somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“পর্দা” লইয়া একখান রম্য

২১ শে মে, ২০১২ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্দা’র বিষয়ে লিখিতে বসিয়া বড় টেনশন ফিল করিতেছি। না জানি, কাহার গাত্রে আবার দাউদাউ করিয়া আগুন জ্বলিয়া উঠিলো? কেহ আমার চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধারেও উঠিয়া-পড়িয়া লাগিয়া গেলেন কিনা, তাহা ভাবিয়া সত্যই আশংকাবোধ করিতেছি! কেহ চটিয়া থাকিলে বিনীত করজোড়ে বলিতেছি, চটিবেন না। কারণ আমার কথাতো এখনো শুরুই হয় নাই, কিংবা শেষও করি নাই; পুরাপুরি না শুনিয়া অযথা চটিবার কী আছে? অবশ্য অনেকের আবার এমন বাতিক আছে কিনা, কাহারো জবানে অপ্রিয় সত্যকথা শুনিলেই ব্যস, আর যায় কোথায়! আগাগোড়া শোনা দূরের কথা, তাহাদের অযোক্তিক লম্ফ-ঝম্ফই শুরু হইয়া যায়।
তেমনি ’পর্দা’ বলিতেই যাহারা অজ্ঞান, তাহাদেরও আনন্দিত হইবার কোনো কারণ নাই। আমি পর্দা’র ওয়াজ কিংবা উহার গুণগান করিতেও কলম ধরি নাই! বরং আমার মনের পর্দায় ঢাকা কতক দুঃখ-বেদনার গুঁমোট কাহিনী শুনাইতেই এত কথার প্রলাপ বকিতে হইতেছে, আরকি? আমি অনলবর্ষী কিংবা নামকরা বক্তাও নই, তাই ভুল-ত্রুটি হইলে এই কমবক্তার উপর দোহাই কেহ ক্রুদ্ধ হইবেন না। আমার ঠিক ’হাইপার টেনশনব্যামো’ আছে কিনা-তাই হঠাৎ অক্কা পাইবার সমূহসম্ভাবনা রহিয়াছে। অতএব দয়া করিয়া অযথা রাগ করিবেন না। নতুবা এ অধম অক্কা পাইলে পর্দা টাংগাইয়া গোছল করাইতে কিংবা কাফন পড়াইয়া কবরস্থ করিবার মতো ধকল নির্ঘাত আপনাদেরই সামলাইতে হবে।

যাহাই হউক, আজকাল পর্দা’র বহুত রকমফের বাহির হইয়াছে বলিয় শুনিতেছি, আপনারাও নিশ্চয় শুনিয়া থাকিবেন? মনের পর্দা, চোখের পর্দা, কানের পর্দা, ঘরের পর্দা, দরজার পর্দা, জানালার পর্দা, আরো কত কী? তওবা, তওবা- আরেক পর্দার কথাতো বেমালুম ভুলিয়াই গিয়াছিলাম। ভুলিয়াইবা যাইবোনা কেনো- সেকেলে সাম্প্রদায়িক হইবার ভয়তো আমারো থাকিবার কথা। কাজেই মাঝে মাঝে না ভুলিলে চলিবে কেমন করিয়া?
তাহাদের আফসোসের কথা যুক্তিযুক্ত কিনা ভাবিয়া দেখি নাই; কিন্তু প্রগতিশীল ভদ্র মহিলাদের উন্নতির প্রচন্ড গতির কথা না ভাবিয়াও পারি নাই। ঠিকই তো, একবিংশ শতাব্দীর চরম অগ্রগতির যুগেও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতিত মাতৃজাতিকে পর্দার অন্তরালে শুধু সন্তান জন্মদান আর প্রতিপালনের জন্যই কোনঠাসা করিয়া রাখিবার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ থাকিতে পারে কি? তাহাদের সেবা, রূপ-সৌন্দর্যকে পারিবারিক গন্ডিতে আবদ্ধ রাখিয়া একজনমাত্র পুরুষইবা কেনো শুধু ভোগ করিবে, তাহা হইতে গোটা জাতিকে বঞ্চিত রাখা কি সত্যই বৈষম্যমূলক হইতেছে না! সেকেলে মা, খালা, ফুফু, চাচী, নানী, দাদীদের মতো ইহাদের এতো বোকা ভাবিয়া প্রকৃতপক্ষে পুরুষসমাজ দেশ-জাতির কতই না ক্ষতিসাধন করিয়া চলিয়াছে। ‘নদী কভূ পান নাহি করে নিজ জল, তরুগন নাহি খায় নিজ নিজ ফল।‘ অথবা ’’ফুল ফোটে অপরের জন্য’ এইসব চিরসত্য কথার অনুসরণে নিত্যনতুন কসমেটিক্সের উগ্রগন্ধ মাখিয়া এবং বাহারী সাজে সজ্জিত হইয়া উলংগ- অর্ধ উলংগ পোশাকে প্রজাপতির মতো যদি বেড়ানোই না গেলো, তবে আদমকে গন্ধম খাওয়াইয়া নারীজীবনকে সার্থক করিবে কে!

