আমি জানি না আমার কি দিয়ে শুরু করা উচিৎ ।শব্দ গুলো আসছে কিন্তু বাক্য হচ্ছে না । আবার মনে হচ্ছে বাক্য হবে কিন্তু ঠিক কোন বক্তব্য প্রকাশ করবে না ।লেখকরা যে কিভাবে সব কিছু কে মিলেয়ে সুন্দর ভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরে তা আমার মত আম জনতার কাছে বিস্ময়করই বটে । আসলে লেখা বা লেখক সম্মন্ধে আমার কিছু বলার নেই । আমার অতটুকু জ্ঞ্যান ও নেই । আমি এখানে করল্লার গল্প বলব ।করল্লাকে মনে করব ।
“করল্লা” তুমি ভাল আছ ?? হুম ,আমি তোমাকে করল্লাই বলি এখন । আচ্ছা মনে আছে লাস্ট আমরা যেদিন দেখা করেছিলাম ।তোমার বড় একটা লাগেজ সঙ্গে তোমার বিখ্যাত সেই ব্যাগ ।আমিও এসেছিলাম আমার পুরনো স্কুল ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে । তখন যে কেও আমাদের দেখলে হয়ত ভাবত আমরা বাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছি । যদিও সেটা তুমি কখনই করতে না ।যাক সেইটাই আমাদের শেষ দেখা । তুমি রাজশাহী চলে যাচ্ছিলে । সেদিন তোমার জাবি র এক্সাম ছিল । সেটা বাদ দিয়ে তুমি চলে গেলে ।বললে রাজশাহীতে তো হয়েই গেছে ।ওখানেই ভর্তি হয়ে যাই ।সেই যে চলে গেলে আর এলেনা ।আমি আজও মাঝে মাঝে ভাবি তুমি কি ইচ্ছা করেই ওখানে চলে গেলে নাকি ভাগ্য তোমাকে নিয়ে গেল ??
সেদিন রামপুরা থেকে আমি বাসে ফিরতে ফিরতে কখনই ভাবিনি তুমি আর আসবে না । চলেই গেলে তাহলে একেবারে । তাহলে আমি বলতে পারি ব্রেকআপ এর টাইম তখন থেকেই শুরু । সবুজ রঙ তোমাকে সত্তিই মানাত ,এখন হয়ত মানায় ।কিন্তু আমি দেখিনা । করল্লা তোমাকেই নিয়েই শুরু করলাম ।দেখি তোমার কথা খাতায় আঁকতে পারি নাকি । ভাল থেকো করল্লা । পরের পর্বে কথা হচ্ছে তাহলে ......