somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি মেয়ে, একজন সন্ত্রাসী ও আমার ফেসবুকীয় ভালবাসা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার সাথে একটা মেয়ের ফেসবুকে ফ্রেন্ডশীপ হয়। মেয়ে দেখতে ভালোই। আমি তাকে বলেছিলাম, আমি ফেসবুকের প্রেম বিশ্বাসী না। প্রেম জাতীয় কোন কিছুতেই আমার আগ্রহ একদম নেই। হয়তো ভাললাগা থাকতে পারে, প্রেম/ভালবাশার শুরু বিয়ের পরে, আগে কখনোই নয়। যায় হোক, মেয়েটি আমার সাথে অনেক কিছু শেয়ার করতো। ভাল লাগা- মন্দ লাগা। আমাদের দুজনের মধ্যে পারস্পরিক ভাললাগা কাজ করতেছে দুইজনেই সেটা বুঝতে পারি।

ভাল-লাগা থেকে ভালবাসা হবে আর ভিলেনের আগমন হবে না তা কি হয়? সুতরাং যথারীতি ভিলেনের আগমন। মেয়েটি আমাকে আগে বলেছিল ছেলেটি জাস্ট তার বেস্ট ফ্রেন্ড। পরে বলল সে ছেলেটিকে ভালবাসে জীবনের চাইতেও, ছেলেটিকে যদিও দেখে নাই, ফেসবুকে পরিচয়। ছেলেটি লন্ডনে থাকতো ওখান থেকে পুলিশের দৌড়ানি খেয়ে জার্মানি আছে এখন। ছেলেটি মার্ডার/ না কি যেন করেছিল আমি সিউর না কিন্তু ছেলেটি ভাল বন্দুক চালাইতে পারে। (তথ্য সত্য)

যায় হোক, ছেলেটি মেয়েটিকে শাসায় যে আমাকে ছেড়ে দেবার জন্য, হেন তেন। আমি চুপ ছিলাম। কারন, কেউ আমাকে ভালো না বাসলে আমি তো আর জোর করে ভালবাসা আদায় করবো না!! এইটা পুরো আপেক্ষিক ব্যাপার।

তাছাড়া মেয়েটি ছেলেটির কথা শুনবে কেন? যদি ছেলেটির প্রতি মেয়েটি মেয়েটি দুর্বল না হত। মেয়েটি যখন বলল, সে ওই সন্ত্রাসীকে ভালবাসে তখন আমি মেয়েটিকে সিনেমার স্টাইলে বললাম, আমি তোমাকে সারাজীবন সুখী দেখতে চাই। ওই ছেলের সাথে তুমি যদি সুখী হও তাহলে তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখ। ইনশাল্লাহ, তোমার স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে :) (মনে মনে খুব কষ্ট পাইছিলাম, একটু কান্নাও পাইছিল কিন্তু কি আর করা? যখন সন্ত্রাসীর লাথি খাবে তখন বুঝবে। সন্ত্রাসীদের মা-বোন-ভাই পরিচয় আছে নাকি। মদ খাওয়া তো ওদের নেশা। ওহ! বলতে ভুলেই গেছিলাম ছেলেটির প্রোফাইল পিকচারে মদের বোতল নিয়ে ঢং করে পিক দিছে এবং আরেকটা পিক এ ছেলেটি প্লেবয় লোগো সম্বলিত পিকও দিছে ) সবচেয়ে মজার কথা হল, ছেলেটি প্লেবয় মেয়েটি জানতো কারন ছেলেটি মেয়েটির বান্ধবীদের প্রপোজ করছে। :#) ছেলেটি মেয়েটিকে বলে যে, আমি তোমাকে সারাজীবন ভালবাসে যেতে চাই, কাছে পেতে চাই, কিন্তু আমি তোমাকে বিয়া করবার পারুম না কারন আমার জীবন আমার হাতে নেই। ব্লা... ব্লা... ইত্যাদি রোমান্টিক রোমান্টিক সব কথা-বাত্রা (আমার কাছে ওইগুলা মহাকাশীয় কথা-বাত্রা মনে হয়...)

মেয়েটিকে কিন্তু আমাকে ভালোই বুঝতে পারতো। কেন পারতো সেটা আমার কাছে রহস্যই থেকে গেল। মেয়েটির পরিবার সম্পর্কে আমি অনেক কিছুই জানতে পারি তার কাছ থেকে, মেয়েটিকে আমি খুব রেস্পেক্টও করতাম।

একদিন দেখি কি, মেয়েটি আমাকে আবোলতাবোল ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে পরে জানলাম ওর (জামাই --> মেয়েটি ছেলেটিকে জামাই বলে) ওর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে। মেয়েটির সব ফ্যামিলি পিকচার নিয়ে ফেললো এবং বলল সব পিক নাকি ইন্টারনেটে পাবলিশ করে দিবে। আর আমি যদি ছেলেটির অ্যাকাউন্ট হ্যাক করি তাহলে ছেলেটি আমাকে মেরে ফেলবে (মেয়েটির ভাষ্য)

আমাকে ছেলেটি এইসব কিছু বলেনি, জাস্ট বলেছে যদি পারি যেন আমি ওর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করি। যায় হোক, মেয়েটি আবার আরেকটা অ্যাকাউন্ট করলো এবং আমাকে ও তার অন্য ফ্রেন্ডদের অ্যাড করলো। মেয়েটি আমাকে বলে ওর ফ্রেন্ডরা নাকি সিঙ্গেল হয়ে যায় (রিলেশন ভেঙ্গে যায়) যদি ওর সাথে কথা বলে। আমি বললাম, বাহ!! তোমার তো জাদু আছে... আরও অনেক কিছু বলছিলাম ;) B-))



কিছুদিন পর মেয়েটা আমাকে বলতে থাকে "আই মিসিং হিম" মানে সে ওই ছেলেরে মিস করতেছে। ভালো তো... ভালো না... কোথাও যেন পড়েছিলাম, মেয়েরা খারাপ ছেলের প্রতি আকৃস্ট হয়!! যাক, ওইটা প্রমান পাইলাম হাতে নাতে...

কিছুদিন পর মেয়েটি আমাকে কিছু না বলে ব্লক করে কোন কারন ছাড়া। পরে জানলাম, মেয়েটি ওই ছেলেটির সাথে আবার ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে। আমি মেয়েটারে রেস্পেক্ট করতাম কিন্তু ব্লক খাবার পর মনে হল মেয়েটার মানসিক সমস্যা আছে। রেস্পেক্ট তো আর নেই বলা চলে। যদিও আমারে আনব্লক করছে কিছুদিন পরে কিন্তু আমি মাইয়াটারে একটা কল ও দিই নাই, ম্যাসেজ ও দিই নাই, জানার চেস্টাও করি নাই। তখন থেকে মনে হয়তেছে আপদ বিদায় হয়ছে। কেন মনে হয়তেছে আমি নিজেও জানি না।

কাল দেখলাম, মেয়েটি তার অন্য একটা ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাইছে। এখনও একসেপ্ট করি নাই। বুঝতেছি না করবো কিনা???
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×