সেদিন টিভিতে সেক্সি সাজে সজ্জিত কতিপয় উঠতি বালিকার ডিস্কো নৃত্য শুরু হইতেই আমার মুখ ফসকাইয়া হঠাৎ বাহির হইয়া গেলো–ছিঃ ছিঃ, ইহাদের এখন হইতেই দেখি সেক্সি করিয়া তোলা হইতেছে, পুরুষের মাথা গরম হইবেনা কেনো আর নারীনির্যাতন বাড়িবেই বা না কেনো? ভাবিলাম, কাহারো সমর্থন পাইবো। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার, সেই আশায় গুড়ে বালি। রক্তচক্ষু পাকাইয়া এক ভদ্রলোক চেঁচাইয়া উঠিলেন, আরে মিয়া রাখেন ওইসব বাজে কথা; মনটাকে আগে উদার করেন। বলিলাম, কেমন উদার?
ঃ আপনারা সবকিছুতেই শুধু ইসলাম আর সেক্স খোজেন কেনো, বলুন তো! নাচতো সুন্দর একটা শিল্পকর্ম, এই বালিকাদের নিজের মা-বোন বা মেয়ের মতো ভাবিলেই তো পারেন। আসলে, নিজের মনটা ঠিক থাকিলেই হইলো বুঝিলেন–চরম বিরক্তির সাথে বেচারা গড় গড় করিয়া এই গরম কথাগুলি বলিয়া ফেলিলেন! সেকেলে প্রমাণিত হইবার ভয়ে কথা না বাড়াইয়া আমিও চুপ মারিয়া গেলাম। তবে মনে মনে বলিলাম, সরকার আমাদের সবাইর মা, মেয়ে, বোন, বউদের বাধ্যতামূলকভাবে এই মহৎ শিল্পকর্মে নিয়োজিত করিলেই তো পারে, আয় রোজগারও হইবে আর লক্ষ জনতাও মনকে ঠিক রাখিয়া নয়নকে সার্থক করিবে এবং এমন পবিত্র নৃত্য দেখিয়া জাগ্রত কামত্তেজনাকেও বীরপুরুষের মতো ঝাড়িয়া ফেলিয়া ধর্ষণবিরোধী তীব্র গণ আন্দোলন গড়িয়া তুলিবে।

