না না না, এ হতে পারে না!
আমরা কয়েক কোটি টাকা খরচ করলাম, শত শত কাজের লোভ দেখালাম, ভোট না দিলে হত্যা করার হুমকি পর্যন্ত দিলাম কিন্তু তার পরও কিনা জিতল ঐ রাজাকারের দল!
কথা গুলো বলছিল সদ্য নির্বাচনে পরাজিত লীগের প্রার্থী ছুক্কু মিয়া।
লিডার আপনি যা টাকা দিয়েছেন তার অর্ধেকই আপনার সেক্রেটারি নিজের পকেটে রেখে দিয়েছে, বলল এক কর্মী।
ঐ মিয়া কি বললে আমি টাকা
নিছি তাইলে তুমি যে হোন্ডা কিনছো ঐডা কি তোমার বাপে দিছে? গরম কন্ঠে বলল সেক্রেটারি।
আহ থামো থামো মিয়ারা, এবার মুখ খুললেন জমির মিয়া, তিনিই এখানকার সবচেয়ে প্রবীণ লীগ নেতা।
সবাই চুপ।
বলতে শুরু করলেন জমির মিয়া,
টাকা পয়সা, চাকরি, ভয় তো দূরের কথা কতবার করে আমি সবাইরে বুঝাইছি আমরা হইলাম গিয়া স্বাধীনতার পক্ষের লোক আর ওরা রাজাকার, অথছ কেও মানলই না!
এমন সময় বাইরে থেকে স্লোগানের শব্দ। নব নির্বাচিত জামায়াত নেতার বিশাল মিছিল যাচ্ছে...
মিছিল থেকে শব্দ আসছে আল কোরআনের আইন চাই সৎ লোকের শাসন চাই।।
জানালা দিয়ে সবাই বাইরে হা করে তাকিয়ে আছে। সবার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ।
সবাই বুঝতে পারল, তাদের চ্যতনার ব্যবসা শেষ, নতুন এক বিপ্লব সৃষ্টি হতে চলেছে..