কোন কাজ আপনি কেন করছেন/বলছেন/বিশ্বাস করছেন তার গ্রহণযোগ্য ব্যখ্যাই হল যুক্তি।গ্রহণযোগ্য শব্দটি আপেক্ষিক।আপনার কাছে যা গ্রহণযোগ্য আরেকজনের কাছে তা অগ্রহণযোগ্য হতে পারে, আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই তা আপনার কাছে যৌক্তিক আর যার কাছে ব্যখ্যাটি গ্রহণযোগ্য নয় তার কাছে অযৌক্তিক।তবে মনে রাখতে হবে যে একই জিনিস যৌক্তিক ও অযৌক্তিক উভয় হতে পারে না।যে বিষয়টি একজনের কাছে যৌক্তিক আর আরেকজনের কাছে অযৌক্তিক, সে বিষয়টি একজন ভাল করে বুঝেছে আর অপরজন বুঝতে পারেনি।
এবার আসি মূল বিষয়ে। মানুষ কি যুক্তির উর্ধ্বে উঠতে পারে?কোন বিবেকবান বুদ্ধিমান মানুষ কখনো যুক্তির বাইরে যেতে পারে না।পাগল ও অবুঝ শিশু ছাড়া কেউ যুক্তির উর্ধ্বে উঠতে পারে না।’কেন?’ প্রশ্নের উত্তরে যুক্তি আসে। আপনি যদি বলেন এ মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছে তাহলে আপনাকে বলতে হবে কেন আপনি বিশ্বাস করেন এ মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছে, আর যদি আপনি বলেন এর কোন স্রষ্টা নেই তাহলেও আপনাকে বলতে হবে আপনি কেন বিশ্বাস করেন এর কোন স্রষ্টা নেই।এ ’কেন?’ প্রশ্নের জবাবই যুক্তি।
কিছু লোক বলে থাকেন যে যুক্তি খোজা ভাল, তবে সব কিছুর যুক্তি খোজা ভাল নয়।আপনি যদি এ বক্তব্য দেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই পরিস্কার করে বলতে হবে যে কোন কোন জিনিসের যুক্তি খোজা ভাল নয় এবং কেন? আপনার এ প্রশ্নের উত্তরটিই হবে যুক্তি। আপনার যুক্তি সঠিক কিনা বেঠিক সেটা আলাদ বিষয়। তবে আপনি যুক্তির বাইরে যেতে পারলেন না।
যুক্তির বিরোধীতা কারা, কেন করে?
কিছু মানুষকে যদি যুক্তি খোজা বন্ধ করানো যায়, তাহলে অনেক সুবিধা।যেমন আমি যদি কোন ধর্মীয় গুরু হয় হই, আর উক্ত ধর্মের নামে যদি আমার রুজি-রোজগার ও যশ-খ্যাতির কোন সুবিধা থাকে অথচ উক্ত ধর্ম সঠিক নয় বা উক্ত ধর্মের এমন কিছু বাণী আছে যাহা সঠিক নয় তবে আমার যশ-খ্যতি ও রুটি-রুজির পক্ষে, সেক্ষেত্রে উক্ত বেঠিক বক্তব্যগুলোর পক্ষে যথার্থ কোন উত্তর আমার কাছে নেই তখন মানুষকে (বিশেষত অনুসারিদেরকে) যুক্তি খোজা বন্ধ করতে পারাটাই সর্বশ্রেষ্ঠ পদ্ধতি।যদি লোকদের ’কেন?’ প্রশ্ন করা থামাতে পারি তাহলে তো বহু কিছু করেই পার পাওয়া যায়।
অতএব, কেউ যদি আপনাকে যুক্তি খুজতে নিষেধ করে তাহলে নিঃসন্দেহে সে বুঝে/না বুঝে আপনাকে চরম বোক/হাদারাম বানাতে চাইছে।