যেইখানেই যাই সেইখানেই শুধু এই মন ঠিক রাখা আর ‘মনের পর্দা’র ব্যাপার-স্যাপার শুনিতে শুনিতে আমার কান ঝালাপালা হইয়া গেলো। কী আশ্চর্য ব্যাপার, যেই সকল একেলে নারীর উগ্র ঝাঁঝালো গন্ধে ভ্রমর নিত্য পিছু লয়, বাসে, ট্রেনে বা পথে অনিচ্ছায় কেহ তাহাদের গায়ে হোচট বা ধাক্কা খাইলে তাহারাও চেঁচাইয়া ওঠেন, এইযে, চোখে দেখেন না–চোখের পর্দা নাই? অথচ তাহারাই আবার পর্দা’র কথা শুনিলে অকপটেই বলিয়া ফেলেন, পর্দা-টর্দা আবার কী, মনের পর্দাই আসল পর্দা? সত্যি, আমার মনের পর্দায় ঢাকা দুঃখগুলির কথা, তবে কি প্রকাশ করা ঠিক হইবে না! মনের পর্দাই কি তবে আসল, আর চোখের পর্দার বাহিরের সবই কৃত্রিম-নকল? বুঝিলাম, মনের বাহিরের সকল পর্দা এমনকি শরীরের পর্দাও অহেতুক জঞ্জাল! তাইতো, এখন নিছক ব্রেসিয়ার, পেন্টি বা অন্তর্বাস, হাফপ্যান্ট, হাতাকাটা ব্লাউজ বা জালিকামার্কা শাড়ী পরিয়া আমাদের মাতা-ভগিণীরা সর্পিল গতিতে হাঁটিয়া চলিলে অথবা প্রকাশ্য জলে সাঁতার কাটিলে কাহারো পক্ষে শাসন করিবার বা কিছু বলিবার সাধ্য নাই। আর দুর্বল ঈমানদার বা মনের পর্দায় মহাদুর্বল উজবুকগণ টিভি-সিনেমায়, নাটকে-অনুষ্ঠানে বা পথে-ঘাটে এইসব প্রজাপতিদের রূপ দেখিয়া লোলুপ হইয়া বেসামাল কান্ড ঘটাইলেই তো ঘটিবে নারীনির্যাতন, আর অঘটন না ঘটাইতে পারিলেও তাহাদের ঠোঁট চাটিয়া অন্তর ফাটাইয়া আফসোসে চলিয়া যাওয়া ছাড়া তো কোনো গত্যন্তরও নাই।

সেদিন দেখিলাম, জনৈক মনের পর্দাওয়ালী পত্রিকার পাতায় লিখিয়াছেন যে, ‘’তিনি লকলকে বাড়ন্ত বিরাট এক দেহ লইয়া অনায়াসে তার কলেজজীবন পার করিয়া দিয়াছেন, তবুও পর্দাতো দূরের কথা কখনো ওড়না নামক জঞ্জাল্টাও পরেন নাই।‘‘ আমার এক বন্ধু এই লেখা পড়িয়া তো তেলে-বেগুনে জ্বলিয়া উঠিয়া বেফাঁস বলিয়াই ফেলিলেন, হারামজাদী-বাকী কাপড়টুকুও না পরিলেই তো পারে। তুই না হইলি মানুষ আর না হইলি বনের পশু, রইলি নিছক মনের পশুরে!! আমার করার কিছুই ছিলোনা; বরং তাহার সমর্থনে আমাকেও বলিতে হইলো–বেচারীর মনের পর্দা এখনো পাকাপোক্ত হয় নাই কিনা, তাই পোশাক ছাড়িতে সময় লাগিতেছে। ধৈর্য ধরো বন্ধু।

ছেলেদের মতো মেয়েদেরও শুধু অন্তর্বাস পরা, হাফপ্যান্ট বা নগ্ন পোশাকে বা শরীরে চলাফেরা জায়েজ কী নাজায়েজ বলিতে পারিনা, কিন্তু পর্দা করা বা শালীন পোশাকপরা সব ধর্মেই ফরজ তাহা শুনিয়াছি। তাইতো দেখিতে পাই, পুরুষরা নির্লজ্জের মতো খোলা জায়গায় পেশাব করিলেও কোন ধর্মের মেয়েরাই তা কখনও করিতে পারেনা কিংবা পারে নাই।

