যার বাহ্যিক চোখ আছে সাধারণ অর্থে তাকে আমরা চক্ষুস্মান বলি;কিন্তু ব্যাবহারিক অর্থে যার অন্তচক্ষু দৃস্টিশক্তি সম্পন্ন তাকে চক্ষুস্মান বলা হয়ে থাকে।
চক্ষুস্মান হওয়ার অর্থঃ
আপনি অন্তচক্ষু দ্বারা যে দ্রব্যকে গ্লাস হিসাবে দেখছেন তাকে গ্লাস আর যেটাকে জগ হিসাবে দেখছেন তাকে জগ বলে গ্রহণ করা । যে কোন কিছু বিশ্বাস করা বা যে কোন কাজ করার পূর্বে সে বিষয়টি বা কাজটি কেন/কি কারণে কাজটি করবেন তার যৌক্তিক, গ্রহণযোগ্য ও বিবেকসম্মত কোন জবাব জেনে কাজ করাটা হল চক্ষুস্মান হওয়া।
বাহ্যিক চক্ষু অন্তচক্ষু
দৃস্টিশক্তি প্রাকৃতিক দান দৃস্টিশক্তি অর্জনের বিষয়
দৃস্টিশক্তির খাদ্য পুস্টি দৃস্টিশক্তির খাদ্য জ্ঞ্যন
গুরুত্ব
অন্তচক্ষু বাহ্যিক চক্ষু
কর্ম নির্বাচনে একনিষ্ঠ বন্ধু;অন্তচক্ষু ছাড়া সঠিক কর্ম নির্বাচন সম্ভব নয়-আর ভুল কর্ম নির্বাচন পুর জীবনকে ব্যার্থ করবে কর্ম রুপায়নে সহায়ক;তবে বাহ্যিক চক্ষু ছাড়া কর্ম রুপায়ন কস্টকর তবে অসম্ভব নয়।
দৃস্টিশক্তিহীন ব্যাক্তি নিন্দাযোগ্য দৃস্টিশক্তিহীন ব্যাক্তি নিন্দাযোগ্য নয়
দৃস্টিশক্তিহীন ব্যাক্তি নির্বোধ শ্রেনীর অন্তর্ভূক্ত এ দৃস্টিশক্তিহীনতার কারনে কাওকে নির্বোধ বা বোধশক্তি্সম্পন্ন বলা যায় না
ধূর্ত কোন ব্যাক্তি/দল/গোষ্ঠির আত্মস্বার্থ অর্জনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহৃত হওয়ার নিশ্চিত সম্ভfবনা এ বিষয়ে কোন ভূমিকা পালন করে না
কাউকে চরম হাদারাম বানানোর মোক্ষম হাতিয়ার।ভন্ড পীরেরা এ হাতিয়ার ব্যাবহার করে -১। বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে
২।মুরিদদের কর্তৃক হেন কাজ করাতে সক্ষম হয়
৩।সহবত/সান্নিধ্য দান/রোগমুক্তি ইত্যাদি নামে নারীদের ভোগ করে থাকে
ধর্মের নামে সকল অপকির্তি বাস্তবায়ন সম্ভব।সতীদাহ প্রথা, গোসল করে পাপ মোচন, গাছ-পাথর ইত্যাদি জড় বস্তুর কাছে সাহায্য প্রার্থনা, মাযারে গিয়ে উলংগ ব্যাক্তিদেরকে খোদা থেকে বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যাক্তি মনে করে তাদেরকে অর্থ প্রদান, কবরে গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা সহ অসংখ্য অর্থহীন, হাস্যকার কার্যাবলীতে মানুষকে লিপ্ত করানো সম্ভব এ বিষয়ে কোন ভূমিকা পালন করে না
মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তার বিবেক বুদ্ধি। অন্ধত্ব অবলম্বনে এ বিবেক বুদ্ধি অবদমিত হয়ে যায়। অন্তচক্ষু অবদমিত হলে, বাহ্যিক চক্ষু চরম অসহায় হয়ে যায়।
আমাদের সবার ব্রেইন ধোলাই করাঃ
একটি শিশু জন্মের পর অত্যান্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ব্রেইন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।এরপর যখন সে বড় হতে থাকে সাথে সাথে তার মস্তিস্ক ধোলাইয়ের কাজও চলতে থাকে।এভাবে আমাদের সকলেরই ব্রেইন ধোলাই হয়ে যায়।এ ধোলাই প্রক্রিয়াই অন্তচক্ষুতে যে আবরনের স্তর পড়ে যায় তা ভেদ করে সঠিক জিনিস সঠিকভাবে দেখতে পারাটাই হল চক্ষুস্মান হওয়া।
জীবন চলার পথে প্রধাণ প্রধাণ যে উপাদানগুলো আমাদের মস্তিস্ক ধোলাই এর কাজ করে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল।
কি কি আমাদেরকে অন্ধ করে দেয়?
১। পিতা-মাতা তথা পরিবার থেকে প্রাপ্ত ধর্ম, কৃস্টি-কালচার, অভ্যাস,প্রথা ইত্যাদি আমাদের অন্তচক্ষুর উপর এক বিশেষ কালারের রঙ্গিন চশমা পরিয়ে দেয়।
২। শিক্ষা (আনুষ্ঠানিক/অনানুষ্ঠানিক উভয় শিক্ষা)
৩।সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন দর্শনের, মতাদর্শের নেতা-কর্মিদের বক্তব্য ও প্রচার-প্রচারনা
৪। মিডিয়া ( ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া,প্রিন্ট মিডিয়া, সাপ্তাহিক/পাক্ষিক/মাসিক ম্যাগাজিন)
৫।বিভিন্ন ধরনের বই পুস্তক (বিভিন্ন চিন্তা দর্শনের বই, প্রবন্ধের বই,গল্পের বই)
কোন ব্যাপারে মানুষ সবচেয়ে বেশি অন্ধত্ব অবলম্বন করে?
ধর্মের বিষয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি অন্ধত্ব অবলম্বন করে থাকে।মজার বিষয় হল অনেক মানুষ এমন দেখা যায় যারা অন্ধত্বের চরম বিরোধী; অথচ তারা নিজেরাই ধর্মের অনেক ব্যাপারে অন্ধ।