আপনার কাছে কি বাপ-দাদা থেকে প্রাপ্ত ধর্ম, প্রথা, ঐতিহ্যর গুরুত্ব বেশি নাকি যুক্তি,বিচার-বিবেচনা ও বিবেক-বুদ্ধির গুরুত্ব বেশি? যুক্তি, বিচার-বিবেচনা ও বিবেক-বুদ্ধির গুরুত্ব বেশির অর্থ- আপনি কালোকে কালো, সাদাকে সাদা, ভালোকে ভাল, খারাপকে খারাপ, আমকে আম আর জামকে জাম, আগুনকে আগুন আর পানিকে পানি বলতে আপোসহীন। আর বাপ-দাদা থেকে প্রাপ্ত ধর্ম, প্রথা ও ঐতিহ্যের গুরুত্ব বেশির অর্থ-আপনি কালোকে কালো, সাদাকে সাদা, ভালোকে ভাল, খারাপকে খারাপ, আমকে আম আর জামকে জাম, আগুনকে আগুন আর পানিকে পানি ততক্ষন বলবেন যতক্ষন উহা আপনার ধর্ম,প্রথা ও ঐতিহ্যের সাথে মিল থাকে।আপনার ধর্ম যদি কালোকে সাদা বলে, আপনি সাথে সাথে উহাকে সাদা বলতে থাকেন। যুক্তি ও বিবেক-বুদ্ধির রায় আপনার কাছে গৌন।আপনি যদি দ্বিতীয় দলের হন, তাহলে আপনার সাথে আমার কোন কথা নেই। আপনার সাথে যদি কথা বলতে হয় তা হতে পারে একটি বিষয়ে ‘অন্ধত্ব বনাম চক্ষুস্মান’।
যারা যুক্তি,বিচার-বিবেচনা ও বিবেক বুদ্ধি অনুসারে যে কোন চিন্তা, মত, পথ গ্রহণ/বর্জন করে থাকে তারা কি সকলেই এক মত ও পথের অনুসারি?যুক্তি ও বিবেক বুদ্ধি অনুসারে কোন সিদ্ধান্তে পৌছলেই কি চূড়ান্ত সত্যে উপনীত হওয়া যায়?মনে রাখতে হবে যুক্তি ও বিবেক-বুদ্ধির রায় সঠিক হওয়ার পথে নিম্নোক্ত বাধাগুলো থাকে:
ক)জ্ঞান ও বিশ্লেষণ শক্তির স্বল্পতা
খ)পূর্ব প্রতিষ্ঠিত বিশেষ কোন চিন্তা-দর্শন বা ধর্মের প্রতি স্বাভাবিক ঝোক প্রবণতা
গ)স্বার্থপরতা (কোন চিন্তা বা মত যদি নিজ রুটি/রুজি বা যষ/খ্যাতির পথে বাধা হয়, স্বভাবতঃ মানুষ উহার বিপক্ষে যুক্তি খুজতে থাকে। যেমন-সুন্দর কুরআন তেলাওয়াতের জন্য বিখ্যাত ব্যক্তি সর্বদা ’সুন্দর তেলাওয়াতের গুরুত্ব কম’ এ ধরনের বক্তব্যের বিপক্ষেই যুক্তি খুজে থাকে।)
ঘ) পক্ষপাতমূলক যুক্তি অন্বেষ (যে ধর্মের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে, সে পক্ষের যুক্তি খোজে)
উপরোক্ত প্রতিবন্ধকতার কারনে আপনার বিবেক, চিন্তা ও বিশ্লেষণ আপনাকে চুড়ান্ত সত্যে সম্পর্কে জানতে দিবে না।(চলবে)