প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে নানান ছদ্মাবরণে এবং শিল্পের নামে মানুষের পশুত্ব শক্তিকে এমনভাবে উস্কাইয়া দেয়া হচ্ছে যে, মানুষ আর মানুষ থাকিতে পারিতেছে না বরং বন্য পশুর রূপধারণ করিয়া চলিয়াছে। নৈতিকতা ও ধর্মীয় অনুশাসনকে অবজ্ঞার ফলে আজ নারী-পুরুষের মাঝে শালীনতাবোধ বা লজ্জার আবরণ ছিন্ন হইয়া পড়িয়াছে এবং পাশ্চাত্যের পশ্বাচারনীতি চালু হইয়া যাইতেছে বলিয়া বেসামাল পুরুষ নারী-শিশুদের ওপর হিংস্র জানোয়ারের মতো দ্বিগুণ-ত্রিগুনমাত্রায় ঝাঁপাইয়া পড়িতেছে, এসব দাবী কিন্তু আমার নহে বরং পর্দাপন্থীদের! এই হতভাগা পত্রিকায় পড়িয়াছে যে, আমেরিকার স্কুলগুলিতে শিশুমাতার সংখ্যা দিনদিন আশংকাজনক হারে বাড়িয়াই চলিয়াছে। তাই শিশু ছাত্রীদের গর্ভরোধে ছাত্রদের সাথে বাধ্যতামূলকভাবে কন্ডম রাখিবার নির্দেশ জারী করা হইয়াছে। এমনকি সেই পাশ্চাত্য বা আমেরিকাপন্থীদের ফ্রীসেক্সের দেশেও এক সেকেন্ডের জন্য বিদ্যুত চলিয়া গেলে হাজার হাজার নারী-শিশুও বা কেনো ধর্ষিতা হইয়া থাকে, তাহার জবাবও আমি প্রগতিবাদীদের ঝুলিতে খুঁজিয়া পাই নাই।

সেদিন আরেক পত্রিকায় দেখিলাম, জনৈকা লেখিকা লিখিয়াছেন যে, ‘’পর্দা প্রগতির অন্তরায়, সেকেলে প্রথা। যাহাদের মন শত কুসংস্কার কুচিন্তায় পরিপূর্ণ এবং যাহারা অর্ধ-শিক্ষিত নারী তাহারাই অর্থহীন পর্দাপ্রথার ধারক-বাহক। প্রক্রিতপক্ষে, মনের পর্দাই আসল পর্দা ইত্যাদি।‘’ লেখিকার এতোসব কথার জবাব তখন আমার জানা ছিলোনা। তাহার মনের পর্দা’র অন্বেষণেও তখন অনেক পন্ডশ্রম করিয়াছি কিন্তু সোনার হরিণ কোথায়ও খুঁজিয়া পাই নাই। মনের পর্দাটাই বা কী, কোথায় থাকে, দেখিতে কিরূপ সকল বাংলা ডিকশনারি ঘাটিয়াও আজ পর্যন্ত তাহার উত্তর মিলাইতে পারি নাই। কলেজজীবনে এক সহপাঠিনীর কাছেও ওই একই কথা বহুবার শুনিয়াছিলাম। একদিন তাহাকে বলিলাম, শালীনতা বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য পর্দা দিয়া জন্য ঘর, দরজা, জানালা, ভাত-তরকারী, মূল্যবান বস্তু ইত্যাদি ঢাকিয়া রাখিতে হয়, কিন্তু তোমাদের ঐ মনের পর্দার কাজটা কী? কোনদিন তাহার কাছেও উহার সদুত্তর পাই নাই। অথচ তাহাকে আরেক সহপাঠির সাথে দেহ ও মনের সেই মহামূল্যবান পর্দা তছনছ করিয়া দিব্যি লিভ টুগেদার করিতেই শুধু দেখিয়াছি।
হায়, আসল কথাই বলা হইলোনা। থাউক আমার মনের পর্দায় ঢাকা বেদনাগুলি গুমড়িয়া কাঁদিয়া মরিলেও আর বাহির করিবো না। যথাস্থান হইতে নামাইয়া আনিয়া উহাদের বেপর্দাও করিতে চাহি না। শুধু প্রগতির ঢোল বাজাইয়া বলিতে চাই—‘’ মনের পর্দা আসল পর্দা, বাইরের পর্দা ঘুচাওরে—।‘’
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×