মনে হচ্ছে কিছু বলা প্রয়োজন ।
কি বলব ঠিক বুঝতে পারছিনা । তুতু শালার দুলাভাই আমাদের কলেজের বোটানির টিচার । আমরা সবেমাত্র এসএসসি পাস করলাম চোখে মেলা স্বপ্ন । মেলা কিছু হতে চাই ।ডাক্তারিও এর এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত । আর ডাক্তারি পরার জন্য বায়োলজি মেলা ইম্পরট্যান্ট ।আমরাও সিরিয়াস । তো সেই অনুযায়ী টিচার খোঁজাও হল এবং পাওয়াও গেল । নয়া বোটানি টিচার সম্পর্কে তুতু’র দুলাভাই।আমরাও ঠিক করলাম তাকে দুলাভাই বলেই ডাকব পরে অবশ্য কারওই সে সাহস হয়নি ।স্যারই ডাকা হয়েছিল এবং এখনও ডাকা হয় ।যাক সে কথা
স্যার বলেছিলেন আমরা ১০ জন ছেলে একটা ব্যাচএ পরবে,আমরাও রাজি ।তখন ছেলে মেয়ে র ব্যাচ হতো আলাদা। প্রাইভেট শুরু হতো ৪টায় । আমরা পোলাপানরা টাইম মতই গেলাম ,হাজার হোক প্রথম দিন । ঘরে ঢুকেই একটা টাস্কি খাইলাম । দেখি ২ টা মাইয়া বইসা আছে ।কেম্নে কি মামু ! আমরা তো অবাক ।পোলা ব্যাচ এ মাইয়া কই থেকে ?? আবার ভাব্লাম আগে আসতে যাইয়া আবার বেশি আগে আইয়া পরলাম না তো! পরে ভিতরে ঢুকলাম ।পোলাপান আগে ঢুইকা যাইগা মত বইয়া পরছে । আমি পাইলাম ২ মাইয়ার সামনের সিট ।মনে মনে কই “ থুক্কু মনে মনে কিছু কই নাই ” । একটু পর স্যার আইল । আইয়া কয় এই ২ মাইয়াও নাকি আমগো লগে পরব । ইতিমধ্যে অবশ্য চিন পরিচয় কিছু কইরা ফেলছি । একটা মাইয়া স্বাস্থ্যবান ( ভালই স্বাস্থ্যবান ) আর একটা চিকা । প্রথম দিন নাম গুলাই ঠিক মত মনে নাই । সেই দিন কি আর জানতাম যে আজ থেকে যা শুরু হইল সেটা ৪ বছর ব্যাপী একটা বিশেষ ঘটনায় রুপ নিবে । সেটা জানলে তো আমি সেই দিন পরবারই যাইতাম না । এর মধ্যে একটা মাইয়া নাম “করল্লা ” আর একটার নাম “চিচিঙ্গা” ।আমার “করল্লারে” আমি সেই দিনই প্রথম দেখি । আর এখন ভাবি কেন তারে দেখলাম ?? why ? why ? ?and why ??? । করল্লারে দেইখা সেইদিন আমার বিশেষ কিছু মনে হয় নাই । আমি ভাবিও নাই সে এত্ত বড় একটা রোলে প্লে করবে আমার লাইফ এ ।