশু যৌন নিপীড়ন তদন্ত করার জন্য ২০০২ সালে সুইজারল্যান্ডে একটি কমিশন গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি সেই কমিশনের একজন সদস্য বলেছেন, একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে প্রায় ৬০ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ধর্মযাজকের দ্বারা।
আয়ারল্যান্ড: এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মীয় আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিশুদের উপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়। সর্বশেষ ২০১০ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের এক ক্যাথলিক চার্চ প্রধানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আবারও উত্থাপিত হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের ঘটনার পর ভ্যাটিকান নড়েচড়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট আয়ারল্যান্ডে ধর্মযাজকদের দ্বারা শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
বলাবাহুল্য, ইতোমধ্যে গোটা বিশ্বে রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে ‘ছি! ছি!’ রব উঠেছে। ভ্যাটিকান-এর চরিত্রহীনতা গোটা বিশ্বে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি খোদ পোপের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ক ধর্মযাজকদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এ অবস্থাকে আরো উন্মাতাল করেছে।
উল্লেখ্য, খ্রিস্টান-ধর্মযাজক, পাদ্রী, নান, ফাদারদের জন্য বিয়ে-শাদী, ঘর-সংসার, যৌনাচার জায়িয নয়। এটা হল বৈরাগ্যবাদ। এটা তাদের ধর্মের বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