সাংবাদিক হওয়ার দরুণ প্রশাসনের কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, কয়েক বছর আগের ঘটনা। একদিন থানা থেকে ফোন আসল সেখানে নাকি দুর্ধষ এক শিবির ক্যডারকে ধরা হয়েছে!
ক্যমেরা নিয়ে ছুটে গেলাম।
ওছি বন্দিকে দেখিয়ে দিলেন। বিশালদেহী ভয়ঙ্কর কাউকে ভেবেছিলাম।
আমিতো অবাক!
কাছে গিয়ে চিনতে পারলাম, আরে এতো আমাদের পাড়ার রাজু (ছদ্ম নাম)! ক্লাস নাইনে পড়ে, সে কোনো দিন ক্লাসে ফাষ্ট ছাড়া সেকেন্ড হয়নি।
নামাজ ক্বাজা করে বলে আমার জানা নেই। কথা বার্তা, আদব কায়দা, বড়দের সালাম দেয়া, সহপাঠিদের সাথে সুন্দর ব্যবহারে তার জুড়ি নেই।
আমি নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিনা! না এই ছেলে সন্ত্রাসী হতে পারে না।
বহু সন্ত্রাসীকে কাছ থেকে দেখেছি তাদের সাথে এর নুনতম সম্পর্কও নাই। চেহারার মধ্যে নূরাণী জ্যোকি যেন ঠিকরে পড়ছে।
আমার মুগ্ধতা শেষ না হতেই সংবাদ পেলাম অস্ত্র, গোলা বারুদ আনা হচ্ছে তার সামনে ফটোশেষনে তাকে সন্ত্রাসী প্রমানের জন্য!
থ হয়ে গেলাম, কি হচ্ছে এসব, আমরা কোন দেশে বাস করছি?
নিজেকে ভীষন অপরাধী মনে হচ্ছিল। কিছুই করার ছিল না।
শুধু ভাবলাম সারাদেশে যত শিবির সন্ত্রাসী দেখি সবাই হয়ত আমার রাজু ভায়ের মত নিষ্পাপ